চন্দ্রাণী গোস্বামী * দু'টি কবিতা
নষ্ট অস্তিত্ব
আত্মনিপীড়ন শিখছি তখন
সূর্যতাপ জ্যোৎস্নায় চিৎকার করে অন্ধকার খুঁজি, বলি
কত আলো দেবে তুমি আর, বারবার! অশান্ত
তোমাদের ভিক্ষা দেওয়া আলোতে ব্যর্থ চোখে
আঁধারই ভালোবাসি, প্রশ্রয় খুঁজি কালো নগ্নতায়
ভূমাময় জ্যোৎস্নায় কে শেখাবে আমায় একেশ্বরবাদ?
একলব্যের নিষ্ঠা জড়ানো ক্ষুধা? আত্মউদারিকরণ?
এখনও মরণ খানিক দূরে
তার আগে এই ছাই হয়ে যাওয়া গরীব আলোয়
খুঁজে পেতে চাই ক্ষুধার দীর্ঘ নিঝুম,
কে দেবে আমায় অন্ধকারের রসদ দেয়ালা, কার স্পর্শ
ঘন করে তুলবে ব্যর্থ আলোর মাঝে আমার কাঙ্খিত ঘুমে!
সংসারের সব কাজে ধ্যানে জ্ঞানে হৃদয়ে রহ"
চাঁদের তুলিতে আঁকা আমার
একটা বিরান বারান্দা ছিল
সুর ছিল, গান ছিল, আকুলতা ছিল
আর ছিল সে.....
নেই....
তবু বারান্দার উজ্জ্বল স্মৃতির কথা লিখি
জ্যোৎস্নায় ভেসে যাওয়া
স্বামী সোহাগী বকুলগন্ধী মেয়ের
ভালোবাসার সুবাস লিখি
অনেকটা ঠিক রাতের রজনীগন্ধা
আর লিখি তার না পাওয়া....
আশ্চর্য বিচ্ছেদ বেদনা, সেখানে
অব্যক্ত কথাবীজরা সুর তোলে
"হে সখা মম হৃদয়ে রহ....."
বহুদূর থেকে হাত বাড়ায় সখা---
আমার শৈশবে হারানো বাবা
গানে স্পর্শ করে আমার মা তাঁকে
তখন এখানে বারান্দা.... হাসে কাঁদে
***********************************************************************************************
জন্ম সত্তর দশকের শেষদিকে। স্কুল জীবন, বড়ো হয়ে ওঠা সবই কলকাতায়। পড়াশোনা স্নাতকোত্তর , কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে কলকাতার একটি কলেজে হিসাব রক্ষণ বিভাগে কর্মরত। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির প্রতি তীব্র আসক্তি। নতুন শতকের প্রথম দশকের শেষ থেকে নিয়মিত লেখালেখি। কবিতা আশ্রম, কৃত্তিবাস, গাঙ্গেয়, অপদর্থের আদ্যক্ষর, বম্বে ডাক, তমোহা, সাজি পত্রিকা, বিকল্প বার্তা সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত।





দুটি কবিতাই সুখপাঠ্য।
উত্তরমুছুন