চন্দ্রাণী গোস্বামী * দু'টি কবিতা
...ঝরে পড়ছে রবীন্দ্রনাথ। ক্রমাগত।
এ'ও এক ক্রান্তিকাল। তবু সে নিরলস হাতে সারেঙ্গীতে
সুর তোলে আশ্চর্য বিষাদের। শীতকালের।
ছন্নছাড়া স্বরের ভিতরও সযত্নে গেঁথে তোলা সুর----
সা রে গা মা পা... অবিরাম ছোঁয়াছুঁয়ির পর
খুলে যায় কতো নষ্ট মুহূর্ত।
'আপন থেকে বাহির হয়ে' এক কুহকী ছায়ার মধ্যে মিশে যায়
হরিণের দেশ। নাভির সুরভি। ধারালো শিং।
অতীতের চাঁদ ওঠে মায়াবী দেশে। হয়তো বা চাঁদ নয়,
চাঁদের মতো লোভ---- কারও এক নিঃশব্দ ভেসে যাওয়া।
অবিরাম শ্রীখোল বাজে বুকের মাঝে...
অনন্ত
একবার তোমায় সমুদ্রে স্নানরত দেখেছিল আমার
যুবতী চোখ। অতঃপর সমুদ্রের গভীর মাটি ছুঁয়ে আছি
আমি, মৎসকন্যা হয়ে...
বুকের ভেতর একাকার ভালোবাসা নিয়ে
সমুদ্রও খুলে দিয়েছে তার ঠোঁট চিরতরে---
এখন,
তুমি কি কল্পতরুবৃক্ষ নাকি সমুদ্র?
নাকি তুমি আমি যুগ্ম দেবদারু... জেগে থাকি জ্যোৎস্না রাত পর্যন্ত?
***********************************************************************************************
জন্ম সত্তর দশকের শেষদিকে। স্কুল জীবন, বড়ো হয়ে ওঠা সবই কলকাতায়। পড়াশোনা স্নাতকোত্তর , কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে কলকাতার একটি কলেজে হিসাব রক্ষণ বিভাগে কর্মরত। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির প্রতি তীব্র আসক্তি। নতুন শতকের প্রথম দশকের শেষ থেকে নিয়মিত লেখালেখি। কবিতা আশ্রম, কৃত্তিবাস, গাঙ্গেয়, অপদর্থের আদ্যক্ষর, বম্বে ডাক, তমোহা, সাজি পত্রিকা, বিকল্প বার্তা সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত।






কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন