শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪

পার্থসারথি মহাপাত্র

 



তিনটি কবিতা *পার্থসারথি মহাপাত্র










কুয়াশা-রোদ্দুর


কুয়াশার ব্যারিকেড ভেঙে ছুট

একদল স্কুল ব্যাগ পিঠে আলোর অঙ্গীকার।


আলো আশার হোক বা সূর্যের

সে মুছে দেবে ব্ল্যাকবোর্ডের সব অন্ধকার।


অন্ধকারে শীতের ঘনত্ব বাড়ে

শীত আরও শীতল হয়,পাতে শীতলপাটি।


শীতল বালক রোদ্দুর সেঁকে

ভেঙ্গে ফেলে সমস্ত অর্গল,

অবরুদ্ধ ঘাঁটি।



কুয়াশা


কথোপকথনে এত কুয়াশা কেন


- কারণ সূর্য আর হাসে না


- সূর্য কেন হাসে না 


- মেঘ বালিকা ভালোবাসে না


- ও বালিকা তোর কি হয়েছে ?


- ভোর হয়েছে, তবু বেলার দেখা নাই 


-  ও বেলা তুই দেখা দে


-কেমনে দেব, আমি যে কুহেলির ফাঁদে। 



শীত স্বপ্ন 


শীতের আকাশে মেঘ, লোড সেডিং

এক পলকে ঘুমের পালক

নেত্রপল্লব গুলোকে শুইয়ে দিল

ঘুম হাল্কা হতেই শীতের শিহরণ

স্বপ্নে এলেন আমার শৈশবের বাবা

দুই হাত ও দুই পায়ে জাপটে ধরে

আমাকে উষ্ণতার প্রলেপ দিলেন

ঘুম ভাঙতেই দেখি বাবা নেই

লেপখানা পড়ে আছে খাটের তলায়।

















**************************************************



পার্থসারথি মহাপাত্র

৯ এর দশক থেকে লেখালেখির সাথে যুক্ত পুরুলিয়া জেলার বলরামপুরের পার্থসারথি মহাপাত্র। বাংলার বিভিন্ন ছোট পত্রপত্রিকায় তাঁর লেখা বিচ্ছিন্ন ভাবে প্রকাশিত হয়ে আসছে। কবিতা ছাড়াও ছোট গল্প ও অণুগল্প লিখতে শুরু করেছেন। তাঁর লেখা দুটি কবিতার বই 'বড়মুকরুর ছা'( মানভূমী ভাষায়) এবং 'ক্ষুধার স্পর্শে বর্ণমালা কেঁপে যায়'।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন