পিয়াংকী * দুটি কবিতা
বক্তব্য
কলসীর শয্যা নিয়ে পাঁচকথা। পাঁচালী প্রভৃতি --
ঠনঠন
ক্রমাগত
খিদে
... পাশে কারা যেন সাজিয়ে রেখে গেছে বাসী কুন্দ আর টেরাকোটা-মূর্তি
শিরদাঁড়ায় বরফ। গ্রহের ফের
দরজা দিয়ে ঢুকে মহালয়া খুঁজছে যে গোঁসাই
কোনো ফিরতি পথ নেই সেখানে
যাবতীয় বৈদুর্য লুকিয়ে রেখেছি প্রায়শ্চিত্ত বরাবর
আঙুলের ফাঁকে বিপ্লব এবং কোলের গর্তে মাস্তুল জন্মালে--
আলো সংরক্ষিত
"এসো, তোমার পাতে ঘিভাত দেব,
চুলে বিছিয়ে রাখব মহাকাল,হরিণের শোক সমাপ্ত হলে
তোমার বুকের ওপর বইয়ে দেব দীর্ঘাঙ্গী নদী"
তল্লাশি চালিয়েছে যারা তাঁদের সপক্ষে ঘোষণা করব
স্বর্ণমুদ্রা এবং একটিমাত্র তস্কর...
আস্তানা
আমার কোনো ব্যক্তিগত কোণ নেই
যেখানে ডুবিয়ে রাখতে পারি গোপন অরক্ষণ
ডুবসাঁতার থেকে উঠে বলতে পারি,
"আমাকে ভিজিয়ে দাও একটিবার"
লাটাইয়ে টান পড়লে গুটিয়ে যায় নগররক্ষকের অস্ত্রসজ্জা
অবিরাম ললাটের টানে মুছতে থাকে পূর্বজন্মের তিলক
প্রাচীন রামধনুতে লেগে থাকা সম্ভোগ বিলিয়ে দিই
হাম্বীর রাগের মধ্যমস্বরে
অলিখিত উপশমের পাশে মাছি এসে বসে প্রতিদিন
সন্ধের নিথর পুকুরঘাটে বোবা পাতা আর কয়েকটা সাদা বক,
উড়ে যাবার কথা ছিল এদের দু'তরফেই।
অথচ সন্ধ্যা লাগার পরও এরা জেগে রইল জলের সিঁড়ি
আর একটা আশ্রিত ব্যাখ্যার পাশে...
*********************************************************************************************







কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন