কবিতাগুচ্ছ * পঙ্কজ মান্না
নটরাজ
পুকুরের পাড়ে নির্জন বিকেলে একলা দাঁড়াও।
তালি দিয়ে জল নাচে, নাচবেই জল,
খুলে পড়ে প্রাচীন বাকল।
আসলে কি নাচে জল?
আমারই পায়ের আঙুলে নটরাজ...
লীলায়িত অনন্তের ধ্বনি, গভীর উতল।
সময়ের জলছবি
ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে ভাঙ্গার নেশায়
ফেরার পথটা রাখিনি আর
ফিরতে কি চাই উৎস মূলে!?
আমিই খাদক এবং আহার
অন্ধকারে হাতড়ে দেখি
ঠাণ্ডা ভীষণ অন্ধ কারা ;
কীভাবে যে আলোয় ফিরি
দরজা-জুড়ে রাত পাহারা !
প্রবাসী
এ-পাড়ায় শিরা-ধমনীর মতো হিজিবিজি গলির আঁধারে
নিরক্ত রাত্রির দেশে
কবি থাকে এক.. স্বভূমে প্রবাসী
বন্ধুরা তাঁকে বলে - কবি ও শহিদ
কিন্তু কী আশ্চর্য
এ-গলির ইট...কাঠ
কাঠ-কয়লার মতো নিভে আসা অগ্নি ও অঙ্গার...
সর্বনামে সন্দেহপ্রবণ প্রতিবেশী...
তাঁহাকে কেহই চেনে না..!
মনে পড়ে
নবীন সকাল,
মনে পড়ে ?
নবনী ধানফুলের মতো আমিও যে ফুটেছিলাম
জীবন-গাছের সবুজ শাখায়
শঙ্খচিলের ধবল পাখায়
আমিও যে এমনি করেই ঘুড়ি-লাটাই,
চন্দ্র-তারায় সফর শেষে
মায়ের কোলেই ফিরেছিলাম বঙ্গদেশের অমল ভোরে
মনে পড়ে ...!?"
আলো
রোদ এসেছে পূর্ব দিকের বেড়ায়
মেলে দিলাম নেতিয়ে পড়া বাঁচা
কাঁথা কাপড় না হয় খানিক পরে
রৌদ্র লাগুক আমার বুকের খাঁচায়
যাচ্ছি বেঁকে মনখারাপের বোঝায়
খাচ্ছি সবাই মিথ্যে সুখের গুলি
রৌদ্র লাগুক সবার বুকের খাঁচায়
(নইলে) ঠুকরে খাবে রাজার বুলবুলি
উৎসব
সেজেগুজে বসে আছি..
বাঁধাছাঁদা হয়ে গেছে সব;
এইবেলা উঠি,
এবার কোজাগরী আলোর উৎসব
রোসো,ধর্মবক
এরপর একা যাওয়া....
চতুর্দোলা চায় আহাম্মক
****************************************************************************************************





কবিতা ভালো করে বুঝিনা, যেটুকু বুঝি তাতে বলা যায় ভালো, খুব ভালো। ভালো থাকবেন।
উত্তরমুছুন