শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪

নবনীতা


 


নবনীতা * দু'টি কবিতা







পণ্য

ঘুমিয়ে পড়েছিলাম

জেগে উঠলাম স্বপ্নের ভিতরে

দেখলাম, আমার অস্তিত্বের নিলাম ডাকা হচ্ছে

বিকিয়ে যাবে সর্বাধিক দর হাঁকা ক্রেতার কাছে।


ঘরের প্রায় অন্ধকার এক কোণে বসে

আমি দেখছি নিজেকে পণ্যরূপে,

দেখছি আর ক্রমশ ডুবে যাচ্ছি নিঃসীম অন্ধকারে৷


আলো জ্বালতে চেয়েছিলাম সমগ্র অস্তিত্বে

ব্যর্থ হয়েছি নিয়তির নির্মম পরিহাসে৷


কারা যেন গোপন আঁতাত করে

চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেছে শাশ্বত অন্ধকারের সাথে!


নিজেকে বারবার আহুতি দিয়েও 

আলোর স্পর্শ দিতে পারিনি অস্তিত্বের একাংশেও৷


অতঃপর নিলামে সর্বোচ্চ দর হাঁকা ক্রেতার কাছে

বিক্রীত হয়ে যাওয়াকেই মেনেছি নির্ধারিত নিয়তি জেনে৷

                       












শাপগ্রস্ত

অন্তর্লীন বিষাদে আচ্ছন্ন হতে হতে 

ক্রমশ ডুবে যাচ্ছে প্রবাহিত সময়৷


তোমায় পেতে চাওয়ার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায়

ধার্য হয়েছিল

অন্ধকারতম কারাগারে আজীবন নির্বাসনের দন্ডাজ্ঞা৷


শাস্তির নির্ধারিত মেয়াদ

প্রায় উত্তীর্ণ হয়ে আসার সময়ে বুঝতে পারলাম

পৃথিবীর আরো অনেক আপেক্ষিক বিষয়ের মতোই

ব্যক্তিবিশেষের কাছে

"আজীবন" শব্দটির অর্থও আপেক্ষিক হয়ে যায়৷


তোমাকে পেতে চেয়েছিলাম "ভালো থাকা"

ভুলে গিয়েছিলাম শাপগ্রস্ত নক্ষত্র জন্ম আমার

অনন্ত খারাপ থাকা তাই অলঙ্ঘ্য নিয়তি৷













***********************************************************************


     


নবনীতা 

ব্যক্তিগত পছন্দ মতে গৃহবধূ৷ স্বনিযুক্ত পেশা হিসেবে শিক্ষকতার সাথে যুক্ত৷ শিকড় ও ডালপালা উত্তর চব্বিশ পরগণার মফস্বল অঞ্চলে৷ অনুবাদ করতে ও লিখতে ভালো লাগে৷ লেখার মাধ্যমে নিজেকে ভিন্নতরভাবে খুঁজে পেতে ভালো লাগে৷ অনুবাদ ও  মৌলিক লেখা প্রকাশ "যুগ সাগ্নিক পত্রিকা", "নতুন মান্দাস পত্রিকা", "সাঁকো পত্রিকা", "গানপুকুর পত্রিকা", "দোঁহা পত্রিকা", "রানার পত্রিকা", "ছায়াবৃত্ত পত্রিকা", "শাব্দিক পত্রিকা", "উত্তরপক্ষ কবিতা পত্রিকা", "খেয়া পত্রিকা", "শব্দপ্রতিমা পত্রিকা"র মতো বিভিন্ন প্রিন্টেড ও ডিজিটাল পত্রিকায়৷

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন