তিনটি কবিতা * অপর্ণা দেওঘরিয়া
আগুন ছোঁয়া মেয়ে
বিষময় এই পৃথিবীতে সুর নেই প্রেম নেই,
কত জন্মজন্মান্তর কথাকলির স্বপ্ন
শাশ্বত সুন্দর নিষ্পাপ মন বন্দী।
ধুলোবালি মাখা ঈশ্বর যেন
মুছে দিচ্ছেন অজস্র ভাগ্য লিখন।
আটপৌরে সংসার সমুদ্রের সংহাত
কোলাহল যুদ্ধ বাঁধভাঙা ঘাটে
পাষাণময় জীবন যেন খুঁজছে
অতল বিশ্বাস সত্য সুন্দর রৌদ্রময় গাছ-----
কত আগুন ছোঁয়া মেয়ে রঙিন দিগন্তে
ভাস্কর্যের আলোয় শেকে নিচ্ছে
লেলিহান শোক অন্তর।
সৃজনের বিবাগী পাখি
প্রান্ত সীমানায় দাঁড়িয়ে অনেক দিন পর
একটা সোহাগের গন্ধ পেলাম, একান্ত সুখে
কি অদ্ভুত আদর মাখা গলা,
মুহূর্তে জড়তা ভেঙে গেলো প্রজাতির আলোয়-----
অজস্র চিহ্ন আঁকা বিবর্ণ বুকের আগুন
নিঃশ্বাসের মায়ালতায় ঝাপটানো বাদুড়---
কত হলুদাভ স্মৃতি স্বর্নযুগ মোহময় মাতাল প্রেমের অপেক্ষায়,
ছুঁয়েছি কত সফেদ বিশ্বাসের রৌদ্র ডানা,
উন্মুক্ত পরিযায়ী সম্পর্ক শরীর যেন প্রেম জলছাপ
সুবাসের ভালোবাসার ঢেউ---
নৈশভ্রমণের অসামান্য হাহাকার অন্তর জুড়ে
কত দাগ নিঃশ্বাসে
সুন্দর মন খুঁজে সৃজনের
বিবাগী পাখি, ধুপছায়ার সাজঘরে।
অদ্ভুত ভালোলাগার চুম্বনে শান্ত শীতল হয়
আলোময় পৃথিবী।
সন্ধে হলেই
সন্ধ্যে হলেই তুমি মোহগ্রস্থের মত আলোর স্নানে
ছুটে যাও কামিনী কাঞ্চনের মোহে
মখমলি আদরে----
ধুমায়িত পেয়ালায় মালবিকাকে বুকে নিয়ে
সমস্ত আনন্দ সাজিয়ে বসন্ত উৎসব করো উন্মাদনায়---
উপোসী বুকে তোমার অবিরাম বৃষ্টি ঝড়ে-----
রাশি রাশি মোহ লোভ, সুখ শান্তির
ইমারত গড়ো,শস্য দানায় ছড়িয়ে দাও ক্ষোভ,
হিংসা যুদ্ধ ----
চোখের টানায় রমনীসুখে উথালপাথাল
কামনায় বসন্ত উৎসব করো স্বেচ্ছায়,
সম্পর্কের বাঁধনে অবলীলায়।
কত কাঞ্চন ফুলে মাখামাখি মিলনে জলোচ্ছ্বাসের
অধরা সাফল্যের সিঁড়িতে ভালোবাসায়
জড়িয়ে ধরো দেবীবরণে---
জীবনের উল্লাসে কত আলো কত বর্ণবহুল রঙ মাখো
রমণীয় শরীর ভ্রমণের রৌদ্রস্নানে।
দূরে বাজে শ্যামচাঁদ মন্দীরে ঘন্টা
বিরহী স্রোতের শূন্যতায় বারুদের গন্ধে,
অদ্ভুত প্রহরের কান্নায়,প্রতিদিন বিষময় হয় চিতার আগুন
আর এক একটা জীবন সন্ধ্যা।
************************************************************************************************






কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন