শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪

শিবালোক দাস


 



শিবালোক দাস * দুটি কবিতা 










পলাশ
চুম্বন, যে তোমার পায়ের কাছে
ছুঁড়ে দিয়েছিল তুষ, সেই শূন্যতায়
ছড়িয়ে থাকা বাঁকে আজও জ্বলে আগুন।
শুকনো বাতাসের তীক্ষ্ণতায় মধ্যমণি
বিঁধে গেলে আমার ভেতর থেকে রক্ত
ঝরে পড়ে না, ঝরে পড়ে শত শত পলাশ !

তুমি বলো, কেবল বলে যাও, আমার হাড়ে
রোজ কিভাবে একটু একটু করে মর্ম জমা হয়,
খুলে যায় নিভৃতে দরজা, জানলা, পথের ধারে
মৃত স্তূপ, দ্রুত হয়ে যায় খিদে।
তুমি রেখে যাও, পুঁতে ফেলো একটি করে দাগ।

ও পলাশ, পিঁপড়েদের তুলে আনো গোধূলি থেকে,
অকারণ‌ আস্ফালনে তোমার অর্ধনিমীলিত
শীতলতা হারালে, বসন্ত হারাবে তার রক্তমাংসের
অস্তিত্ব, প্রসারিত হবে অনুরণন !

তুমি কি সেই অনুরণনে খুঁজে আনতে পারবে
না অসংখ্য চুম্বনের গোপন জন্ম ? পলাশ ?
তাদের মাতৃত্ব ফিরিয়ে দাও, বুকের মধ্যে।






















ফলা

পথ যদি ঢেউকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসতে
পারত, তাহলে বিক্ষিপ্ত চুলে পুনরায় দেখা যেত
জোয়ার ভাটার পরে অবিলম্বে নিষ্কৃতি পাওয়া ঘর,
যার ভেতর কয়েক আঁটি খড় জ্বেলে আমি শ্বাস
পুড়িয়ে নিই এক মুঠো খাবারের পর।

তুমি একটা ফলা রেখে গেছ‌ টেবিলে,
জড়ানো, কোমল, কি সুন্দর চোখে‌ ধরা যায় !
অথচ তুষারপাতের পর তার ধারালো খাঁজে
ঘোরে হাত ছুঁয়ে যাওয়া অসাধারণ বিমূর্ত 
রোদ, যা গলিয়ে দেয় চার হাত পায়ের ছাপ।

একটি অর্ধদেহ ডুবিয়ে দেখ উল্টো পায়ে 
হেঁটে যাচ্ছে কেউ, শান্ত তার প্রতিফলন,
চুপ করে বসে থাকে উন্মুক্ত হয়ে যেন সে
খোঁজ করে শীতল, অথচ সে জানে না
রোজ তার রক্তমাংসের কাগজে‌‌ পৃথিবী
ফলা বিঁধিয়ে খোদাই করে নতুন তাজা হরফ !
















*******************************************************************************************




 শিবালোক দাস 

আমি একজন তরুণ কবি। শৈশব কেটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহরে। বর্তমানে কলকাতার আই.পি.জি.এম.ই.আর. এবং এস.এস.কে.এম. হাসপাতালে এম.বি.বি.এস এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ক্লাস এইট থেকে কবিতা চর্চা শুরু। সাহিত্যকে ভালোবাসি এবং আলাদা আঙ্গিকে তুলে ধরার চেষ্টা করব। এখনও পর্যন্ত কোনও প্রকাশিত গ্রন্থ নেই। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন