প্রাণজি বসাক * দুটি কবিতা
ভালো নেই
কিছুই ভালো নেই ডানে বামে কোথাও
মাঝখানের পাতায় থমকে থাকা চোখ
নাড়াচাড়া করে দেখে ভুবনেশ্বরী কোথা
এখানে এই পাতায় তার থাকাটা জরুরী
ভালো নেই কিছুই ভালো নেই পরমহংস
রাতে অন্ধকারে জ্বর ওঠে ভুল বকাবকি
আর ভোর হতেই নেমে পড়ে রোদ জেল্লা
তুই-তাকারি করে ম্যানেজ সিস্টেম সর্বত্র
ভানুসিংহ জানে কারবার ভালো কি মন্দ
নানান পদ থাকে প্রসাদে গ্রহণ করো প্রভু
প্রতিদিন পোড়ে
আমাকে প্রতিদিন ডেকে নেয় অভিলাষী ঠোঁট
আমি চোখে চোখে পান করি বিষাক্ত বিজ্ঞাপন
ক্রমাগত বিষক্রিয়ায় অসার হয়ে পড়ে দেহ মন
কিছুতেই আর মনে পড়ে না সর্বশেষ বাক্যালাপ
তুলে রাখা সময় এসে তাগাদা দেয় উড়ান কথা
টুকটুকে লাল আঁধারেও আগুনের মতো পোড়ে
এখন কি আর আলাপ জমে নির্বাক থাকা শুধু
একসময় আগুনও নিভে যায় পড়ে থাকে মনটা
সোজা হয়ে দাঁড়াতে চাই অথচ মেরুদণ্ড কোথায়
অভিলাষী ঠোঁট বিষে আগুনে পোড়ায় প্রতিদিন
*************************************************************************
পেশায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসক ও নেশায় কবি। হিন্দি বলয়ে বাংলা ভাষার কবি। কবিতাই একমাত্র জীবনের ওষধি, একথায় বিশ্বাসী। স্কুল ও কলেজ জীবন কেটেছে উত্তরবঙ্গের তুফানগঞ্জ তথা কোচবিহার শহরে। চাকরিসূত্রে রাজধানী দিল্লিবাসী প্রায় ৪৩ বছর। আইআইটি দিল্লির ক্যাম্পাসে এবং আশেপাশে কাটালেন দীর্ঘ জীবন। কবিতা আড্ডা জমে ওঠে এখান থেকেই। খোলবাদক পিতা ছিলেন তার কবিতার প্রেরণা। মূলত লিটম্যাগের কবি। কবিতা ছোটোগল্প অণুগল্পে তিনি স্বতঃস্ফূর্ত। দেশবিদেশে বহুবার সম্মানিত। বাংলা কবিতা নিয়ে বহুবার বাংলাদেশ এবং দুবার ইউরোপ ভ্রমণ করেছেন। রূপসী বাংলা পুরস্কার, বনানী পুরস্কার , ভারত- বাংলাদেশ সাহিত্য সংহতি পুরস্কার, শৃন্বন্তু সারস্বত সম্মান, উত্তর বাংলা পুরস্কার,তিনবাংলা সম্মাননা উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন সময়ে তিনটি পত্রিকা এবং দুটি কাব্যসংকলন সম্পাদনা করেছেন। তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ২২ টি।





কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন