শিবালোক দাস * তিনটি কবিতা
বীজমন্ত্র
বসে আছি।
হঠাৎ এ দুটি হাত বিন্দু বিন্দু
জলে পরিণত হল....
এতদিনের সঞ্চয়ে কেন
দৈব করলে আমায় ?
কেন আনলে আবার চৈ-চৈ ?
লঙ্ঘনে লঙ্ঘনে এখনো বিহ্বল
সে রাত, সে রাত আমার প্রথম
বিদ্যুৎ...
আর কোথাও নেই চরাচর..
নতজানু শব্দের মধ্যে নিঃশব্দে ডেকে
ওঠে কেউ, যতদূর ছড়িয়েছে ঘাস ও
ফুলের দ্বন্দ্ব...
বসে থাকি সে দ্বন্দ্বের ভেতর, অবসানে
শুধুই ঢেউ...
স্থবির হয়ে তুমি যে বিদ্রোহ খোঁজো,
তার নিপাট শরীরে এত লবণ, এত
স্বাদ, এত কারুকাজ, এত বিচ্ছুরণ...
চোখ বুজে আসে।
যে তোমাকে পূর্ণ করে, অপর্যাপ্ত
নদীর শিয়রে,
সেই আমাকে হাঁটতে শেখায়...
মুগ্ধ করে....
শুশ্রূষা
তরঙ্গে পূর্ণ হল শুশ্রূষা...
অবশ্যম্ভাবী নয় বরং এমতাবস্থায়
তাকে দিই এলোমেলো হরফ,
বলি, জাগাও, এ পোষ্যরূপ তোমার
জন্য ভালো নয়...
যতদূর পেয়েছ, হেঁটেছ বুকে
নিয়ে, তবে কেন এত দ্বিমত ?
ইঙ্গিতে দাও, পরম হোক ভাষ্কর্য...
দিন বদলেছে, বদলেছে হাজার
ব্যবধান, আলোর নিরিখে শরীর
কেবলমাত্র জলস্পর্শ...
ইঙ্গিতে পাতো কান, শীর্ণকায় দিকে
পাল্টেছে খেলা।
রক্তিম হতে হয়, শুধুমাত্র আলাপে
মরে যাব বলে--
অতঃপর, তোমাকে করতলে রাখি,
কদর্য স্বচ্ছতা থেকে তুলে !
নির্মোক
এই যে বিনীত মেঘ, প্রতিটি
স্পর্শে নিরুক্ত মোমবাতি জ্বালাও,
খুলে দাও অন্ধকার তৃতীয় সুরে...
ধারণ করো, হাড়ে আজ জলজ
হয়ে ওঠে....
কর্কশ তার নক্ষত্রস্বর এতদিন
ফিরিয়ে নিয়েছে ভোর,
কৈ, কোনোদিন তো করোনি আবশ্যিক ?
উড়ে যায় নিভৃতে প্রতিদিন মন্থনে ও
মুদ্রায়, জ্বলে ওঠে দ্রুত...
আঙুলে ছোঁয়াও, দেখুক মুর্ছনায়
কেমন করে ফেরা যায়, পূর্বাহ্ন পেরিয়ে...
তুমি কেবল চিনিয়ে দাও নির্মোক শিখা...




নির্মোক - অপূর্ব লেখা
উত্তরমুছুন