কল্পনায় আঁকা সত্যের নিরাভরণ রূপ
দেবাশিস সাহা
ক্ষণজন্মা অগ্নি স্ফুলিঙ্গ তিনি। তিনি 'ঝড়ের পাখি'। সমকাল থেকে লক্ষ যোজন এগিয়ে থাকা এক প্রচন্ড উল্কাপাত। মাত্র ২২ বছর ৮ মাস ৮ দিনের সংক্ষিপ্ত পরমায়ু নিয়ে তিনি জন্মেছিলেন এই পৃথিবীতে। আরও স্পষ্ট করে বললে, এই বঙ্গভূমে। এই কলকাতায়। কী ওলটপালটাই না তিনি করেছিলেন, কুসংস্কারাচ্ছন্ন ঘুণ ধরা গলা পচা সমাজটাকে শিকড় বাকড় সমেত প্রচন্ড ঝাঁকুনি দিয়ে। তিনি--- উনবিংশ শতাব্দীর বাংলার নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ --- হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও।
কেন এই প্রহেলিকা, অসময়ে কেনই-বা এই গৌরচন্দ্রিকা? বলি। সম্প্রতি একটি বই পড়লাম। নাম 'কিছু কাল্পনিক সংলাপ'। লেখক বরুণ দাস। এত ভালো লাগল বইটি, কিছু লিখে ফেলতে ইচ্ছে হল। নামকরণ থেকে বইটির বিষয়বস্তু অনুমান করা মোটেই অসম্ভব নয়। কিন্তু প্রশ্ন, কার সঙ্গে সংলাপ? কাদের সঙ্গে সংলাপ? পাতা উল্টাতেই, পাঠক বিস্ফারিত চোখে দেখছেন, তাঁরা এলেবেলে কেউ নন, তাঁরা বাংলা তথা ভারতের ঠোঁটে ঠোঁটে উচ্চারিত এক একটি ধ্রুবতারাসম নামঃ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্বামী বিবেকানন্দ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দ্বিজেন্দ্রলাল-রজনীকান্ত-অতুল প্রসাদ চিরন্তন তিন সংগীত সাধক কিংবা ড.শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মতো বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ যেমন আছেন, তেমনই রয়েছেন সাম্প্রতিক কালের কম.জ্যোতি বসু মাদার টেরেসা-র মতো উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বও। বইটি পড়ে মনে হচ্ছিল, এইসব প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব নেহাতই ইতিহাসের চরিত্র নন, রক্তমাংসে গড়া ভীষণ চেনা মানুষজন। তাঁরা যেন চোখের সামনে হেঁটেচলে বেড়াচ্ছেন আর তুখোড় সাংবাদিক বরুণ দাসের সঙ্গে জন্ম-মৃত্যুর পর্দা সরিয়ে, কথোপকথনে মজেছেন হাসিমুখে। আর, তাঁদের এই মধুর আলাপন থেকে উঠে আসছে ইতিহাসের অজস্র টুকরো টুকরো ঘটনা, অসংখ্য অজানা তথ্য, বহু বিতর্কিত বিষয়, যে বিষয়ে সত্যের আলো ফেলছেন লেখক, যে আলো, নিঃসংশয়ে বলা যায়, তাঁর একনিষ্ঠ অধ্যবসায় ও গবেষণার ফল। এখানে, স্বল্প পরিসরে, আমি শুধু ভূমিকায় উল্লিখিত ব্যক্তিত্বটির সঙ্গে লেখকের সংলাপে চোখ রাখব।
ডিরোজিও। জন্ম ১৮ এপ্রিল ১৮০৯ কলকাতা। মৃত্যু ২২ ডিসেম্বর ১৮৩১। তিনি রাজা রামমোহন রায়ের চেয়ে ৩৭ বছরের ছোট আর বিদ্যাসাগরের চেয়ে ১১ বছরের বড়। শিক্ষা ধর্মতলা একাডেমি স্কুল। শিক্ষা গুরু ডেভিড ড্রামন্ড। ডিরোজিও নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর শিক্ষা ও দর্শন মানবতাবাদী যুক্তিবাদী চিন্তা ভাবনা সব সবকিছুর জন্যই তিনি ডেভিড ড্রামন্ডের কাছে ঋণী। ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি হিন্দু কলেজে চতুর্থ শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। বেতন ১৫০ টাকা। তখন তাঁর বয়স ১৭ বছর। তাঁর ছাত্রদের বয়স ১২ থেকে ১৫ -এর মধ্যে। পড়ানোর দায়িত্ব পেলেন ইংরেজি পাশ্চাত্য দর্শন ইতিহাস ভূগোল। পড়ানোর সুযোগ পেলেন মাত্র পাঁচ বছর। ১৮২৬ থেকে ১৮৩১। তারপরই বিপর্যয় ঘনালো তাঁর জীবনে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। হিন্দু কলেজে, অচিরেই তাঁর পড়ানো এক নতুন মাত্রা পেল। ক্ষুরধার বিশ্লেষণ যুক্তি তর্ক বিতর্ক বিচার বিশ্লেষণের শানিত ফলায় সমাজের পুরনো যা কিছু অন্ধ কুসংস্কারে আচ্ছন্ন, খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিতে চাইলেন। নবজাগরণের ঝড় তুললেন ডিরোজিও এবং তাঁর শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ 'ইয়ং বেঙ্গল'-- হিন্দু কলেজে 'আগুনের ফুলকি' নামে পরিচিত রামগোপাল ঘোষ কৃষ্ণমোহন বন্দোপাধ্যায় রসিক কৃষ্ণ মল্লিক দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়-সহ রাধানাথ শিকদার শিবচন্দ্র দেব প্যারীচাঁদ মিত্র রামতনু লাহিড়ী প্রমুখ ছাত্রবৃন্দ। শুধু তাঁর কলেজ ছাত্ররাই নয়, তাঁর শিক্ষা ও মোহিনী ব্যক্তিত্বের আকর্ষণে বহু যুবক ছুটে এল। 'রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ' বইতে শিবনাথ শাস্ত্রী লিখেছেন, 'চুম্বক যেমন লৌহকে আকর্ষণ করে তেমনই তিনিও বিভিন্ন শ্রেণির অপরাপর বালকদিগকে আকর্ষণ করিলেন।' তিনি হয়ে উঠলেন ছাত্রদের 'friend philosopher and guide ছাত্রদের বিজ্ঞান যুক্তি তর্কবিতর্কের মধ্য দিয়ে সত্যকে জানার উদ্দেশ্যে নিজের বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করলেন 'একাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন' আর তার মুখপত্র হিসেবে প্রকাশ করলেন 'এথেনিয়াম' 'পার্থেনন' 'হেসপেরাস' 'ক্যালিডোস্কোপ' ইত্যাদি পত্র পত্রিকা। আর তাঁর গড়া 'ইয়ংবেঙ্গল' সমবেত প্রচেষ্টায় একটা র পর একটা দুঃসাহসিক কাজে মাতলেন। প্রকাশ্যে মদ্যপান থেকে শুরু করে গোঁড়া ব্রাহ্মণদের 'আমরা গরু খাই গো' বলে টিটকিরি কিংবা মা কালীর মন্দিরে গিয়ে 'গুড মর্নিং ম্যাডাম' সম্মোধন কিছুই বাদ গেল না।
প্রমাদ গুনলেন রক্ষণশীল হিন্দু সমাজ। বিরুদ্ধে গেলেন গোঁড়া খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীরাও। কারণ তিনি জাতে ফিরিঙ্গি। ইউরেশিও। তাই তিনি খ্রিস্টানদের কাছে যেমন উপেক্ষার পাত্র, তেমনই হিন্দুদের কাছে বিদ্রুপের 'দ্রজু ফিরিঙ্গি'। এদিকে 'সংবাদ প্রভাকর' 'সমাচার দর্পণ' প্রতিনিয়ত বিষোদগার করে চলেছে ডিরোজিওর কাজকে। সমাজ প্রতিভূ রাধাকান্ত দেব রামকমল সেনরা (কেশবচন্দ্র সেনের পিতামহ) হিন্দু কলেজের তরফে জরুরী মিটিং ডাকলেন। অভিযোগ তাঁর সংস্পর্শে হিন্দু ছাত্রদের গুরুতর ক্ষতি হচ্ছে। 'ডিরোজিও অযোগ্য শিক্ষক' এমনটা দেগে দেওয়ার সাহস তাঁদের ছিল না। কারণ, হিন্দু কলেজ পরিদর্শক খোদ উইলসন সাহেব ছিলেন ডিরোজিওর শিক্ষকতায় মুগ্ধ। আর তাঁর প্রাণাধিক 'ইয়ং বেঙ্গল গোষ্ঠী' তো ছিলই। কাজেই, ডিরোজিওকে বহিষ্কার করার প্রস্তাব ৬-৩ ভোটে খারিজ হয়ে গেল। ড. উইলসন ডেভিড হেয়ার শ্রীকৃষ্ণ সিংহ ডিরোজিওর পক্ষে ভোট দিলেন।
এ যাত্রায় তিনি বেঁচে গেলেন বটে, কিন্তু এই পরাজয় বিরোধীপক্ষ হজম করতে পারলেন না। তাঁরা ফের অভিযোগ আনলেন। মারাত্মক অভিযোগ। অভিযোগ মূলত তিনটি--- এক. ডিরোজিও নাস্তিক, ঈশ্বর মানেন না। দুই. পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা ও আনুগত্য দেখানো তিনি ছাত্রদের শেখান না। তিন. ভাইবোনের মধ্যে বিয়েতে কোনো দোষ নেই, তিনি বলেন।
১৮৩১ সালের ২৩ এপ্রিল। বিরোধী পক্ষের চাপে কলেজ কর্তৃপক্ষ ডিরোজিওকে একতরফাবহিষ্কারের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত নিলেন। যদিও বহিষ্কারের চিঠি পাওয়ার আগেই সসম্মানে ডিরোজিও কলেজ কর্তৃপক্ষকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। এবং সেটা উইলসনেরই পরামর্শে। যেদিন ডিরোজিওকে মিথ্যা অপবাদে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে হিন্দু কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হল, প্রতিবেদক বরুণ দাস কল্পচক্ষে দেখতে পাচ্ছেন ডিরোজিওর ছলছল চোখ, জিজ্ঞাসা করছেন, 'আপনার চোখে জল!' এইখানে পাঠকের চোখও বাষ্পাকুল না হয়ে পারে না।
পরে অবশ্য প্রতিটি অভিযোগের উত্তর দিয়েছিলেন ডিরোজিও, উইলসন সাহেবকে লেখা এক চিঠিতে, ১৮৩১ সালের ২৬ এপ্রিল। চিঠিতে তিনি জানান, ' For myself the consciousness of right is my safeguard.আমি কোনো মানুষের কাছেই ভগবানের অস্তিত্বের কথা অস্বীকার করিনি...ছাত্রদেরকে বলেছিলাম,দার্শনিক হিউমের বিখ্যাত সংলাপ রচনার কথা। ক্লিনথেস এবং ফিলো-র মধ্যে যে সংলাপ তিনি রচনা করেছিলেন, যা ঈশ্বর বিশ্বাস বা আস্তিকতার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি আমি ছাত্রদের Dr.Reid এবং Dugal Stewart -এর কথাও বলেছি, যাঁরা হিউমের কথার সঠিক জবাব দিয়েছিলেন।
দ্বিতীয় অভিযোগ অর্থাৎ বাবা-মাকে মেনে চলতে বারণ করার বিষয় ---এ ধরনের কোনো কুৎসিত অস্বাভাবিক এবং ঘৃণ্য কথা আমি কখনো বলিনি।
তৃতীয় অভিযোগ অর্থাৎ ভাইবোনের বিয়ের কথা প্রচার ---এটা আসলে আমার এক ছাত্র দরিদ্র ব্রাহ্মণ বৃন্দাবন ঘোষালের কাজ, সেই আমার নামে অপপ্রচার করেছে 'I can hardly bring myself to think that one of the college student with whom I have been connected could be either such a fool as to mistake everything I ever said or a knave as wilfully to mistake my opinions.'
হিন্দু কলেজের চাকরি গেল। অভাব অনটন জড়িয়ে ধরল আষ্টেপৃষ্টে। কিন্তু তিনি ডিরোজিও। দমবার পাত্র নন। ২১/ ২২ বছরের আয়ু নিয়ে জন্মালেও, তিনি যে বেঁচে থাকবেন আগামী বহু বছর বহু প্রজন্মের ওর প্রজন্ম। তাঁকে থেমে থাকলে চলে! নিজের লক্ষ্য নিজের আদর্শ দর্শন সমাজ সংস্কারের কাজে ফের ঝাঁপালেন। কলেজের চাকরি যাওয়ার পর তিনি বেঁচে থাকবেন আর মাত্র আটটি মাস। এরই মধ্যে শুরু করলেন 'দি ইস্ট ইন্ডিয়ান' পত্রিকা সম্পাদনার কাজ। কিন্তু অর্থ? আপাতত তিনি যে নিঃস্ব! বিক্রি করে দিলেন লাইব্রেরীর প্রিয় সব বইপত্র এবং দামী আসবাবপত্র। সম্পাদনা ও লেখালেখি শুরু করলেন 'ইন্ডিয়া গেজেট' 'ক্যালকাটা লিটারেরি গেজেট' 'ক্যালকাটা ম্যাগাজিন' 'ইন্ডিয়ান ম্যাগাজিন' 'বেঙ্গল অ্যানুয়াল' ইত্যাদি কাগজে। এদিকে তাঁর ছাত্র কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় প্রকাশিত হল 'দ্য এনকোয়ারার' দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায় প্রকাশ করলেন 'জ্ঞানান্বেষণ'।প্রথমে বাংলা পরে ইংরেজিতে। আর তার দেখভালের দায়িত্বে ডিরোজিও। লড়াই জারি রইল। সমাজে যুক্তি আর সত্য প্রতিষ্ঠার লড়াই।
আট মাস ফুরোতে কতদিন লাগে?পায়ে পায়ে এগিয়ে এল অন্তিমকাল। ১৮৩১ এর ১৭ ডিসেম্বর 'ধর্মতলা একাডেমিতে' গিয়েছিলেন পরীক্ষা নিতে। ফিরলেন কলেরায় আক্রান্ত হয়ে। ছ'দিনের মাথায় এই পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিলেন ডিরোজিও। তাঁর মৃত্যুশয্যা পাশে বিহ্বল দাঁড়িয়ে রইলেন মা সোফিয়া জনসন বোন এমিলিয়া ডঃ উইলসন ডেভিড হেয়ার ডক্টর গ্রান্ট প্রমুখ বিখ্যাত জনেরা।
ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যাবে, যাঁরাই প্রচলিত বিশ্বাস ও ধ্যান ধারণার বিরুদ্ধে গিয়ে দেশ ও দশের স্বার্থে নিজেকে নিঃশেষে অঞ্জলি দিয়েছেন, তাঁদের কপালে জুটেছে দুঃখ কষ্ট লাঞ্ছনা অপমান আর অপবাদ। ডিরোজিও-ও তার ব্যতিক্রম নন। জীবনে যেমন অপমান কুড়িয়েছেন দুহাত ভরে, মৃত্যুর পরেও তাঁর লাঞ্ছনার শেষ হয়নি। চার্চ এবং গির্জার বিরুদ্ধে কথা বলায় তাঁর ঠাঁই হয়নি পার্ক স্ট্রিটের গোরস্থানে। কবরস্থানের বাইরের রাস্তায় তাকে সমাহিত করা হয়।
এখানেই শেষ নয়, বরুণ দাসের লেখা থেকে জানতে পারছি, ডিরোজিওর মৃত্যুর ১০ দিনের মাথায় ১৮৩২ সালের ৫ জানুয়ারি একটা শোক সভা হয় ১২ নং ওয়েলিংটন স্কোয়ারে, তাঁর তৈরি 'প্যারেন্টাল একাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন' হলে। তাঁর স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিতে কৃষ্ণমোহন-- দক্ষিণারঞ্জনেরাও ছিলেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয় চাঁদা তোলার টাকা থেকে স্মৃতিস্তম্ভের খরচ বাদে যদি টাকা বাঁচে, তাহলে তা দিয়ে দেওয়া হবে ডিরোজিওর পরিবারকে। এখাতে ৮০০ টাকা উঠেছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের কথা, সে চাঁদার টাকা তছরুপ হয়ে যায়। স্মৃতিস্তম্ভ আর বসেনি। পরে তাঁর অনুরাগীরা কবরের উপর একটা বেদি নির্মাণ করেন। সেটি জীর্ণ হতে থাকলে কবরের উপর বসানো হয় খোদাই করা শ্বেত পাথর। হায়! সে শিলাপাট-ও চুরি হয়ে যায়। বর্তমানে অল ইন্ডিয়া অ্যাংলো ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের কলকাতা শাখার তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠিত শিলালিপি ডিরোজিওর কবরের স্মৃতি বহন করছে।
ঐতিহাসিক ড. নীহাররঞ্জন রায় বলেছেন, ' ডিরোজিওকে ভুলে যাওয়া বা উপেক্ষা করা জাতীয় জীবনে আত্মহত্যার সামিল।'
বাঙালি কী করে ভুলবে, এই শিক্ষাবিদ কবি দার্শনিক কর্মবীর সমাজ সংস্কারক স্বদেশপ্রেমী স্বাধীনতাপ্রিয় 'বিস্ময় বালক' বীর ডিরোজিওকে, সত্যিই তা যে হবে আত্মহত্যার-ই সামিল। বেঁচে থাকুন তিনি যুগ-যুগান্তর, বাঙালির কর্মে ও সাধনায়।
বইটি পড়ে পাঠক বাংলা তথা ভারতের কর্মবীর মহান কিছু পুরুষদের অসম্ভব কীর্তি সম্পর্কে ভিন্নতর আস্বাদ পাবেন, নিঃসন্দেহে বলা যায়।
কিছু কাল্পনিক সংলাপ
বরুণ দাস
প্রকাশক
দেবেন্দ্রনাথ দত্ত ৩/৭৯ যতীনদাস নগর, কলকাতা ৫৬
মূল্য * ২০০ টাকা
*************************************************************************************

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন