বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

সম্পাদকীয়




সম্পাদকীয় 

স্বরবর্ণ * ১৬ / শীত সংখ্যা  

২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ 

১৫ ডিসেম্বর ২০২৩




প্রতিবারই যখন শীত সংখ্যার আয়োজন চলে, শীত আসুক না আসুক, কিছুটা দূর থেকে হলেও, নতুন বছরের পদধ্বনি শোনা যায়। কিছুটা দূরই বা বলি কেন, আজ ডিসেম্বরের ১৫ , আর তো মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরই নতুন বছরের আগমন। স্বাগত তোমায় ২০২৪।


কলকাতায় শীত বরাবরই কৃপণ। ইদানীং যেন আরও বেশি। বঙ্গোপসাগর বা আরবসাগরের হঠাৎ হঠাৎ ফুঁসে ওঠা, নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়া, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার পথ রুদ্ধ করে দাঁড়ানো, আর অকাল ঝড়-বৃষ্টির শাসানি শীতকে প্রায় কোণঠাসা করে ফেলছে। শীতকে কাবু করতে তাছাড়া 'গ্লোবাল ওয়ার্মিং' নামে ভয়াবহ দানব তো আছেই। এই দুই দস্যুর সাঁড়াশি চাপে, বেচারা শীতের ত্রাহি ত্রাহি রব,অন্তত এই কলকাতায়। সোয়েটার -জ্যাকেটের ভাঁজ খুলতে না খুলতেই শীত উধাও। গ্রামে-গঞ্জে তবু সে খানিকটা হাত-পা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ডানা মিলতে পারে। যতই ক্ষণস্থায়ী হোক, শীতের আয়োজন তবু থামে না। নলেন গুড়, পাটালি, জয়নগরের মোয়া, পিঠে-পুলির ঘরোয়া আয়োজন তো আছেই। এ আমাদের সংস্কৃতি -কৃষ্টির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কমবেশি শীতের প্রভাব পড়ে আমাদের সাহিত্যেও। ছোট-বড় পত্রপত্রিকাগুলি নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সাজায় শীত সংখ্যা, যে ব্রতে শামিল হয়েছি আমরাও। গল্প, কবিতা, গুচ্ছ কবিতা, অণুগল্প, প্রবন্ধ ও উপন্যাসের সমাহারে আমরা সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি এবারের শীত সংখ্যাটি। 


এ সংখ্যার বিশেষ আকর্ষণ 'ধামাইল ' গান, যে- গান দু'টি বাংলাদেশ থেকে লিখে পাঠিয়েছেন, প্রিয় কবি-অধ্যাপক, দিলীপ রায়। পল্লী বাংলার সিলেট অঞ্চলের গ্রাম্য বধূরা মোহময় মায়াবী সুরে 'ধামাইল' গান। বাউল, ভাটিয়ালি, ভাদু, টুসু, ঝুমুর, ছৌ ... এ সব বাংলার সভ্যতা, সংস্কৃতি ও কৃষ্টির ধারক ও বাহক । রাজনৈতিক পার্থক্য যাই থাকুক, 'বাংলা' বলতে এখানে আমরা ব্যাপক অর্থে কাঁটাতারের দুই প্রান্তের উভয় বাংলাকেই বুঝিয়েছি। 


শীত সংখ্যাকে যেসব কবি, লেখকেরা উষ্ণ করলেন, তাঁদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। দুয়ারে সমাগত নতুন বছর। নতুন আলোয় ভরে উঠুক সকলের আগামী চলার পথ, আমাদের একান্ত কামনা ।


**********************************************


***********************************************

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন