রথীন পার্থ মণ্ডল * তিনটি কবিতা
সেই গন্ধটা
পারফিউমের গন্ধটা অনেক দিনের চেনা,
দক্ষিণের দরজাটা আজ বোধ হয় খুলে গেছে
নিঃসঙ্গতায় ভরা মনে
চাপা অন্ধকার বয়ে বেড়ায়
অনুভবে অস্তিত্বের স্বাদ
আজ যেন পেয়ে বসেছে
রক্তপলাশের রক্তিমতায় ভরে ওঠে মন
এখন এক ঝলক ঠাণ্ডা বাতাস চাই
এক মুঠো ঝরাপাতা নিতে নিতে
শয্যায় আঁকিবুকি খেলে আলপনার ছন্দ
কে যেন বসন্তের আবির রং মাখিয়ে দেয় মাথায়
ছুঁলো মনের প্রান্তর, উঁকি মারে আকাশে
চোখে অশ্রু জলের বন্যা বয়
তবুও দেখি পরশপাথরের ছোঁয়া লাগে
তুমি এসেছো আজ এখানে
তাই চন্দনী পারফিউমের গন্ধটা
আজ ফিরে এসেছে ঘরে।।
আশ্চর্য সময়
এ এক আশ্চর্য সময়!
যখন শুধু রং কথা বলে
ফুল পাখি চাঁদ সবাই নীরব।
এ এক আশ্চর্য সময়!
মাতৃদুগ্ধে জাগে কীট-পতঙ্গ
সূচবিদ্ধ শৈশব একাকী
আশ্রয় খোঁজে ভরা সন্ধ্যায়
বন্ধ্যা মাটির বুকে।
এ এক আশ্চর্য সময়!
যখন বিশ্বাসহীন ভালোবাসা
সুখের দরজা আটকে
সেলফি তোলে সারাবেলা।
এ এক আশ্চর্য সময়!
যখন বৃদ্ধ শহরটা প্রতিদিন
থাকে ডাকপিওনের অপেক্ষায়
মনে মনে পড়ে না লেখা সেই সব চিঠি!
এ এক আশ্চর্য সময়!
যখন কোথাও আগুন নেই
আগুনের তাপ নেই
জনশূন্য রাত একাই কথা বলে যায়...
মাঝদরিয়া
রাত্রির বুক চিরে নেমে আসে মেঘ
তোমার ভালোবাসা মাখা হাতের স্পর্শে
একদিন ভেঙেছিল ঘুম।
ঘুম ঘুম চোখে দেখেছিলাম
তারাদের আনাগোনা,
তুমি তো ছিলে আমারই পাশে
হাতে হাত রেখে...
দমকা হাওয়ায় নিভে গেল সব
অন্ধকারে তোমার হাত হাতড়াতে হাতড়াতে
মাঝদরিয়ায় ভেসে চলি
কিনারার খোঁজে।





কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন