কবি গোবিন্দ মোদক-এর দুটি কবিতা
বুকের ভিতর আস্ত নদী
বুকের ভিতর একটা আস্ত নদী নিয়ে ঘর করি
চিৎ-সাঁতার কাটে কতো অসতর্ক মুহূর্ত,
তৃষ্ণা'র এক গণ্ডুষ জল পোড়ায় নিদাঘের রোদ;
অথচ সে-ই আবার রাক্কুসি হয়ে
খল-খল-খল বেজে ওঠে শ্রাবণের ঘনঘটায়।
দু'পাড় ভাঙা ... উত্তাল ঢেউ ...
সাধ্যের বাইরেও ভাসায় দু'কূল –
পুজোর আগে বন্যা – খবরের কাগজের হেডলাইন,
ভেসে যায় বেড়ার ঘর, নিকানো মাটির দাওয়া,
তোলা উনুন, ফুটন্ত ভাতের গন্ধ,
আদিবাসী রমণীর মাথার চুলে করঞ্জ তেলের গন্ধ।
নদী কি চায়, আজও ঠিকঠাক বুঝি না !
অনুল্লিখিত অধ্যায়
অসময়ে কোকিল ডাকছে।
তার মানে এই নয় যে বসন্ত এসেছে।
তবু মনকে বাসন্তী রঙে রাঙিয়ে ছৌ নাচি,
কলমে কালি ভরি ...
আর প্রগাঢ় এক বিস্ময় দু'চোখে নিয়ে
তাকিয়ে থাকি সাদা পৃষ্ঠার দিকে।
গাছের ছায়া হাসে, পাখি হাসে।
শূন্যতার গান হাসে, ফুল গন্ধ ছড়ায়।
আর এলোমেলো আঁচড়ে রচিত হয়
আর এক অনুল্লিখিত অধ্যায়।
************************************************************
প্রকাশিতব্য গ্রন্থ:- পদ্য ভরা আমার ছড়া * ছন্দ ভরা আমার ছড়া * রূপকথার রূপ-কথা * ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ * গুপ্তধনের সন্ধানে * জীবনের রোদ-রং ইত্যাদি।
 
বুকের ভেতর আস্ত নদী, আহা কি অপূর্ব লিখলেন
উত্তরমুছুন