বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

অনিরুদ্ধ সুব্রত




অনিরুদ্ধ সুব্রত * দু'টি কবিতা









শব্দের মধ্যে নিঃশব্দ

একটি শব্দ অনেকক্ষণ ভাবাতে পারে 

আপনাকে,


একটি প্রেক্ষিত একটি বোধকে খুঁজে এনে

তার গায়ে পরিয়ে দেয় কোনো একটি ধ্বনির সভ্য জামা,

তবে উত্তেজনা বা আবেগ বা বিরক্তির দরজাটি

তেমন কপাট-ভাঙা হলে, অথবা উচ্চারণের 

চৌকাঠ যদি একান্ত খোলাই থাকে--

শব্দটি চঞ্চল বালকের মতো ঘর ছুটে

বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়


অথচ মানুষের শ্রবণের এতো যানজট

মস্তিষ্কের চৌরাস্তায় হঠাৎ একটি সংঘর্ষ--- অসম্ভব নয়,


আমরা তো দুর্ঘটনা পর্যন্ত অপেক্ষা করি---

যেখান থেকে আমাদের শুরু হয়-- মনন, সংবেদন, সমবেদনা

প্রভৃতি পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রাণ যেতে পারে উড়ে

শব্দের প্রক্ষেপ এতো কেন দুর্ঘটনা প্রবণ...













নায়িকা

পূর্বাপর পোস্টারে দেখেছি, মুখটি সুখী সৌখিন

সুযোগে তাকে খুঁজে, কাঁচা আঠার দেয়াল থেকে

লেপ্টে যাওয়ার ফাঁকে টেনে, ছিঁড়ে, মুখটা এনে

সেঁটেছি দরমা বেড়ার ঘরে, ফাঁক বোজাতে।


কেরোসিন সংস্কৃতির আলো নিভিয়ে বাড়িয়ে

ঢেউটিন চালা থেকে ছলকানো সূর্যে বা ছায়ায়

দেখেছি দীর্ঘ মুখ চেয়ে তার , খিদে ঘুমে, যাপনে 

পূর্বাপর নতুন কাহিনির, নবতম পোস্টার দেয়ালে।


সেও‌ যে দেখেনি তা নয়, মুখোমুখি একই ঘরে

দেখেছে সে চুপ, জ্যান্ত কান্নায় বা উলঙ্গ অবয়বে 

দিনে রাতে খিদে, রক্তপাতে, অলস ও নিরলস-এ

সেই পোস্টার থেকে, চির সিনেমার মতো মুখ করে।











******************************************************************************************************




অ-নিরুদ্ধ সুব্রত

জন্ম ১৯৭৪, বনগাঁয়। ছাত্রবয়স থেকে লেখালিখি শুরু। মূলত কবিতা। এছাড়া ফিচার ও ছোটো গল্প। এ পর্যন্ত প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ- ছয়টি। প্রথম কাব্যগ্রন্থ- 'রোদ ও বোধের দ্বীপে'(২০০৩) এরপর 'আগুনের দিন গুলো নেই', 'নিভৃত আগুনের পদাবলী', 'এক গলিত যুদ্ধ স্রোত', 'কালো ছত্রাক', 'যাপন বিক্রির টেবিল'(২০২১)। সম্পাদিত পত্রিকা- 'উত্তর পক্ষ' । পেশা শিক্ষকতা, নেশা কবিতা। সম্প্রতি প্রকাশিত অ-নিরুদ্ধ সুব্রত-র কবিতার বই---



                             

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন