হংসসুখ
প্রভাত ভট্টাচার্য
এবারে তো চল আমাদের দেশের বাড়িতে। কতদিন ধরে বলছি। সৌরভ বলল বিক্রমকে।
ঠিক আছে। কিন্ত এই গরমে !
তাছাড়া আর কবে যাবি। তুই তো চাকরি ছেড়ে দিচ্ছিস। আবার কবে তোর সাথে দেখা হবে তার ঠিক নেই।
তা ঠিক। আচ্ছা, সামনের রোববার যাবো।
ঠিক আছে, তাহলে ঐ কথাই রইলো।
সৌরভ আর বিক্রম দুই বন্ধু। কাজ করে একই অফিসে। বিক্রম কাজ ছেড়ে দিচ্ছে। তার আর ভালো লাগছে না চাকরি করতে। সে চায় ব্যবসা করতে। সে খুব ভালোবাসে ছবি আঁকতে, আর তার আঁকার হাতও বেশ ভালো। তার বাড়ির অবস্থা বেশ সচ্ছল।
রোববার সকালে দুজনে রওনা হল সৌরভের দেশের বাড়ির দিকে , মেদিনীপুরের ঘাটালে। গরম লাগলেও বিক্রমের ভালোই লাগছিল । নতুন জায়গা দেখার একটা আলাদা আনন্দ আছে।
গ্রামটা খুব সুন্দর। প্রচুর গাছপালা, পুকুর রয়েছে। এখানে আর অতটা গরম লাগছে না।
সৌরভের মা বাবা খুব খাতিরযত্ন করলেন। বেশ জমিয়ে খাওয়াদাওয়া হল।
এবারে একটু আশপাশটা ঘুরে দেখলে হয় না। বিক্রম বলল।
হ্যাঁ, চল না।
দুই বন্ধু মিলে চলল গ্রাম ঘুরে দেখতে।
একটা পুকুরের কাছে এসে বিক্রম বলল, কি সুন্দর পুকুরটা। চল না, সামনে গিয়ে বসি।
ঠিক আছে, চল।
বেশ গভীর মনে হয় পুকুরটা। টলমলে জল। হাঁস চরে বেড়াচ্ছে।
কেমন লাগছে জায়গাটা? বলল সৌরভ।
ভীষণ সুন্দর। হাঁসগুলো কেমন মনের সুখে ভেসে চলেছে।
বিক্রমের কাছে কাগজ কলম ছিল, তাই দিয়ে সে ছবি আঁকতে লাগল, পুকুর, হাঁস, গাছপালা।
কি সুন্দর ছবি এঁকেছিস তুই! ছবির একটা নাম দিই ? বলে উঠলো সৌরভ।
কি নাম?
হংসসুখ।
ভারী সুন্দর নাম দিলি তো।
************************************"**************************************************************






কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন