গৌতম কুমার গুপ্ত * দু'টি কবিতা
চন্দ্রাহত
চেখে দেখেছি তোমার রঙ
রঙীন আমার স্বাদ
আমার চন্দ্রাবকাশ হল
তুমি তো জ্যোৎস্না ভালবাসো
অথচ রাত্রি ছিলে না
দ্যাখো
এই মুহূর্তে শেষ পাখিটিও উড়ে গেল
অবলোকনে ব্যত্যয় হল না আমার
অথচ তুমি জেগে আছো, চন্দ্রাহত
বেলাশেষে
এক দুই তিন গুণে বলে দিতে পারি শত্রু
একশো থেকে গুণে বলে দিতে পারি মিত্র
মানুষের ছায়াপথে আমার জীবন য়াত্রা
আঁধার অথবা আলো নকল খাঁটির মাত্রা
কিভাবে এগোবে নৌকা আমার শুধু জলে
বেগহীন জলে আবেগে কি শুধু পথ চলে?
ছায়া বেড়ে চলে সায়াহ্ন বিকেলে শেষপথ
বেলাশেষে চলে বিদায়ের গানে মুক্তিরথ
*************************************************************************************************
জন্ম ১৩৬৭ বঙ্গাব্দে বাঁকুড়া জেলার শালতোড়া থানার গোপালনগর গ্রামে।বর্তমানে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের বাসিন্দা।প্রথম জীবনে সাংবাদিকতা পরে ই সি এলে কেন্দা এরিয়া বিভাগের কর্মী ছিলেন।২০১৯ সালে চাকুরিজীবন থেকে অবসর গ্রহন করেন।শিক্ষাগত যোগ্যতা বিজ্ঞান এবং কলা বিভাগে স্নাতক।পরে পার্সোনাল ম্য্যানেজমেন্ট ইনডাসট্রিয়াল রিলেশনে স্নাতকোত্তর পাশ করেন।আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে লেখালেখি শুরু।'কালকেতু' নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তো বটেই ওয়েব ম্যাগাজিনেও গল্প কবিতা প্রবন্ধ লিখে থাকেন।এ পর্যন্ত তাঁর চারটি কাব্যগ্রন্থ " সময়ের এই জলসাঘরে,'স্বভাবের সিলেবাস','অক্ষর ভাইরাস' এবং 'বিষুবরেখার পাখি' প্রকাশিত হয়েছে।কয়েকটি নাটকও লিখেছেন। ইতিমধ্যে "কয়লাক্ষেত্র "এবং কৃষ্ণগহ্বর নামে দুটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।।শীঘ্র একটি কাব্যগ্রন্থ 'যদি হৃদয়ের কথা বলো'প্রকাশিত হতে চলেছে।


ভাল লাগল
উত্তরমুছুন