কবি প্রশান্ত মন্ডল-এর তিনটি কবিতা
এক একটা বৎসর
শব্দ আঁকি, শব্দ কাটি
যেন ঘুমে আচ্ছন্ন আজও আমার জন্মমাটি।
সময়ের প্রতারণায় হাঁটু গেড়ে বসে থাকি মাটিতে
বারোটা মাস লেগে যেন ব্যাঙের সর্দি
প্রতিটা দিন উদিত সূর্যের দিকে তাঁকিয়ে আকাশ মাপি
আকাশের লাল আভা নিত্যদিন একটু একটু করে
উদ্দীপনা জাগিয়ে যায় আমার প্রতিটি স্নায়ুতন্ত্রে
আর আমি দিন গুনতে থাকি পুণরায় বেঁচে ওঠার।
এভাবে এক একটা দিন, সপ্তাহ, মাস বেহিসেবীভাবে পেরিয়ে যায়
একটা নক্ষত্র
বুকের ঠিক বাঁ পাশে
একটা নক্ষত্র পুষে রেখেছি.. বহুদিন।
তার জ্বলে ওঠার
দিন কিংবা রাতের কোনো হিসাব নেই
সে আলোকিত হয়ে ওঠে তার মত করে।
বিশেষ করে যখন পুরোপুরি একা হয়ে উঠতে পারি
অন্যথা কোনো সৃষ্টিমূলক উৎসের
খুব কাছাকাছি চলে আসি,
ধিমি ধিমি ছন্দ ধরে
প্রস্ফুটিত হতে থাকে আমার সে নক্ষত্র।
স্বাধীনতা
স্বাধীন হতে চেয়েই তো
পরাধীনতায় ভুগতে হয়!
জন্ম হবার পর থেকেই কেমন একটা
পরাধীনতার আঁচল, পারিবারিক দৃষ্টিভঙ্গি
আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে থাকে মায়াজাল।
এরপর দুনিয়ার অদৃশ্য কিছু বাঁধা নিয়ম
তোমার দৃষ্টিগোচরে থেকেও
তোমায় দৃষ্টিহীন করে তুলবে দিনে দিনে।
যেভাবে একটি একাকী চারাগাছের অকাল মৃত্যু হয়
কেউ মনে রাখতে চায়না এমন শহীদ প্রাণেদের।
কেবল তুমি-আমি ছোটাছুটি মুক্তির পথ খুঁজে চলি
পরাধীনতায় কাটে দিন, স্বাধীনতা মুখে বলি।
**********************************************************
পিতৃদত্ত নাম প্রশান্ত মন্ডল। রূপক(প্রশান্ত) নামেও কিছু কিছু লেখা প্রকাশিত। বাসভূমি - শিলিগুড়ি (অম্বিকানগর), পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। শৈশব থেকেই অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে বড়ো হয়ে ওঠা। তারই সাথে একাহাতের লড়াইয়ে শিক্ষাজীবন তথা কর্মজীবনে প্রবেশ। একইভাবে জীবনযাত্রার পথ চলা। তার পাশাপাশি ভালোবাসার সঙ্গী হিসেবে চলতে থাকে সাহিত্যচর্চা, শিল্পচর্চা, সঙ্গীতচর্চা এমনকি থিয়েটারের মঞ্চ তথা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চেও চলতে থাকে আনাগোনা। যখন যেটুকু সম্ভব ব্যক্তিগতভাবে ভালোবাসার চোখেই দেখা সবটা। এরই মধ্য দিয়ে জীবনের যা কিছু চাওয়া-পাওয়া সমস্ত জীবনের উপরেই ছেড়ে দেওয়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন