অণুগল্প সাহিত্যের একটি বিস্ময়কর শাখা। ' বিন্দুতে সিন্ধু দর্শন ?' ঠিক তাও নয় যেন, বিন্দুতে সপ্তসিন্ধু দশ দিগন্ত চকিতে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে সার্থক অণুগল্পে। তেমনই একটি অসাধারণ অণুগল্প এবার আমরা পড়ছি শর্বরী চৌধুরী-র কলমে -----
সম্পর্ক
শর্বরী চৌধুরী
-হ্যালো দিদি, আপনি আপনার তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ "নবান্নের গান" এর জন্য 'কবি স্বর' পুরস্কার পাচ্ছেন।
শমিতা শংকিত হয়ে ওঠে এ খবরে। আনন্দের লেশমাত্রও জাগেনা মনে। শোভন এখনও কোনো পুরস্কার পায়নি। এ নিয়ে তার মনে প্রচুর ক্ষোভ। শোভন খুবই ভালো লেখে। তার লেখার প্রশংসাও করে অনেকে ; কিন্তু কেন কে জানে তার ভাগ্যে পুরস্কারের শিকে ছেঁড়ে না !
এক মুহূর্ত ইতস্তত করে শমিতা, তারপর দৃঢ় কন্ঠে বলে- ভাই, প্লিজ আপনারা অন্য কাউকে পুরস্কারটি দিন। আমি নিতে পারছি না।কিছু মনে করবেন না।
ভাগ্যিস শোভন বাড়ি নেই, ভাবে শমিতা।
রাত্রে বিছানায় শোভন জড়িয়ে ধরতে যায় শমিতাকে। --আজ থাক, শরীরটা ভালো নেই।
পাশ ফিরে শোয় শমিতা।
*****************************************************************
দিদি মন খারাপ হয়ে গেল । তবে খুব সুন্দর লেখা ।
উত্তরমুছুন