নিমাই জানা * দু'টি কবিতা
নেফ্রাইটিস ও কাঞ্চনজঙ্ঘার ভেতর তিন কর্পূরের দূরত্ব
অ্যাকুইট নেট্রাইটিসের নীল প্রিজমের মতো ধারালো রক্তচক্ষু সুনন্দ পুরুষের শরীর থেকে নিক্ষিপ্ত হরিণাকার সর্পিল সাপের অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির স্নায়ু মন্ডলের পঞ্চম দৈর্ঘ্যের গামা জননতন্ত্রের তেজস্ক্রিয় পাখিরা হ্যালোজেন অন্ধকারে নেমে বায়বীয় বাষ্পমোচনের সমান্তরাল কবিতা লিখছে , একটি মৃত নারীর দুটো পায়ের ভেতর দিয়ে অজস্র কাঞ্চনজঙ্ঘার পাখিগুলো বরফ আঁকড়ে ধরে ভেজা বারুদের মতো মৃত গান গাইবে সপ্তঋষিদের সুরে
এক নীরাভরণ গন্ধেশ্বরী ভান্ডারের ভেতরে আত্মহত্যাকারী মৃতদেহ পোড়ানোর জন্য ৩ গ্রাম কর্পূরের সাথে সকল শ্মশান বন্ধুরা তিন পূর্ণ একের পাঁচ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এককের দূরত্বে দাঁড়ানো তৃতীয় কৃষ্ণ গ্রহণের পাখিদের সাথে নীল মোহ অন্ধকারে হারিয়ে গেল ,আমি আমার পায়ের অবতল পৃষ্ঠার উপর ৩৩ টি মৃত ঝাউ গাছের কঙ্কাল পুঁতে দিচ্ছি রোহিনী নক্ষত্রের অশৌচ ছায়া থেকে মৃতজীবীদের খোলসে দুটো আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেওয়ার পর ,বাই ল্যাটারাল জিভের নিচে দাঁড়ানো অদৃশ্য নিকোটিনামাইড খাওয়া অতৃপ্ত পুরুষেরা সম্পৃক্ত জনন লিঙ্গগুলো লুকিয়ে রাখলেই প্রতিটি রাতে তিনবার লাটেক্স ফিঙ্গারের গর্ভপাত দেখা দেয়,একটা জলজ ঘোড়া তার নুপুর খুলে রাখে , আমিও মৃত মৃত লাল পেয়ারা গাছেদের কাছে গেলে ঈশ্বর উলঙ্গ হয়ে যান
হরমোনাল পাথরের মতো বলাৎকার পাখিগুলো তিন সিগমা দৈর্ঘ্যের রাংতা মোড়ানো পরিচ্ছদের নিচে এক একটা বিহারীচক এঁকে ফেলে মৎস্যজীবীদের হাতের কাদা মাটি দিয়ে ,অদৃশ্য মানস সরোবরের নারীদের কাঁচ গোলাপীর রমন বিষয়ক স্থানাঙ্ক লুকিয়ে রাখার জন্য একটি অবৈধ জানালার প্রয়োজন হয় , জানালা ও অন্তর্বাসের ভেতরে তিনটি মায়াপুর লুকিয়ে থাকে বলে আমি দুটো রগরগে কৃন্তক দাঁত দিয়ে ইন্দ্রপ্রস্থ খুঁড়ছি ,
যুধিষ্ঠির ভেজা সমাঙ্গ চিহ্ন নিয়ে মহাপ্রস্থানে যাচ্ছেন ধ্বজভঙ্গ আগুনের শীৎকার নিয়ে
চৈতন্যপুরের সন্ন্যাস ও যজ্ঞস্থলীর অভিশাপগ্রস্থ সাপেরা
চৈতন্য দুপুরের অবকল উষ্ণতার জেনেটিক পাখিদের মতো শরীর নিয়ে আমরা যারা নীল জরায়ুহীন অন্ধকারে এক একটা ফেনোটাইপ পাখা নিয়ে উড়তে উড়তে নগ্ন অঙ্কুর বীজহীন জলাশয়ে এসে উষ্ণতম স্নান করছি তাদের আজ কালো ইস্পাত রঙের একটা রক্ত বমি হল , আমার নীল পাকস্থলীর কাছে একটা যক্ষা রোগের পরকীয়া জলাধার ঝুলে আছে
আমার মৃত উদ্যানের চারপাশে সর্পিলাকার শাঁখা মুঠো চিতিসাপ গুলো আমার দুর্গন্ধময় অংশুমান আঙুল গুলোকে ক্রমশ আঙ্গুর বীজের মত গলিয়ে যাচ্ছে , রুদ্র পুরুষটি পিশাচ যজ্ঞস্থলীর ভেতরের অদৃশ্য দড়িটি ছিঁড়ে ফেলল অভিশাপগ্রস্থ সঙ্গীতটি গলায় লুকিয়ে রাখার পর , মৃত নদীর কাছে মাঝে মাঝে দেবর্ষি স্নানে যেতেন বিবিধ শ্লোক ও গ্রন্থ কথা নিয়ে
একটা মৃত অশ্বত্থ গাছের জরায়ুজ শৃঙ্খলিত পাঁজর ধরে উঠতে উঠতে একটা ফুসফুসের নীলাভ গর্তের ভেতর হারিয়ে গেলাম আমি ও আমার পঞ্চদশ বর্ষীয় শান্ডিল্য বংশধরেরা ,
অদৃশ্য সন্ন্যাসীনীরা অজস্র আগুনের মতো পাথর ও রক্তস্রাবহীন গর্ভাশয়ের ভেতর বসে বসে একা গর্ভধারণের চারা গাছটিকে লাগিয়ে দিচ্ছে ,বর্ণহীন ইছামতির গোড়ায় আমি কালো অসুখগুলোকে নীল শুকতারার দাঁত দিয়ে কাটতে কাটতে মহাকাল নামক একটি সুরখণ্ডের হত্যাকারী সেজে উঠছি , রাতের স্নায়ু মন্ডলকে একাকী ধারালো কুঠার দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে অদৃশ্য নোঙর থেকে ঝুলিয়ে রাখছি লাল করবি ফলের গুঁড়ো গুঁড়ো বীজের মত
চন্দন কাঠের শিথিল স্তন ফোঁটা গুলো নিয়ে একাকী জলাশয়ের ভেতর নপুংসক স্নান করছে লাল পরকীয়া বুড়াল বাজারের মতো একটি অ্যালকোহলিক জনপদের অদ্বৈত শচীন পুরুষটি , নীল ত্রিভুজের কাছে গেলে যজ্ঞ ধ্বংসকারী ব্রহ্মাস্ত্রেরা মাথার ভেতরে কাম শূন্য আগুন জ্বালায়
হেমোরেজ মাখানো পিরাসিটাম শ্মশানের কাছে এলে প্রতিটি মানুষ লাল জবা ফুলের মত সত্য কথা উপড়ে দেয় আমি শুধু স্ত্রীলিঙ্গ জীবাশ্মীর মতো একটা গভীর রাতের অন্ধকারে নীল জামরুল ফলের ভিতরে ঢুকে যাওয়ার পর পচা গলা জেলিফিশের থকথকে প্রোস্টেড গ্রন্থির ভেতরে শুক্রাশয়ের মেসোজোম কণাগুলোকে গুছিয়ে রাখি চন্ডালের মতো , আমরা অলৌকিক , দুটো পায়ের ক্ষুধার্ত কাটা ধমনীর হাঁ মুখে রেখে দিচ্ছি কার্বনেটেড ৫০০ দৈর্ঘ্যের একটি ডি থ্রি আগুন , সাদা রজনীগন্ধা ফুল আসলে একটি বাই সালফেট তলপেটের মতো পোস্ট অপারেটিভ আগুন দাগ গুলো ক্রমশ লোমশ হয়ে উঠছে
*********************************************************************************************


ভালো লাগলো। দ্বিতীয়টা বেশি ভাল লাগলো
উত্তরমুছুন