শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪

জবা ভট্টাচাৰ্য



জবা ভট্টাচাৰ্য * দুটি কবিতা 







লীলাময়ী_রাধিকা


তৃষাতুর অনামিকা থেকে খসে গেছে খুদকুঁড়ো সম্বল
তবু জন্মান্তরে আমি তোমায় অনেক দেব,দেব শ্যামরায়--
তমালের ছায়া দেব, যমুনার  নীল জল
যশোদার স্নেহ  দেব,মাথুরের গান
দেব-- বিশাখা ,চন্দ্রাবলীর মোহন কুঞ্জ--প্রণয় পাগল।

শুধু  আমাকে দেব না  কিছুতে
আর দেব না, বাঁশি তুলে ও হাতে।

পূর্ণ চাঁদের রাতে, রাসমঞ্চে ফুলসাজে
সাজবে তোমার ঝুলনদোলা, হে মুরারী
ঝিরঝির জোছনা কাঁপবে, কদমের ডালে
তমাল শাখে, তখন একঝলক ভিজে হাওয়ায়
             
                                  না
                খবরদার  খুঁজোনা আমাকে

                   বড় জ্বালা অভিসারিকার
 অভিমানিনীর বুকে নীলপদ্ম ঢেউ তুলবে না আর--

 অসংযত হৃদয়াবেগ ধুয়ে ফেলে নীল যমুনায়
 এখন  সবকিছু  ঠিকঠাক  টানটান---
 মিথ্যে চোখের জলের দাগ ছাপিয়ে একান্ত সাংসারিক
 দ্যাখো হে পুরুষ---





 আজও

  অনাহত শব্দ  ডাকে
             ভীষণ  ডাকে

  তুমি নিঃশব্দে মাথায় হাত রাখো
  শব্দের তড়িৎ প্রবাহিত হতে থাকে
  এক সত্তা থেকে আর এক  সত্তায়
  আমি ভালোবাসার গভীরতায় পরতে পরতে
  ডুবতে থাকি
  আজন্ম  এক স্বপ্নখোর---
  আরোহণের ইচ্ছা উত্তুঙ্গ চূড়ায়
  অথচ নিলয়ের নরম  বারন্দায়
  আশ্চর্য  বৈষ্ণবী অন্তরাল।

  কেন  আজও  ভুলে ভুল হয়ে যায়
  কেন ভুল মনে ভালোবাসি!
  কেন আজও  বসন্তের আশ্বাস রেখে যায়
  ক্যালাইডোস্কোপের  কারুবাসনা!!

  জানিনা  জানিনা  এ কোন ঈশ্বরীর  চুমা
                                                 
                                                   জানিনা।















*********************************************************************************************




জবা ভট্টাচার্য

জন্ম, বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা সবটুকুই  কলকাতায়। বিবাহ সূত্রে  উত্তরবঙ্গে আসা। ভালোবাসা থেকে লেখালিখি করা। এ পর্যন্ত  সাজি, মান্দাস,  বিবর্তন, সহ বহু ছোট বড়ো লিটল ম্যাগাজিনে লেখা প্রকাশিত  হয়েছে। নিজের  একটি কবিতা সংকলন  আছে "মাধুকরী  মন"।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন