গোবিন্দ মোদক * দু’টি কবিতা
রাত্রির গল্প
কিছুটা দুঃখ একত্রিত হলে
বৈরাগী হয় সাঁঝবিকেল
দীর্ঘশ্বাস না ফেলেও
আজানুলম্বিত ধূসর পোশাকে
হাজির হয় সন্ধ্যার প্রহেলিকা
দূরে কোথাও ঘণ্টা বাজে …
আশাবরী রাগে নিভৃতালাপ …
ছোট খোকার নামটা পড়ার শব্দ …
আর বাসায় ফেরা পাখিদের স্বস্তিশ্বাস …
টুকরো কিছু সাংসারিক কথাবার্তা
এ সময় মুড়ির বাটিতে উপচে পড়ে
কম পাওয়ারের বৈদ্যুতিক বাল্ব
ততোধিক কম আলো ছড়ায়
আমি পাঁজর খুলে গুনতে চেষ্টা করি
ধারাপাতটা মনে আছে কি না
কিন্তু স্বল্প আলোয় সবকিছু চোখে পড়ে না,
ঘরের কোণে থমথম করতে থাকে প্রবাসী রাত্রি!
পরী
লবণাক্ত কিছু দুঃখ
জমা রাখি তোমার জলাশয়ে
জলের উপর জল ছুঁই ছুঁই গাছের ডাল
বাতাসে আন্দোলিত হয়
ঘাই মারে শ্যাওলা পড়া মাছ।
আসলে কেউই তেমন দুর্বিবীত নয় যে
গঞ্জের হাটে অমাবস্যা কিনতে যাবে।
তবু যাপিত যৌবন শেষে
শ্রীদাম-কাকা কিংবা সনাতন-জেঠু
অপাঙ্গে দেখে নেয়
পাড়ার কমবয়সী বৌদের বুকের আঁচল।
সাক্ষী আছে ঘাটের সিঁড়ি
সিঁড়ি শেষে শিবমন্দির
আর এলোমেলো বেড়ে ওঠা কদম গাছ।
লোকে বলে গাছটিতে দেবতা আছে।
কেউ বলে পূর্ণিমা রাতে
পরীরা নেমে আসে গাছের নিচে।
কিন্তু সনাতন-জেঠুরা জানে না
পরী বলে আসলে কিছু হয় না।
মনের আলেয়া থেকেই পরী জন্মায়।
************************************************************************************************
প্রকাশিতব্য গ্রন্থ:- পদ্য ভরা আমার ছড়া * ছন্দ ভরা আমার ছড়া * রূপকথার রূপ-কথা * ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ * গুপ্তধনের সন্ধানে * জীবনের রোদ-রং ইত্যাদি সম্মাননা: পাঠকের ভালোলাগা এবং ভালোবাসা-ই সবচেয়ে বড় পুরস্কার।



কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন