বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫

তাপস কুমার দে

 



তাপস কুমার দে * দুটি কবিতা 


ছন্দে বৈরি হওয়া


হিন্দু-মুসলিম এক বৃন্তে দুটি ফুল বুকে নিয়ে ঘুমিয়েছেন যে

কবি

আমি তাঁর উত্তরসূরি। 


তবু আমার ছন্দে বৈরি হাওয়া বিরাজ করছে।


কবিতার ভাষায় আক্রমনাত্মক 

হিংসাত্মক নির্মম লাইনগুলো জোরপূর্বক ঢুকে পড়ে  


রাজনীতি মুখর আমর কবিতা

আগুন দ্বারা বারংবার পোড়ে


আমাদের সম্প্রীতি সৌহার্দ্য

সুখ দুঃখের চারপাশ সবুজ 

গড়ি মন্দির মসজিদে

আর গল্প নামাই বৃক্ষ থেকে।


হাজার বছরের ইতিহাস আমি বুকে নিয়ে ঘুরি

কুয়াশার ভেতর আমি ভেঙে পড়ছি

আর সবুজ হারিয়ে ফেলেছি। 


আমার কবিতার কান্নায় গোরস্তান ভেসে যাচ্ছে


অন্ধকারে পাপের ঈশ্বর

যাকে অতিক্রম করছে মহা আনন্দে।।








ভরা মেঘে বিদ্যুৎ চমকালো 


দ্রোহ

মনে হয় সেখানে কোনো মায়া ছেঁড়া কান্না মাটি খুঁড়ছে 

মৃত্যুর মত ছায়া বয়ে বেড়াচ্ছে আকাশের দ্যুতি

জোছনা লুট হয়ে যাওয়া কাগজের নৌকা ভাসছে 

বেলুনের ভেতর স্মৃতি ভরে ছেড়ে দিচ্ছে মহা শূন্যে


শূন্য কোনো শূন্য নয় জলবায়ুর ঘর

ঠোসা পড়া চাবুকের দাগ ঘরের গতরে


যে গল্প 

আকাশের

মানুষের

সময়ের স্রোতে ফের মায়া কবর নড়েচড়ে বসে  


কাহিনির মত করে খুন দিয়ে বেঁধে রাখা সূর্য


অশ্রুতে অস্ত্র নেই 

ধারালো দৃষ্টি জ্বলছে যেন

যেখানে সমুদ্রের গর্জন ভাঙছে পাঁজর।। 













**************************************************************


তাপস কুমার দে 

 লেখালিখি শুরু--সেই স্কুল জীবন থেকে লেখালেখির হাতেখড়ি। 
 স্কুল জীবন থেকে বিভিন্ন রকম গল্পের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে এটা প্রবল হয় যখন আমার এক সহপাঠী বিভিন্ন রকম বই সংগ্রহের উদ্যোগ নেই কারণ সে পাঠাগার গড়ে তুলবে। আর এ কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করতে গেলে একটি বই দিয়ে অংশ গ্রহণ  করতে হবে। আমি অংশ গ্রহন করলাম এবং গল্প পড়তে পড়তে লেখার ইচ্ছে জাগে এবং একটি গল্প লিখেও ফেলি ওটাই আমার প্রথম লেখা। 
প্রভাব সৃষ্টিকারী লেখক অথবা কার কার লেখা পড়তে ভালো লাগে---- আমি যখন বেড়ে উঠি তখন হুমায়ুন আহমেদের যুগ তারপরও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্রের মতো লেখকদের লেখা ভালো লাগার তালিকায় উঠে আসে। 
আমি কেনো লিখি---- আত্মতুষ্টির জন্য খানিকটা তারচেয়ে বড়ো ব্যপার হলো মনুষ্যত্ব বিকাশের অবিচ্ছেদ্য অংশ যে সাহিত্য, তা নিজেকে ও সমাজকে বুঝাতে। যার ভেতর রয়েছে মহাজাগতিক আনন্দ। 
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নের  পদক্ষেপ ---- লেখালেখির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলতে নিজের বই প্রকাশ করার আপ্রাণ চেষ্টা আর সেই লক্ষ্যে পান্ডুলিপির কাজ চলমান।  
 বেশকটি সাহিত্য সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম তার মধ্যে অন্যতম খুলনা সাহিত্য মজলিস,  খুলনা কালচারাল সেন্টার। এখনও সম্পৃক্ত আছি খুলনা কালচারাল সেন্টারর সাথে।  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন