কবি চন্দন রায়-এর দুটি কবিতা
কবিকে জল দাও
কবিকে আগুনে পোড়াতে চেষ্টাও ক'রো না
পৃথিবীর সমস্ত আগুন সৃষ্টি করেছে কবি
জন্মদাতা----
এতদিন তোমাদের কাছে বনবাসের গল্প
বলেছি। এবার রক্ত খাওয়া সিংহের গল্প
বলবো----
দুয়োরে সিঁড়ির নিচে কবি দাঁড়িয়ে আছে
তাঁকে ওপরে ডেকে নাও
জল দাও
পারলে বাতাসের কাছে বসিয়ে সব খুলে বলো
একমাত্র কবিই পারে
রাতের মন্থর সংসারে মায়ার ছন্দ এনে দিতে---
প্রেম পাগলের হিসেব
তুমি এসো
দক্ষিণ দিকের দরজা খোলা
মন পলাশে পাপোশ
গন্ধময়---
সে পারে না
আমিই করি, খবর ছিল
আসবে তুমি সমুদ্র
ভিজে শরীর----
চতুর্দিকে
বৃষ্টি ভেজা গাছের ছায়া
দুঃখের মত শব্দ
সব পাতা---
সাজিয়ে দেখি স্পষ্ট আলোর
ভিতরে এক মূর্তি আঁকা
অতর্কিতে--
রাঙা জল
কখন গলে তোমার
শুয়েই আছে নৌকো হয়ে
শব্দময়----
তুচ্ছ নয়
এসব কথা প্রেম পাগলে
হিসেব করে একলা হলে
অনর্গল----
******************************************************
কবিকে জল দাও
উত্তরমুছুনকি অপূর্ব লেখা আপনার । ভাবনার গভীর উপলব্ধি ।
"একমাত্র কবিই পারে/
উত্তরমুছুনরাতের মন্থর আকাশে মায়ার ছন্দ এনে দিতে—"
চন্দন পারেন।
কবি চন্দন রায়ের কবিতায় একটা ইন্দ্রজাল চাবুক আছে যার আঘাতে বারবার আহত হতে সাধ হয়....অন্তরে থাকেনা নিহতের অমোঘ ভয়
উত্তরমুছুন