কবি শ্রীময়ী দে-এর দুটি কবিতা
অন্বেষণ
খুঁজতে শুরু করেছি বহুদিন।
শীতল জলরাশির অস্থির চাপান-উতোর,রূপকথা গোঙরায় আজও।
আজানুলম্বিত ধুঁকে যাওয়া,বিকিয়ে যাওয়া মেরুদণ্ডের নির্লিপ্ত স্নায়ু
চাপা পড়ে বালাপোষের উষ্ণতায়।
মাটি ফুঁড়ে ওঠে লাল ক্ষত,পাঁচমেশালী রমণ।
উদ্দাম আক্রোশে রোধ করি অগ্ন্যুৎপাত।
ক্রমে জুঁই-এর গন্ধে মিশে যায় আকুলতা,
সোমরসের প্রবাহ প্রাণ পায় ইন্দ্রলোকে।
অগোছালো চুল তেল-জলে ডুব দেয় ভরপুর,রাত-ভোর চুঁয়ে পড়ে তেজ।
খোঁজ তবু চলতে থাকে -
রংমশালের ক্ষীপ্রতায় স্পষ্ট হয় অশরীরী কাম।
প্রাণঘাতী আলিঙ্গনে জেগে থাকে চঞ্চল সাঁঝবাতি।
রাত শেষ হওয়ার আগে ঝলসে ওঠে অস্থিমজ্জা।
পুড়ে খাঁক হওয়ার মুহুর্তেও খুঁজতে থাকি-
সময়ের কোটরে গুম মেরে থাকা প্যানডোরার বাক্স।।
বাঘবন্দী খেলা
লেখার জন্য একটু আবেগ চাই।আবেগের জন্য চাই কিছু মুহুর্ত।
যেখানে বাঘবন্দী খেলবে মন-
ঢেউ-এর ওঠাপড়ার সাথে তাল রেখে শরীর বাইবে নৌকা।
ভাটিয়ালি সুর,মজলিশের ঝাড়বাতি,কিংবা বুনো মহুয়ার
গন্ধে মাখো মাখো হয়ে ডুব দেব রসাতল।
শব্দ-শূণ্য হয়ে ভেসে যাবে শরীর।
তল থেকে অতলে-
যতদূর যাওয়া যায়।
মুহুর্তেরা জব্দ হবে শুধু।
মায়ার সাথে কায়ার দোটানায় জিতে যাবে আবেগ।
আমার কবিতারা মুঠোবন্দী হবে অভিমানের পানপাত্রে।।
**********************************************************
এই প্রথম আপনার লেখা পড়লাম । বিস্মিত হলাম, আপনার ভাবনার অভিব্যক্তি দেখে । শ্রদ্ধা জানাই কলম কে ।
উত্তরমুছুন