বিশ্বজিৎ বাউনা * দুটি কবিতা
রসদের কবলে
ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ব্যবধান, যেন পাখির স্ফূলিঙ্গে ডুবে
অনস্বীকার শূন্যের ডগায় ফলিত বিভ্রমে মাথানত প্রেম।
চিরহরিৎ কামনার সরোবরে
ঝুপ করে দুপুর ডুবে যায় ক্রমে--
সেই সাধ্যাতীত ছায়ার প্রলয়ে নিজে নিজে বিচলিত হই।
খন্ডিত প্রহরের শিখা নির্বাক জ্বলে...
রক্তের চিঠি খুলে।
যেন সেই অর্বাচীন জরিপের তলানিতে মুহূর্তের অন্তিম
বিকশিত মুগ্ধতার মহারায় লেগে থাকে মৃতপ্রায় স্খলন,
আজ তবুও সেতারে স্বাগত শূন্যের ফোকলা ঢেউ
অক্ষরের কঙ্কালে ছুঁয়ে যায় সব বিভোর বাতিল
অনাহুত অনামিকা।
চির অম্লান মোহ থেকে খুঁটে নিই
রসদের বিনম্র ভাঁজ।
আর্তি-সম্বল
ফেনিল বৈঠার নিচে নিশাচর নির্যাস ছুঁয়ে
ক্রমে দৃশ্যায়িত প্রেমিকের ঠা-ঠা খরা পেঁচিয়ে যায় শূন্যে
প্রতিবেশীর বাতিঘর থেকে ছিটকে আসা শীতে
কামিনী আলোর তর্জমা, সকাম ভেলার নির্জনতা...
আমাকে ঘন ভাঙনের আহ্বানে বিভ্রান্ত করে।
জাবর-কাটা জ্যোৎস্নার রাতে করতল বরাবর
লবণের নাভি
তুলতুলে গুহার নেপথ্যে চেয়ে থাকে।
অতিঘোর নিষ্ক্রিয় সেই বিনম্রতা
যেন পাখিরা শূন্য ছিঁড়ে রেখে গেছে কাটাকুটি
উল্টানো প্যাস্টেলের আঁকিবুঁকি ছুঁয়ে
সদ্যোজাত মৃত শাবককে যেভাবে মা ডাকে...
আমি তোমার ছায়াকে প্রখর বিশ্বাসে ঠেলা দিতে দিতে
শুধু আর্তি-সম্বল হয়ে উঠি।





কবির অনন্য সৃষ্টি
উত্তরমুছুনদাদা আপনার মন্তব্যে প্রাণিত হলাম। খুব ভালো থাকুন 🙏🙏🙏
উত্তরমুছুন