ইন্দ্রাণী সেনগুপ্ত * দুটি কবিতা
আমি মেঘমল্লারে ,খোলা চুলে
একটা সঙ্গীতের মধ্যে
আমি তোমাকে আজ দেখতে পেয়েছি
একটা সঙ্গীত যা তুমি মাঝরাতে শুনতে থাকো
অনেক সাঁকো পেরিয়ে, ঢেউ মাখতে মাখতে
অন্ধকারে আমার কাছে চলে আসে
এই শব্দের ঝুরোমেঘ নাকি
বৃষ্টি নামিয়ে দিয়ে
নায়ক নায়িকাকে মোহিত করে দেয়
আমি সেই ধ্বনির মধ্যে ঢুকে
তোমাকে স্পর্শ করলাম
তুমি একবার চেয়ে দেখো
আমার খোলা চুলে মেঘেরা
কিরকম বৃষ্টি নামিয়ে দিয়েছে.......
এই ঘুর্ণিবৃষ্টি তুমি দেখতে পাও না
আমি একা দেখতে থাকি শুধু
আভোগ এলে শুধু সংকেত পাঠিয়ে দিও
আমি মেঘমল্লারে খোলা চুলে
অপেক্ষায় আছি........
কবচকুণ্ডল তুমি নদীতে ভাসিয়ে দাও
তোমার অস্থিরচিত্ত যখন
শেষ প্রহরে তোমাকে আতপ অভিমুখে নিয়ে যায়
আমার ঋজুতাকে তুমি
অলঙ্কার ক'রে নাও
যে তাবিজ কবচ তোমার বাহুমণ্ডলকে
নিথর করে রেখেছিলো
আত্মজ্ঞানের বাধা স্বরূপ
কবচকুণ্ডল তুমি এবারে নদীতে ভাসিয়ে দাও
তোমার স্বভাবকে আকর্ষণ করে
এমন তো কেউ নেই আর আমি ছাড়া
প্রেম যখন আত্মজ্ঞান স্বরূপ হয়ে ওঠে
তখন অন্নময় কোষ পেরিয়ে
একের পর এক কোষের আস্তরণ খসে পড়ে
আমি প্রেমের যোগ অবস্থায়
স্থিতধী হতে চাই,
যেখানে সহস্রকিরণ নিঃশেষ হয় না
এই স্থূল জগতে এখন ভালোবাসা মানে
আবেগের দাস
আর যৌনতা কিছু মানুষকে
নিত্য জিম প্র্যাক্টিস শেখায় মাত্র
ব্রহ্মের প্রথম প্রকাশ হল প্রাণ,
দ্বিতীয় শ্রদ্ধা
হে প্রেম, তুমি এখানেই অধিষ্ঠান করো...
************************************************************************************************






'প্রেম যখন আত্মজ্ঞান স্বরূপ হয়ে ওঠে /তখন অন্নময় কোষ পেরিয়ে/একের পর এক কোষের আস্তরণ খসে পড়ে', 'ব্রহ্মের প্রথম প্রকাশ হল প্রাণ,/দ্বিতীয় শ্রদ্ধা/হে প্রেম, তুমি এখানেই অধিষ্ঠান করো...'-----ভীষণ ভাল লাগলো দ্বিতীয় কবিতাটা
উত্তরমুছুন