বৈশালী গাঙ্গুলী * দু’টি কবিতা
জানার মাঝে অজানা
চারপাশে ধরা যা দেয়, শিকড় লুকানো থাকে তার
অদেখা জগতের আঙিনায়,
সময়ের হাত ধরে রূপ পরিবর্তন ঘটনা বটে,
তবুও চিরসত্যের সারমর্ম একই রয়ে যায়।
প্রতিটি বিস্ময়কর দৃশ্য অদৃশ্য হয়ে যাবে একদিন,
প্রতিটি মিষ্টি শব্দ বিবর্ণ হবে বটে,
তবুও উৎসের ঠিকানা চিরস্থায়ী, শাশ্বত, ক্রমবর্ধমান,
অক্ষয় কল্পতরুর শাখা প্রশাখায়।
তাই তো প্রতিটি সমাপ্তির কলম আঁকে আশা,
ভালবাসার স্বপ্ন উত্তরসূরীর চোখের পাতায়।
কল্পনাবিলাসী
তুমি কল্পনাতীত সুন্দর, তাই তো হাজার তারার পসরা
এত স্পষ্ট জ্বলে তোমার রাতের আকাশে।
যেন প্রত্যেকটি ধ্রুবতারা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে চায়
পথহারাকে পথ চিনিয়ে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার আশে।
সময় অসময়ে দুবছরের পুরোনো হাতঘড়িটির সাথে
যখন উঠানামা করে তোমার বুকের স্পন্দন,
তখন সাথে সাথে সংহতিতে চলে প্রত্যন্ত কোনে খোলা
জানালায় দাঁড়িয়ে থাকা একলা একটি মন,
যদিও ভিড়ের মধ্যে সে অতি সাধারণ।
সে দেখে অন্ধকারের মধ্যে কুর্চি ফুলগুলোকে উঠোনের
চারপাশে-
একটু আনমনে ভাবে-
দৃশ্য যা দেখা যায় শ্রাবণে,
কি করে এমন ঘোর দাবদাহে সুগন্ধ ছড়িয়ে দিচ্ছে বাতাসে?
অসূর্যম্পশ্যা বল্মীক মন নেচে ওঠে
এলোমেলো এক অদ্ভুত সম্ভাবনায়।
দুচোখ জুড়ে মরণ আঁকা কবি তবে কি শ্রাবণকে দূর দ্বীপ
থেকে ডাক দিয়েছে আজ শেষ সন্ধ্যায়.....?
হয়ত তাই.....
একটা, দুটো রূপালি চুল উড়ে আকাশ ছুঁতে চায়।
রবির সুরের মূর্ছনায় - "হায় রে,ওরে যায় না কি জানা
নয়ন ওরে খুঁজে বেড়ায়, পায় না ঠিকানা ॥
অলখ পথেই যাওয়া আসা,শুনি চরণধ্বনির ভাষা-
গন্ধে শুধু হাওয়ায় হাওয়ায় রইল নিশানা ॥
হে অবোধ মন- "তুমি কাঁদছো কেন শেষের শোকে অঝোরে?"
রবিকবিও তো বলে গেছেন -"রাতের সব তারাই আছে দিনের
আলোর গভীরে৷"
****************************************************************
বৈশালী গাঙ্গুলী। অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা। ছাত্র ছাত্রীদের অতি প্রিয় বন্ধু। সমস্ত ভারত তার ঠিকানা।





কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন