কবি কৌশিক সেন-এর দুটি কবিতা
কনে দেখা আলো
থরে থরে সাজিয়ে রাখা জল নূপুরের শব্দে
বিকেল আসে। প্রেমিক ভেবে যাকে ভুল
করেছিল দুপুররোদের পাগলিনী, তার
শরীরে কাঁচা দুধ ঢেলে যায় ভোরের কুমারী
মেয়েরা। এখন জলে নিষ্কাশিত হয় সাতরঙ।
পালটিঘর দেখে ফিরে গেছে মেয়েগুলি।
কনকাঞ্জলি ছড়ানো ছেটানো একাকী অপরাহ্ণে...
নফরত
করোটি গুহার ভেতর বসবাস করে দেখেছি,
গোস্ত বিরিয়ানির ধোঁয়ায় কেমন দোক্তা পাতার
গন্ধ আসে! রাত নামলে মাড় ছেকে ফেলে দিয়েছি
বেওয়াফা জ্যোৎস্নার প্রান্তরে। বেহেস্তের হুরের
হাত ধরে পালিয়ে গেছি রেশমি চুড়ির জঙ্গলে।
আমার হুলিয়া লাগিয়েও কোনো ফায়দা হবেনা
বিবিজান! আমাকে খুঁজে পেতে গেলে তোকে
কোটিবার জন্ম নিতে হবে এই অনন্ত দোজখে,
কোটিবার জিস্ম বদলে আসতে হবে এই মায়াবী
মেহ্ফিলে।
আমি কোনো ফরিস্তা নই যে আমাকে পেতে গেলে
তোকে মান্নত রাখতে হবে পীর সাহেবের দরগায়,
দিয়া জ্বালতে হবে জুম্মাদিনের মজ্হারে। কিন্তু
একবার যখন আসমানি অন্ধকার থেকে বেড়িয়ে
আসতে পেরেছি, তোর লাখ মান্নতও আমাকে
ফেরাতে পারবেনা, তোদের এই ফুটানির সল্তনতে।
এই ঘোর গুনাহের ভেতর দিয়ে চলে যেতে যেতে
আমি দোক্তা পাতার মহেক বুনে দিয়ে যাবো তোর
হিজাবের অন্ধকারে!
********************************************************
কনে দেখার আলো কবিতাটিতে একটি আলোর দর্শন পেলাম।বোধ করি সেটা স্রষ্টার অন্তরের আলোকবর্তিকা।
উত্তরমুছুন