কবি উদয় ভানু চক্রবর্তী-র দুটি কবিতা
এসো বৈরাগী হই
১)
এই কবির বিনিদ্র বাসর, এখানে নক্ষত্রদের মেলা বসে,
অক্ষর রাত্রি তার গোপন প্রদীপ জ্বেলে রাখে-
যেদিন অন্ধকার করেছিল চারপাশ,
কারা যেন অধিকার করতে চাইলো সব,
ঈশ্বর অবাক চোখে দেখেন খুটে খাওয়া সাহিত্যের হানাহানি!
২)
সে যেন কোনো দুঃখী নায়িকা, খেজুর পাতার মতো লাজুক,
ঝাউয়ের মতো তার দীর্ঘশ্বাস- বাঁশির ব্যথায় নীরবে হেঁটে
রোজ রাতে সে যায় চোরাবালির কাছাকাছি-
অথচ প্রতিবারই পৌঁছে যায় আরেক নির্জন দ্বীপে!
৩)
ক্রমশঃ গাঢ় হয় পৃথিবী, মেঘমালাটি ভেঙ্গে ভেঙ্গে
এখন চুম্বনপ্রার্থী, মধুরঙা আলো জ্বলছে নদীর গায়ে-
বাজুক দোতারা, উড়ুক মন, এঁকে দিই অনাহুত স্বরলিপি,
প্রসারিত এই রাতে এসো বৈরাগী হই দুজনে!
হিসেব
এই যে শিশিরে ভেজা নশ্বর জগত,
স্মরণীয় সিঁড়িটা উঠে যাচ্ছে ওপরে !
এক পা দু পা করে এগিয়ে চল পথিক, থেমো না-
উঁচুতে আরো উঁচুতে, পাইনের শিখর ছাড়িয়ে,
মেঘের উর্দ্ধে শূণ্যতায়, তারাদের বিজন প্রান্তরে-
কী অসীম, অপার এই পথ,
এভাবেই হাজার হাজার মাইল পেরিয়ে এসেছো তুমি!
ভুলে গেছো জলভাঙ্গার শব্দ, তুমুল হাওয়া-
ঝাঁপিগুলো নিঃশব্দে বন্ধ হয়ে আসে, আশ্রয়ের নিভৃতে
ঘুমিয়ে পড়ে ওরা সবাই!
কুয়াশা সরিয়ে পাখি কেন উড়ে যাও!
ওগো অভিমানী দাঁড়াও,
যেয়োনা পিছু পিছু-
ডানা মেলার আগে,
যা নিয়েছো, দিয়ে যাও আজ তারই কিছু !!
********************************************************
অত্যন্ত মিতবাক এই কবির কবিতা পড়ে মুগ্ধ হলাম। এক অতীন্দ্রিয় স্বরক্ষেপণ।
উত্তরমুছুনআপলুত
মুছুনমন্তব্য করার ধৃষ্টতা দেখাতে পারলাম না । অসাধারণ ।
উত্তরমুছুনভালো লাগল।
উত্তরমুছুন