নিমাই জানা * দু'টি কবিতা
কাশ্যপের স্নানাগার ও কন্ঠনালীর শিলাজিৎ ট্রাপিজিয়াম
কাশ্যপ অধ্যুষিত গোদাবরীর নন ভেজিটেরিয়ান ক্লিভেজ সরিয়ে আমি ক্ষেপণাস্ত্র বিহীন দাঁতের ক্যানাইন ফুটিয়ে একটা শ্বেতী রোগাক্রান্ত পানশালায় সাদা রঙের ডলোমাইট ভর্তি ডিম ভেজে খেতে দিচ্ছি পুরুষাঙ্গ বিহীন একটা ঘোড়ার শব ব্যবসায়ীকে ,আঙ্গুলের ভেতরে একটা ১০০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের পুংলিঙ্গের দৈত্য থাকে , লাল কফ ,সাদা থকথকে কুকুরের বিকট চিৎকার একটা ল্যাবরেটরির বাইরের নীল জেলকো সেটের জোলাপ ক্রমশ যজ্ঞের নির্ঘণ্ট সরিয়ে আমাকে চামড়া বিহীন মাংসে পরিণত করছে , চিৎকার করতে পারছি না কাউকে দেখাতে পারছি না আমার কাঠের দন্ডটির জৈবিক রজস্বলা , আয় কালো রঙের রেশমী কুকুর আমার পেট চিরে খা সাদা রংয়ের দামোদর নদ
সাদা সাদা ধুম্র পাহাড়ের খয়েরী সাপ যারা নীল গোলার্ধে নিয়ে যাবে জেলি মাখানো কোন তামাটে স্তূপ পর্বতের ছিদ্রাল অসুখের গর্ভস্থ কক্ষের ফুসফুস সামগ্ৰী , এখানে সবাই সপ্তম সুরে দোতারার বিষাক্ত বিষাদ বাজায় কন্ঠনালীতে একটা সুচ গেঁথে রেখে
মদন হাওয়ার মতো ট্রাপিজিয়ামটি অন্ধকারের ছায়া ও আত্মার পুরুষত্বহীনতার উপসর্গ নিয়ে থরথর করে কাঁপতে থাকে , আমি আমিই সেই চিরহরিৎ শিলাজিৎ ঘাম নৌকা , সেই নীল অভয়ারণ্যের মস্তিষ্কের ভেতর কিছু ধান বীজের চারা পুঁতে দিচ্ছি বড় শ্বাসকষ্টের সময় , ১৮ কল্পান্তর মহাজাগতিক কক্ষের উপরে দাঁড়ানো ১৮ লক্ষ পূর্বজন্মের পর অট্টহাস্যের প্রতিটা শ্বাসকষ্টহীন পিতারা ঘুমিয়ে যায় নীল কর্পূরের মতো বিছানায় সপ্তর্ষি নক্ষত্রের তেজস্ক্রিয় লিঙ্গ খন্ডক জ্বেলে রেখে , আত্মার খণ্ডাংশ ও জ্বরের জিরাফ মার্কা কমলালেবুর ঠোঁটগুলো জ্বলে উঠলে ভয় করে সাদা কেন্নোদের মতো , চোখের মত এত বিষাক্ত স্ট্রিট লাইট নেই
লৌহ কণিকার লোমশ যৌন প্রদর রোগ সেরে যাচ্ছে ক্রমশ , আমার হৃদপিণ্ডের ভেতরে অসংখ্য সাদা বমি থেকে একটা জলচক্র নিজে থেকেই বেরিয়ে এসে হলুদ বমি করে ফেলল খনিজ ভর্তি নির্জন রাতের উচ্চাঙ্গ শৈলশিরায় যে সময় অনেকে শিখরে যাওয়ার নাম করে একা একা উড়ে চলে যায় কোন বিষ্ণুলোকের দিকে , আমি মৃত মানুষদের জমাট পোতাশ্রয় খুঁজছি
ছিদ্রাল হাড় গুলোতে জমে যায় আবার নিষিদ্ধ অন্ধকারের এক এক ডক্সিনেট ফাইভ , গর্ভবীজপত্রের অনিষিক্ত কালো কার্পাস তুলো ঘরে আমি শুধু পোশাকের ভিতর একটা পুরোহিত গন্ধ লুকিয়ে রেখে সারাদিন মৃত যজ্ঞের চারপাশে অবিভাজিত মকরন্দ ব্যবচ্ছেদ করার জন্য,
লাল কাঁকড়ারা মস্তিষ্কবিহীন হাইপ্যারাবোলা ময়ূরীদের আকন্ঠ অ্যালকোহলিক অসদবিন্দুতে এই যজ্ঞের শেষ শুক্রানু পুঁতে দিচ্ছে
ঋষি পত্নীরা আরো একবার অমরাবতীর নিঃশর্ত স্নানাগারে উলঙ্গ ভেষজহীন সূচীছিদ্র বস্ত্রগুলো ফেলে রেখে যেতে চাইছেন , জিওল মাছটি সবিকল্পের কথা বলছে
কালো রঙের অজগর ও পঞ্চযোজী চাঁদের উলঙ্গ আর্তনাদ
আত্মতৃপ্তির (৪০°<√π যজাতি অক্ষৌহিনী সেনাদের দল ) চোখটাকে তুলে রেখে সাদা রঙের প্লেটের ওপর রেখে দিলাম
মদন রসালো জলে ভেসে যায় একটা বয়ঃসন্ধির আশ্রমিক কন্যাদের ঘৃণিত নৃত্যের সর্বমঙ্গলের কলা রহস্য , মিথুন ছায়াকে কালো প্লাজমা খাওয়াচ্ছি স্ট্রবেরি কৌটা থেকে
ফুলেদের ভেতর অজগরের একটি খোলস থেকে কালো রঙের মাকড়সারাই আমার দেহের ভেতরে ঢুকিয়ে রাখে কৃষ্ণ ঘরের শ্বেতাঙ্গ সুখ , নিশিকান্ত এখানে প্রতিদিন সাদা কাঠ খোদাই করে গম গাছের পোকাদের জমিয়ে জমিয়ে জিষ্ণু হয়ে উঠছেন , একটা লৌহ বিক্রেতাই পৃথিবীর সব আসল রহস্য জানে
আমি মৃত আবলুশ কাঠের আসবাবটিকেই মৃত্যুর যৌন পর্দা দেখিয়ে আগুন সম্ভোগে বাধ্য করেছি প্রতিটি চতুর্দশীর রাতে , মৃত্যুর মতো অমৃত অভ্র চাঁদ লাল নৌকা থেকে নেমে গাছের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে হাইপারট্রপিক হৃদপিন্ডের ছায়াহীন ঠোঁটবিহীন কিছু ঘোড়াদের বর্জ্য খেতে খেতে , বাবার শিরায় আমি উন্মাদ পাগলের মতন নাচছি বৈকুন্ঠে যাওয়ার কথা ভেবে
নীল জরায়ু ভর্তি কোন গোপনাঙ্গের শব্দ নেই এই অশরীরী আত্মাদের চরম কফ খাবার ইচ্ছে হচ্ছে আজকাল যাদের সাথে একসাথে জলের অনেক অতলে থাকা পরমাত্মার গলা থেকে কালো রঙের পটাশিয়াম খাওয়া তরল সাপগুলো বেরিয়ে জড়িয়ে ফেলছে তেজস্ক্রিয় খনির পঞ্চযোজী ল্যাভেণ্ডার গন্ধ ,
দুই হাতে ছিঁড়ছি নিজের মাথার বিষাক্ত ঘৃতাহুতি যৌগিক , যজ্ঞের বস্ত্র ও ফিসফিস করে মৃতদেহের উলঙ্গ আর্তনাদ বেড়ে যায়
বিছানার চারপাশে ৫ জন যমপুরীর রক্ষিতা দাঁড়িয়ে থাকে নিজের নৃপতি অন্ধকার থেকে বাৎস্যায়নের নৃতত্ত্ব স্তোত্র মালা গুলো পাঠ করাবে বলে , পিচ্ছিল পলি ক্লোরাইডের উপর মিলিয়ে দেয় এক একটা যজ্ঞের আত্মাহুতি যৌন সমগ্র , জেড এক্স লুব্রিক্যান্ট ধূপ জ্বালি চাঁদের উলঙ্গ গর্তে একটা মৃত আয়ুর লেখচিত্র নেমে আসছে কাঁচের পারদ ছায়া বরাবর ,
আমাদের একদিন চামড়ার থলির মতো সাইকো গাছের নিচে লোহার গোলাপ গুলো মুখে পুরে পেট ভরাচ্ছে আঠারো কোটি পূর্বজন্মের একটি মাংসের স্তুপ
জ্বলে ওঠে নাভির কশেরুকা , নাভি থেকে সরু সাদা রঙের জলজ সাপেরা ক উপত্যকায় আরো একটা জলজ প্রহ্লাদের জন্ম দিচ্ছে শ্মশানের মতো বিক্ষিপ্ত হিমালয়ে নেমে , লাল নিশাচরদের ধরে ধরে দৈত্যের আত্মার ও প্রলাপ জনিত বায়ুমন্ডলে ঘুরতে থাকে নিজের পিত্তথলির গা বমি বমি করা মিথিলা তৃষ্ণার গান ,
সকলেই নিথরের মতো পিরামিডের অনেক নিচে নেমে মমির শরীরে রসায়ন চেটে চেটে খায় সকলেই অজানা নিজের মতো ডোরাকাটা শ্মশান , উঠে আসে পিচ্ছিল ফসফরাস দিয়ে স্নান করানো অন্ডকোষের সাদা রঙের সৈন্যদের সাথে।
নিষিদ্ধ ঘুমের জারক দ্রব্য জমাট করে রাখি এক একটা চৌবাচ্চার নিচে কল্পিত অংকনের নিউক্লিয়াসে কঠিন প্রোটনিক আইসোটোপেরা অদিতি রম্ভাদের মতো দারুচিনির নিষিদ্ধ গন্ধ নিয়ে আমাকে উন্মাদ করে ফেলেছে আমি শুধু ননস্পেসিফিক ডুয়ালিজম প্রিপজিশন মৃত্যুর আগে আঙ্গুল খুঁড়ে খুঁড়ে গর্ভসঞ্চারের লাল পুঁথিকা গলায় জড়িয়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাচ্ছি
*********************************************************************************************




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন