শনিবার, ৮ জুলাই, ২০২৩

রাজীব দে রায়



রাজীব দে রায় * দু'টি কবিতা








অনন্তের পাঠশালা 

দন্ডকাল জিরিয়ে নেবার জন্য পাতালছায়ায় বসেছি। মুখের সামনে মেলে ধরেছি মধুক্ষরা আয়না। আয়নায় দৃষ্টি নিবদ্ধ হতেই দেখি, বনসাইয়ের মতো কয়েকটা জড়ুল মুখময় ফুটে উঠেছে। জীবাশ্মের ছায়ার মতো পড়ে আছে কয়েকটি সন্ত্রস্ত আঁচিল।

অনেককিছুই স্মরণে ছিল না। আয়না দেখামাত্রই এতকালের অবরুদ্ধ জরাভয় অবিনাশী স্ফুলিঙ্গের মতো জ্বলে উঠলো। যদিও নিশ্চিতভাবেই জানি, আলোর ওধারে রয়েছে যে অনন্ত নৈঃশব্দ ও সঞ্জীবনী অন্ধকার, সেই নীল-কালো মহাকালের ভিতর ঘূর্ণায়মান সবকিছুই একদিন ; মাংসের কিমার মতো ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে।












টার্গেট 

কুয়াশার মোলায়েম বিন্দুগুলো

প্যারাট্রুপারের মতো করে

যখন মাটি ছোঁয়...


হয়তো তখন, ঘুমন্ত পাঠকের

মাথার কাছে একটি আধখোলা বই

কিছু পৃষ্ঠা এধারে, কিছু ওধারে


মধ্যবর্তী বিভাজিকা

যেন সুগভীর গিরিখাত


এই উপত্যকার ঢাল বেয়ে

বুকে হেঁটে, পিলপিল করে

উঠে এসেছে মৌন অক্ষরমালা


এরা সামরিক বিন্যাসে সুশৃঙ্খল

দু'ধারের ভূমিতে সারিবদ্ধ শুয়ে আছে

বন্দুক উঁচিয়ে--ঘুমন্ত চোখের দিকে ।


***************************************************************************************************



রাজীব দে রায়

ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ারে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। শিক্ষাগত যোগ্যতা- উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে M.A. পেশা- উচ্চ-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা। একাধিক লিটল ম্যাগাজিন,পত্র-পত্রিকা এবং বিভিন্ন ব্লগজিনে কবিতা ও গল্প প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে জলপাইগুড়ি শহরের স্থায়ী বাসিন্দা


৩টি মন্তব্য: