অণুগল্প সাহিত্যের একটি বিস্ময়কর শাখা। ' বিন্দুতে সিন্ধু দর্শন ?' ঠিক তাও নয় যেন, বিন্দুতে সপ্তসিন্ধু দশ দিগন্ত চকিতে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে সার্থক অণুগল্পে। তেমনই একটি অসাধারণ অণুগল্প এবার আমরা পড়ছি ----
রাজপুত্তুর
প্রভাত ভট্টাচার্য
রাজপুত্তুর বেরিয়েছে দেশভ্রমণে । এই প্রথমবার সে সুযোগ পেয়েছে বেরোবার। লোকলস্কর কাউকে সঙ্গে নেয় নি। একা ঘোরার ব্যাপারটাই আলাদা।
সন্ধে নেমে আসছে। এবারে একটু বিশ্রাম নেওয়া দরকার। সামনে জঙ্গল। আশেপাশে বাড়িঘরদোর কিছু নেই। একটা বড় গাছ দেখে তাতে উঠে বসল সে। পছন্দমতো জায়গায় বসে নিজেকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নিল সে। অনেক কিছুর সঙ্গে সঙ্গে গাছে চড়াটাও সে শিখে নিয়েছে।
ক্ষিধেও পেয়েছে বেশ। সঙ্গে কিছু খাবার ছিল, খেয়ে নিল সে।
ওপরের ডালে বসে সবই দেখছিল ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমী । আজ কতদিন পরে আবার রাজপুত্তুর এলো।
ও যে রাজপুত্তুর বুঝলে কি করে? ব্যাঙ্গমা বলল।
সাজপোষাক নাই বা থাকলো, আমি সব বুঝতে পারি।
রাজপুত্তুরের কিন্তু অনেক কিছু করার আছে।
জানি । রাক্ষস রাক্ষসীরা এখন অন্য রূপ ধারণ করে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর যতরকমের অনিষ্ট করছে।
আর তাদের প্রাণভোমরা?
সে তো রাজপুত্তুরকেই খুঁজে বার করতে হবে আর তাদের দমন করতে হবে।
ও কি পারবে?
ঠিক পারবে।
রাজপুত্তুর এতক্ষণ সব শুনছিল। কি করতে হবে, বুঝে গেছে সে।
ভোর হয়ে গেছে । আকাশে উঁকি দিচ্ছে নতুন সূর্যের আলো।
গাছ থেকে নেমে পড়ল রাজপুত্তুর । সামনে বিরাট লক্ষ্য। ঝলসে উঠলো তরোয়াল।
************************************"**************************************************************




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন