অলোক পুষ্পপুত্র * দুটি কবিতা
প্রতীক্ষা
দাওয়ায় বসে সাজাই খিলিপান
ইষ্টিকুটুম ডাকছে সজনেডালে
গুড় বাতাসা কুঁজোয় রাখা জল
শীতলপাটি রৌদ্রে পুড়ে এলে
হাতপাখাটি ঝালরমোড়া ধার
সাধ্যমতো ফলার চিঁড়ে দই
পানের খিলি এখন কেন সাজি?
তাম্বুলরাগ শিখিয়েছিল সই
সই গিয়েছে মুখটি ঢেকে পানে
একলা ঘরে প্রহর অনন্তর
চণ্ডীদাসের শ্লোক যদি হয় বুড়ি
বড়াই বাঁধে পান-বরোজে ঘর!
দাওয়ায় বসে সাজাই খিলি পান
পথ দেখা যায়, বাঁকের মুখে সাঁকো
ইষ্টিকুটুম ঐ দেখা যায় ছায়া!
সজনে ফুলের গন্ধ গায়ে মাখো
মৌতাত
তোমাকে উড়িয়ে দেব ছিঁড়ে ধূমজাল, মহাকাল
চোখের তারায় রং বদলায় ঋষিমণ্ডল
মঙ্গলছায়া পড়ে বিষুবরেখায়, সুতো-বুড়ি?
কাচগুঁড়ো-মাঞ্জা ছিঁড়ে লাটাই ফেলে গেছে ঘুড়ি
ঘুড়িডাক বাজে শাঁখ, বায়ু কাটে মদনগোপাল
বড়াই তুলছে শাক, বাড়ন্ত রাধামণি চাল...
ঘূর্ণি সাগরনাদ, বরোজে খসে পড়ে পাতা
কৌমুদী জলাশয়ে মুখ দেখে কাব্যের সীতা
সীতার কৃষক পিতা আলে বসে হুঁকো বিশ্রাম
তন্ত্রীতে খেলে যায় মেঠোসুর ফকিরের গান।
লালন করেন পিতা, মাতা সাধ তিথি ঋতুদিন
প্রদীপের শিখা কাঁপে কাজলদানিতে জমে ঋণ
ঋণকাল উড়ে যায় ঘুরে যায় ধোঁয়ার আকর
মহামায়া, জাদুটোনা সম্বল ফুঁসমন্তর?
মন্ত্র আকাশে তোলে - লালগ্রহ, পূর্ণিমা চাঁদ
ছায়া ফেলো - মায়াবনে - ধনুভাঙা আহত নিষাদ
***************************************************************************************************



কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন