ধুলোর সংসার
অলক্ষ্যে আগুননদী আর
তার বহমান দাহজল...
পার হতে চেয়েছি অক্ষত
পিছু ডাকে কৃতকর্মফল !
ধুয়ে নিতে চাই মিথ্যা, মুখোশ, কৃপাণ
প্রতিটি উষ্ণীস চেনে রক্তের নিশান
কতটুকু ধু'তে পারি বলো !
এত এত লালসা অপার...
মোহ দিয়ে সাজানো-এ গতানুগতিক
আমাদের ধুলোর সংসার...
সমকাল
বয়ে যায়, বহু চর্চিত সঙ্গীত
ইতিউতি কান পাতলেই শোনা যায়
কত আফসোস, ফিরে আসবে কি আর!
সে স্বর্ণযুগ, পুরনো সে অধ্যায়...
সেই অধ্যায় থেমে আছে নাচ ঘরে !
চারিদিকে দেখি অন্ধ অক্ষরেখা
বুক ভরে শ্বাস, ভুলে গেছি কোনকালে
লড়তে লড়তে, বেঁচে থাকাটুকু শেখা
বেঁচে থাকা মানে মুখ বাঁধা, নত শির
শিরদাঁড়াটাও, সেটুকু নিজের নয়
কায়া নিয়ে শুধু ঘরে ফেরা কোনমতে
সন্ত্রাস জানে ছড়ানো ছিটানো ভয়
এ কুরুক্ষেত্রে, মারো, নয় লাশ হও
পিছু হটলেই বিঁধবে গোপন ছুরি
মুখ ও মুখোশে চেনা বড় দুষ্কর
নন্দিনী চেনে, পাষাণ অন্ধপুরী...
তবু রঞ্জন, দীপ জ্বালে কারাগারে
দীপ ছিল গুরুকূলে, তক্ষশিলায়...
সব অধ্যায় আলো জ্বালে সমকালে
মানুষের হাতে নির্মাণ বরাভয়...
সব ফিরে আসে, পৃথিবী নেহাত গোল
প্যাগান, ক্রুসেড অথবা জেরুজালেম
মথুরা, মদিনা মিলেমিশে একাকার
মানুষই গড়বে...নতুন বেথলেহেম...
বিবর্তন
ও প্রাচীন, মনে নেই !
তুমিই তো লিখেছিলে
জল থেকে জলে, যত প্রাণ সমারোহ...
কেঁপেছিল জলস্রোত, ঢেউ, আর ধীরে
মাথা তোলে জাগ্রত আবহ...
একে একে সে-আবহ
খুলে ফেলে, ছুঁড়ে ফেলে, ছিন্ন মরা ছাল
বাতাস সরল হাতে
ছুঁয়েছিল নবীন কপাল...
সে ছোঁয়ায় আলো ছিল
অকাতরে ছিল কা'র ডাক ?
জল থেকে উঠে এলো যারা
ছেড়ে এলো জলের পোশাক...
একটি আত্মহত্যা
ভুল পথে, চলে গেলি মেয়ে...
সারাদেহে কলেজের ঘ্রাণ
হাতে ছুঁলি দাহপত্র, ভেবেছিলি বাঁশি
অতলে জন্মালো ভ্রূণ, বুঝিস নি
এ-সময়ে, হাওয়া বড় সর্বনাশী...
ভুল পথে, নিভে গেলি মেয়ে...
ছড়ানো খইপথে, পেরোলি চৌকাঠ
পিছনে নিথর শোক,
মৃত্যুলীন ঘর...
এত অবেলায় !
ভালোবেসে, তোর নামে,
বসেছে ঈশ্বর...!?
*********************************************************************************************
তাপস মজুমদার। বাড়ি বসিরহাট। পেশায় একজন শিক্ষক। ভালোবাসি কবিতা পড়া, আলোচনা ও লেখা। সাধ থাকলেও সাধ্য বিশেষ নেই। তবুও কবিতাই ভালোবাসি। অন্যকিছু লেখা আমার সাধ্যের বাইরে।




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন