শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪

তাপস কুমার দে



তাপস কুমার দে * দুটি কবিতা 








খেয়া পারের শূন্যতা প্রকাশে

অমীমাংসিত অস্তি নিয়ে কোন কূলে দাঁড়াবে আজ মহাকাল? নির্মম গৃহস্থ পাড়াগুলোর মাঝে মাঝে বেড়ে ওঠে লোভের গন্ধ,  নদী আর শস্য আবাদে মায়া ও মোহ ছড়ায়। বাঁধা পড়া জীবনে নির্ঘুম চোখ আঁকা রক্ত বিভ্রম ফ্রেম। বৃথা ভয় চিত্রত অস্তিত্বে জড়ো হলো ইহোলোকের শেষ পরিভ্রমণ।  মিথ ভেঙে জ্বলে ওঠা  দৃশ্য যদিও মুক্ত ছবির মতো মায়া মায়া। জমে যাচ্ছে বায়ুমন্ডল পৃষ্ঠের উপরস্থ শিশির সম্পর্ক। ইচ্ছেমতো লোক শিল্প থেকে ভেতর কল্পের বুক ভাঙতে ভাঙতে ফিরে যাচ্ছে গোধূলির দিকে। পূর্বনির্ধারিত দিশায় ফিরবে বলে আত্মার অতর্কিত সংখ্যা অবারিত রূপ বদলায়। প্রত্যয়ের লাল নামে পারদ ছুঁয়ে। তপ্ত বহ্নিশিখা থিরথির কাপে স্থির দূরপথ যেভাবে পাড়ি দিতে হয় একাগ্র সমুজ্জ্বল রোদ্দুরে জ্বলে। হতেপারে যেতে হয় মেঘ হয়ে, জন্ম হয় ঋতুক্ষয়ের উপেক্ষায়। উড়ে যাওয়া নোনাজলে আঁশটে গন্ধ।  ভিজতে ভিজতে ধুসর বেরিয়ে থাকা সমতল কালো ছায়া নিয়ে রাস্তায় সাঁতার কাটে। কোথাও ভয় ভয় লেগে আছে ফিনফিনে পাতাগুলির উড়তে থাকা মেরুদণ্ডহীন জীবনে। খেয়া পারের শূন্যতা প্রকাশে সাঁতারে সাঁতারে শরীর থেকে খুলে নেয় অস্তি, তারপর ভোকাট্টা।













আগুনে সুখ 

"তুখোড়" শব্দটির অর্থগত ভাব বহতা জীবনের 

নিদারুণ অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া।

সেখানেও  তুমি ছিলে, তোমার সৃষ্টির গভীরতা নিয়ে।

স্বভাব সুবাসিত একমুঠো রোদ ছড়ানো ঘরে, সূর্য জন্মায়।  

জমিয়ে রাখে দৃষ্টি কণার শিশির । ছলছল চোখে দেখা  

প্রান্তভাসা স্বভাব, সমোজ্জ্বল সকাল শেষ ভ্রমনে। 

জন্মানো সেই শরীর দৃশ্য গ্রহণে পোশাক-প্রবণ। 

বদলে যায় ঘড়িঘর, একাকিত্বের আকর্ষীকতা।

ডুব বোঝা ঝড়ের কাছে হেঁটে যাওয়া 

প্রেমের কি নদী সম্পর্কিত কোন প্রবন্ধ আছে?

অবিচল ফসলী ঢেউয়ের দৃশ্য ধারায় 

বিবিধ লেখা, চেনে কি অফসলি গ্রাম ?  

মাটি ফাঁটা অসুখে সুর, ব্যথা গোঁজা কাঁপুনি ভুলে 

রোদজলে ধরে থাকে মেঘমেঘ শান্তি। 

প্রবল শীতল তেষ্টায় সন্তাপের বিলাপ দ্রোহ পোড়ায়।  

অভিমান অপমান যত যায় ধুয়ে। 

দেখা যায় ছোটছোট ভাঁজ, ক্লান্তির পথ। 

লৌকিক সংলাপে বিশ্বাসী হয়ে ওঠে প্রতিশ্রুতির কাহিনী।

উদ্যমী ক্ষণ দাঁড়িয়ে  থাকে লড়াইয়ের হেমন্তে। 

অদ্ভুত আলোর উত্তেজনা নিয়ে আসে বসন্ত পরাগায়ন।

উড়ে বেড়ায় সুখ, আল্পনার আগুনে শীতার্ত 

অতীতকে আঁকড়ে ধরে।











********************************************************************************************************


তাপস কুমার দে 

 লেখালিখি শুরু--সেই স্কুল জীবন থেকে লেখালেখির হাতেখড়ি। 
 স্কুল জীবন থেকে বিভিন্ন রকম গল্পের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে এটা প্রবল হয় যখন আমার এক সহপাঠী বিভিন্ন রকম বই সংগ্রহের উদ্যোগ নেই কারণ সে পাঠাগার গড়ে তুলবে। আর এ কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করতে গেলে একটি বই দিয়ে অংশ গ্রহণ  করতে হবে। আমি অংশ গ্রহন করলাম এবং গল্প পড়তে পড়তে লেখার ইচ্ছে জাগে এবং একটি গল্প লিখেও ফেলি ওটাই আমার প্রথম লেখা। 
প্রভাব সৃষ্টিকারী লেখক অথবা কার কার লেখা পড়তে ভালো লাগে---- আমি যখন বেড়ে উঠি তখন হুমায়ুন আহমেদের যুগ তারপরও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্রের মতো লেখকদের লেখা ভালো লাগার তালিকায় উঠে আসে। 
আমি কেনো লিখি---- আত্মতুষ্টির জন্য খানিকটা তারচেয়ে বড়ো ব্যপার হলো মনুষ্যত্ব বিকাশের অবিচ্ছেদ্য অংশ যে সাহিত্য, তা নিজেকে ও সমাজকে বুঝাতে। যার ভেতর রয়েছে মহাজাগতিক আনন্দ। 
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নের  পদক্ষেপ ---- লেখালেখির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলতে নিজের বই প্রকাশ করার আপ্রাণ চেষ্টা আর সেই লক্ষ্যে পান্ডুলিপির কাজ চলমান।  
 বেশকটি সাহিত্য সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম তার মধ্যে অন্যতম খুলনা সাহিত্য মজলিস,  খুলনা কালচারাল সেন্টার। এখনও সম্পৃক্ত আছি খুলনা কালচারাল সেন্টারর সাথে।   


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন