হামিদুল ইসলাম * দু'টি কবিতা
তখনো নদী
পায়ে পায়ে ফিরে আসি কোনো চেনা রাজপথ
উন্মুক্ত মাঠ জুড়ে মায়া
অস্বাস্থ্যকর বিকেল
আজও শিশির ভেজা জীবন কুড়াই সারারাত ।
দুচোখে বয়ে চলে করতোয়া নদী
হিসেবের খাতায় আঁকি গড়ের মাঠ
আধশোয়া রোদে ভাসে জাহ্নবী উবাচ
জাসমিনা সুবাসে ভরে ওঠে হাজার কোমল গান্ধার ।
তখনো নদী
তখনো পরবাস
সারা ঘুমবাগান জুড়ে অসহায় পদধ্বনি
ঝরাপাতা দিন
তখনো নগ্ন হাতে ইতিহাস মুছে দেয় কোনো এক অচেনা আগন্তুক ।
তবু পাথরে ফোটে ফুল
পাথরে ফোটে সূর্যমুখী
আজও নিঃস্ব রোদ খুঁটে খায় হাজার শ্রমিক
আজও হৃদয়ের গভীরে শুকিয়ে ওঠে হাজার অতলান্তিক ।
ঈশ্বরের নামে
আমাদের ছেড়ে হঠাৎ একদিন মা চলে গেলেন
আমরা তখন অনাথ
শিশুর মতো আমাদের এ ঘর ও ঘর যাতায়াত
কান্না শোক বেদনা জমে জমে
ক্রমশঃ পাথর ।।
আমরা আজও পাথর নিয়ে খেলি
পাথরে আঁকি প্রাচীন স্মৃতি
যমুনার স্রোতে ভাসে মায়া লাশ
লাশফুলে জলছবি। লাশফুলে সুগন্ধা নদী ।।
সব রোদ মুছে যায়
সব আলো নিভে যায়
কথার দ্রাঘিমায় ফিরে আসে আদিম রাত
ঈশ্বর আমাদের হৃদয়ে
তবু ঈশ্বরের নামে আমরা নাবাল জমিনে পুঁতি রক্ত গাছ ।।
ছেঁড়া তার
ছেঁড়া কথা
কথার গভীরে ঘুমিয়ে থাকে আমাদের পিতৃপুরুষ ।।
************************************************************************************************




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন