শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪

দেবার্ঘ সেন



দেবার্ঘ সেন * দু’টি কবিতা 







দেখেছি, দেখলাম 

যা যা আলাদা হবে হোক,

এ শরীর গুছিয়ে নিক রঙিন সুতোর আবহাওয়া


দাঁড়কাক এসে আজ

যতই ডেকে যাক 

কোনখানেই রচিত হবে না কোনও দুঃসংবাদ। 


যা যা ভেঙে যাওয়ার তা যাক,

মাত্রায় এসে আজ প্রখর রোদ পড়ুক।


যেটুকু জল ছিল ভাবনার দেহে

সে জল শুকিয়ে গেলে, আশীর্বাদ তোমার—


ছায়ার দেশে এসে ধূসর বা কালো,

সে অর্থে ফারাক আলোর ঘনত্বে

বরং তীব্র আঘাতে তৃপ্ত হই আরও

আকাশ বেয়ে অক্ষরকে, নামতে দেখলাম।











খাট

খাট আসলে একটা পরিণত লাবণ্যহীন স্ত্রীলোক। 

আমার সকল ক্লান্তির আদর যেখানে নিঃশব্দ লেগে থাকে। 

তার তলায় আমি শব্দের স্রোত জমাই নিরঙ্কুশ প্লবে। 

ধারকত্বের প্রশ্ন আমাকে কেউ করেনি কখনও, 

যদিও বা ওঁরা এসেছিল সাক্ষাৎকার নিতে চেয়ে, 

আমি তখন খাটের ওপর বজ্রাসনে আড়ষ্ট ভাঙতে ভাঙতে

দৃশ্য দেখছিলাম চির অম্লান মন্দারের। 

সে দৃশ্যেও আমি শুধু সাজিয়ে তুলেছিলাম খাটকেই। 

অপূর্ব পারিজাতের বৃন্ত ফেলে আমার ভ্রান্ত সুধা রমণীকে

মিশিয়ে দিয়েছিলাম অকপট। 

এসব দর্শন দোষে, 

আমার শ্মশান যাত্রা দুরমুজ দিয়ে সুগম করতে করতে 

পূর্ণ রিক্ততায় মুছে গেল আজীবনের ছলাকলা। 

স্তননের কুয়াশা কাটতেই ছুঁতে চাইলো মহাসত্য মৃত্যু। 

ওঁদের থেকে কে যেন প্রশ্ন করলো

জীবনের কি উপসংহার আদৌ থাকে? 

আর যদি থেকেও থাকে তাহলে নিজস্ব উপসংহারে আপনি কি লিখবেন?

খটকা লাগলো আমিও কি জীবনের দাস তবে। 

মুখ ফিরিয়ে বসে থাকার পর ধীর স্বরে মন জানালো

টাকা পয়সা তো কিছুই করতে পারিনি জীবনে। 

থাকার মধ্যে আছে শুধুই কবিতা। 

সেইসব কবিতার বিনিময়ে

আমাকে কি একটা মরার খাট দেওয়া যেতে পারে??












****************************************************************************************************



দেবার্ঘ সেন

এ সময়ের অন্যতম শক্তিশালী তরুণ কবি। বিষয় ভাবনার নানাবিধ বৈচিত্র ছুঁয়ে থাকে তাঁর কবিতা। স্বকাল ও স্বদেশ ভাবনা তার মধ্যে অন্যতম । দেবার্ঘ সেন-এরকবিতার বই---) সমান্তরাল, দিগন্ত প্রকাশন ২) এক্সকিউজ মি, বার্তা প্রকাশন ৩) কাজল বাঁশী, বার্তা প্রকাশন ৪) নির্বীর্যতার জতুগৃহ, বার্তা প্রকাশন ৫) স্পর্শ নামক জেলখানা, একটি গীর্বাণ প্রকাশনা ৬) ভাতের জন্ম, সাপ্তাহিক ব্ল্যাকহোল প্রকাশনা । গত বইমেলায় প্রকাশিত ----

২টি মন্তব্য: