অণুগল্প সাহিত্যের একটি বিস্ময়কর শাখা। ' বিন্দুতে সিন্ধু দর্শন ?' ঠিক তাও নয় যেন, বিন্দুতে সপ্তসিন্ধু দশ দিগন্ত চকিতে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে সার্থক অণুগল্পে। তেমনই একটি অসাধারণ অণুগল্প এবার আমরা পড়ছি ----
অতীত ভবিষ্যৎ
প্রভাত ভট্টাচার্য
সৌম্য শ্যামবাজারে চায়ের দোকানে চেয়ারে বসে টোস্ট খাচ্ছে। একটু বাদেই চা চলে এল। আরো কয়েকজন বসে চা টা খাচ্ছে আর কথাবার্তা বলছে। বেশ একটা চমৎকার পরিবেশ, অন্তত তার পক্ষে। গভীর চিন্তাভাবনা করবার আদর্শ জায়গা।
মাঝে মধ্যেই সে চলে আসে এখানে। বেশ ভালোই লাগে।
চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে সে তাকিয়ে ছিল সামনের দিকে। সামনেই রাস্তা। ব্যস্ত পাঁচমাথার মোড়।
আচ্ছা, সিন্ধু সভ্যতার যুগে এখানে কি ছিল? চায়ের দোকান নিশ্চয়ই ছিল না। তখন তো চা খাওয়ার ব্যপার ই ছিল না। ছিল না বাস, গাড়ি, বাইক, ট্রাফিক পুলিশ। হয়তো এখান দিয়ে বয়ে যেত এক নদী। নদীর ওপর দিয়ে জলযানে চলেছে, কল্পনা করল সে।
আর কী নেবেন দাদা?
একটা অমলেট।
শুধু শুধু বসে থাকাটা ভালো দেখায় না। তখন অমলেট বানানো বা খাওয়া হত বলে তো মনে হয় না।
এসব গভীর কথা নিয়ে কারোর সঙ্গে আলোচনা করাও মুশকিল। কি ভাববে আবার।
হাজার বছর কিংবা তারও পরে এখানে কি এই চায়ের দোকান থাকবে, না কি অন্য কিছু হবে। তখনও কি লোকে চা খাবে?হঠাৎ চোখ গেল ঘড়ির দিকে। চারটের সময় যাওয়ার আছে এক জায়গায়।
সিন্ধু সভ্যতার যুগে ঘড়ি ছিল না বোধহয়।
***********************************************************************************************



অন্যরকম। সুন্দর। ভাবায়।
উত্তরমুছুন