জতুগৃহের নশ্বর পিতা ও সুরঙ্গমের য ফলা সুবিদ নাবিক
নিমাই জানা
এক
অনিত্যের মতো ভজামহ্যম ।পরাশক্তিতে বিদ্যুৎ ওড়াচ্ছে নিধিরাম। এই বংশগতিতে তিনি আজও প্রলয় সুখে আছেন । নিষ্পাপ অর্জুন তীব্র ধনুক নিয়ে ছুঁড়ে দিচ্ছেন অজান্তিক গুহার ভেতর । রক্তের উচ্চতা মাপে তীব্র আর্দ্রতার একটি নীল সম্বন্ধের পোকা। এখানেও কি জলের মতো তরল কোন পাপ আছে ? মহাপাপ ?
আমার জন্য কোষ্টি কোন নিকৃষ্ট সরাইখানায় হেফাজত খানায় তীব্র জল ঢালো । কমন্ডুল থেকে ঋষিটার পায়ের কাছে আদিম কোন যজ্ঞের আদি ভৌতিক সনাতন দৃশ্য । কে হত্যা শিখিয়েছে নিষ্ঠুর ভগবানকে ? জন্মের পর একটা মিথ্যা প্রবঞ্চনার মহীরুহু গড়ে ওঠে । দুই হাতে আগুনের ব্রহ্মাণু বানাচ্ছে আদিম নষ্ট যৌগিক ইতর শব্দের শঙ্খযোনী নারীরা । এই আধারটি শক্ত পাথরের মতো , মনিহারা অষ্টাদশ সামগ্রী তেজ ময় বায়ু বুদ্ধি ও স্থিতিস্থাপক ধ্বংস নারদীয় উপক্ষার সমূহ । ঈশ্বর ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় এ সংসার মায়াদের আহত হাত ।রাত্রি কালীন একটি তীব্র যুদ্ধ নেমে আসে ঋতু কালীন সঙ্গম ঘোরে । অলৌকিক লৌকিক । একটি প্রকাশ আর ঘনশ্যাম , সম্বন্ধের মতো নিরীশ্বরবাদ , হলদে ঘনত্বের তীব্র বৃষ্টি আত্মাটি যষ্টিমধু চাইছে এখনই ।
দুই
যৌগিক বর্ষের পরমাত্মা হাওয়া খাচ্ছে । এখনি নেবে আসবেন অনভিপ্রেত তরোয়ালের ওপর । তিনি অনন্ত মহিমা ছুঁড়ে দিচ্ছেন দেহবৎ সুখের সাদা পঞ্চাধ্যায়ী অক্ষর সংবলিত মায়াবী ছন্দ সমূহ জলদি অভয়ারণ্যের দিকে । সবই চেতনের মতো আদিম । জগত নক্ষত্র স্খলিত হলো রৈখিক কক্ষপথ থেকে । রেড অক্সাইড সূর্যের মতো অ-তড়িদাহিত কোন দাহ্য । লৌহ শেকল পড়ে আছে যন্ত্রণা কাঠির মতো ।
আমি তীব্র সত্য স্বীকার করছি আজ বাসুদেবে । এখানে তিনি ছন্দবদ্ধ মেঘ নিয়ে খেলা করছেন কৌশল ক্রীড়াবিদদের মতো ।
আদিম তুচ্ছতায় ওম তৎ সৎ । দেহটি ক্রমশ পারমাণবিক ক্ষেত্রের দিকে বিছানো । এক একটি বিন্দুতে তিনি স্থাপন করেন স্পর্শ রোগ । চক্ষু ও দৈত্য সাগর । খনি খুঁড়েন পুরুষোত্তম রাত্রিতে । জটিল বজ্রপাতের মতো জলদির পাশে বসেন ঈশ্বরের আদি পিতা অবচ্ছেদ ঈশ্বর । তার শরীরে উৎক্ষিপ্ত কথার আঁশ লেগে আছে ।
অরুন্ধতী দর্শনের মতো তুলোর শরীরের বিক্ষিপ্ত চক্রের লাল কৌশিকী অন্ধকার গুলো পাঁজর ভেদের নৈঋত কালের দিকে গোলাপি পৃথিবী ভাঙছেন , ধূসর জংঘায় ঋ কার ধ্রুবতারা বসে আছে ৪৪ মাত্রার নিরক্ষর শব্দ নিয়ে ।
তিন
অতৃপ্ত শঙ্খমালায় আমি আমার রক্ষাকবচ । গাছেদের চৈতন্যপুরে ঢুকে যাই । এখানেও মুখোপাধ্যায় রং । সর্বত্রভাবে আমাকেও কেউ নগ্ন করছে। রাতের ধূসর শিল্পী জানে গাছেদের ভিতর আমার আয়ু লুকিয়ে থাকে প্রদাহের মতো। সব জ্ঞাতব্যকথা । যৌনাঙ্গের মতো কৃষ্ণাঙ্গ হচ্ছে রাধা । দেহের কিছু অলৌকিক স্বর্গ কথা আছে । নীল হয়ে যাচ্ছে সবুজের শৌচালয়ে । এই দেহজ রসের কাছে আমারও অতিরিক্ত শ্লোক গুলো গোপনীয় বৃষ্টি রাখে , কামাতুর সুড়ঙ্গ । ব্যঞ্জন বৃষ্টি নেশাতুর চোখ । নঙ্গর্থক সঙ্গম আর ভোজনীয় ঈশ্বর সমগ্রের পাগল । পিঙ্গল আসবাব ।
আমাদের কি গোপনীয় কোন কামশাস্ত্র আছে ? কাঠের দেহটি খুলে রাখো বাকলের মতো । তির্যক ধনুক ধরবেন এই গ্রীবাত্মার তীব্র বৃষ্টিতে । এখনই যুদ্ধ ঘোষণা করা উচিত । পৃথিবীর অনৈতিক ঋতুস্রাব রাস্তায় রাস্তায়, অনৈমিত্তিক শুয়োপোকা উড়ে বেড়াচ্ছে পিশাচ বৎ বালক বৎ উন্মাদ ও জড় বৎ । হাড়ের তৈরি ঋষিরা রক্তের পাহারাদার সেজে দীর্ঘ জিভ বের করে দাঁড়িয়ে আছে অনামিকা অলংকার রাস্তায়। ভগবানেরও ক্ষয় রূপ আছে , আমি জলজ তরঙ্গে শাঁখ বাজাই , পৃথিবীর তলপেটে ছুরি চালিয়ে মাংস ছুঁড়ে ফেলি , নক্ষত্রের ধাতু রূপে ছেঁড়া নশ্বর বাজাচ্ছে
চার
সংগীতের ও অপরা সঙ্গীত আছে। অন্ধকারে ঢেউ তুলছে একটা পাখির ফনা । তীর্যক মাথার ভেতরে কোন এক শঙ্খলাগা কঙ্কাল জড়িয়ে ধরে তাপ খায় চুষতে চুষতে । শুক্র ও শ্বেত ফসফরাসের অনু বিগলিত ঈশ্বরের তাম্র খনিজ হাঁ করে দেখছে। দর্পনে প্রতিদর্পিত হয়ে যাবে প্রতিবিম্বের সমাধান রেখা গুচ্ছ । একটি চুম্বক শক্তি আছে এই নাগরিক ইতর সম্রাজ্ঞী পোকাদের , গোপন কক্ষের একটা নিজস্ব গোপনাঙ্গ আছে।। পদ্মবিভূষণে নক্ষত্র গোলা খাবে জলের অসংখ্য পতিত ও উৎস স্থল । জংঘায় এসো ধীবরের অংশীদারি বরফ জাল , রাতের গুণিতক কষি । পিছনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শ্রীহীন অতি বাস্তব পাখনা পুড়ে যাওয়া হে পরমেশ্বর । আদিম হতে হতে তিনি ও নক্ষত্র খচিত , কক্ষপথে একাকী স্নান ও স্নানাগারের ত্রিশূল তৃণ । ২১ রহস্যে এসো রক্তিম আভা আঁকি, রামধনুকে সবই অক্ষরচ্যুত ব্যঞ্জনবর্ণের নাসিক্য , শর্করা রোগেরই মতো ঈশ্বরের বাম পৃথিবী বাম স্তন বাম পা পাঁজর ও বামাশীষ নারী । হত্যার বিষাক্ত রস খাব পাতলা দই মিশিয়ে ।
এই ষোড়শ দর্শনে পৃথিবীর পিতারা নামবেন , আঙ্গুলে খুঁড়বেন মাথার উর্দ্ধবাহী হাড়ের মধ্যমা। ক্ষয়ে যাওয়া মাংস । উদ্ভিদের রসায়ন । তীব্র চিৎকার ।অশ্লীল অশ্লীল কোন স্নানঘরে একাকী বিছানায় একাকী মৈথুন করে ঈশ্বর তৈরি করি । জগতে কে এই বীভৎস ডিম রেখে গেছে কঙ্কালের মাথায় ? মা গাছে দোল খাচ্ছে অসুস্থ যৌগিক অধাতব রতি ও মদনের লোহাচুর । য ফলা সাম্রাজ্য
শ্রীহীন পরমানন্দপুরে একটি মাধাখালি সংগীত আমাদেরও শেষ তর্পনের সংগীত ছিল। কাঁচা কাঠের মোম গলছে তুরীয় সুরঙ্গমে ।
হে শিব , তৃষ্ণার্ত ছায়া খাও
*********************************************************************************************
নিমাই জানা
এ সময়ের অন্যতম শক্তিশালী তরুণ কবি । রুইনান সবং পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে লিখছেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : ছায়ার মূলরোম ও নির্জন পুরুষ অসুখ * জিরো কম্পাঙ্কের পেন্ডুলাম * ঈশ্বর ও ফারেনহাইট জ্বরের ঘোড়া * ইছামতি ঈশ্বরী ও লাল আগুনের ডিম্বকোষ * রজঃস্বলা বৃষ্টির গুণিতক সংখ্যাগুলো * ব্যাবিলনের চাঁদ।



কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন