অমিত চক্রবর্তী * দুটি কবিতা
আমি মধুরে বঞ্চিত হইলাম
নিদারুণ এবং ন্যায়বান, খানিকটা স্বাধীনও সেই দখিন হাওয়া
আজ ভরা চাঁদের নীচে আমি নিঃস্ব হব, উল্টোপিঠে ফানুস হাতে
দৌড়বে যারা রেডি স্টেডি ট্রিগার হ্যাপি, তাদের ভাঁড়ার
শূন্য হবে, তৃতীয় চোখের মরণ আজকে, আমাকে ভাঙিয়ে আর
কতদিন খাবে? কালিমা, কালিমা, তোমাকে বলেছি
এইসব গানের কথা, বেসুরো সব দম্ভতাল, এবং আরো অসম্ভব
বেয়াড়া ব্যাঁকা আড়িঠেকা, অভয় দিলে আরো বলব
কারা কারা সব পিছিয়ে পড়ে,
কারা কারা হালছাড়া, এবং হতাশ অথবা প্রত্যাহত,
কাদের আবার মরণ নিয়েই লেখাপড়া, আজন্মকাল
জেগে থাকার শরণ নেওয়া, সত্যাসত্য অন্বেষণে
দিশা, দিশাখোঁজ তাদের, নগ্ন তারে কৃন্তন।
রেসিপি
জলস্রোত নিয়ে গর্ব ছিল আমার
সবই কি তোর ছেলেখেলা,
মা বলেছিল একবার, মাঝে মধ্যে মনে হয়
হেরে যাওয়া ভাল,
বৃষ্টি এসে, ঘষে ঘষে, অচল তামার বাসন
আমার শরীর, মেজে মেজে ঘষে ঘষে
ব্রাসো, বৃষ্টি,
অচল পয়সা আমার হৃদয়, কেন ফের
মোড়ক লাগাও তুমি রাঙতার, কেন
সেঁটে দাও আকাঙ্ক্ষার তীব্র বিজ্ঞাপন?
তোর কথা ফুরিয়ে আসছে বাবুল, মা বলেছিল,
শব্দ ঘোলাটে হচ্ছে, দীর্ঘসূত্রী,
মাঝে মাঝে টঙ্কার শব্দ তোল্
গল্প লেখ একটা বড়সড়, টলমলে,
আকাঙ্ক্ষার নয়, যাবতীয় বিস্ফোরণের,
আস্পর্দ্ধার।
অমিত চক্রবর্তীর জন্ম সোনারপুর অঞ্চলের কোদালিয়া গ্রামে। ছাত্রাবস্থায় অনেক লেখা এবং ছাপানো কলকাতার নানান পত্রপত্রিকায়। পড়াশোনার সূত্রে আমেরিকা আসা ১৯৮২। এখন ক্যানসাস স্টেট ইউনিভারসিটি তে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ও প্রাক্তন কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের ডিন (২০১৬-২০২২) । প্রকাশিত কবিতার বই ছয়টি – "অতসীর সংসারে এক সন্ধ্যাবেলা" (২০২১), "জলকে ছুঁয়ো না এখানে" (২০২২), "ভালো আছি স্তোত্র" (২০২৩), “ভুলটা ছিল উপপাদ্যে, প্রমাণেতে নয়” (ই-বুক ২০২৩), “প্যাপিরাসের লুকোনো আর্ট” (২০২৪), এবং “মিড় ভেজানো অক্ষরের তান” (২০২৫)। তার সঙ্গে ক্রিয়েটিভ রাইটিংএর বই “সৃজনী লেখার ক্লাসঃ কবিতা লেখা” (২০২৪)। দু'টি পত্রিকার সম্পাদক - উত্তর আমেরিকার নিউ জার্সি অঞ্চলের পত্রিকা "অভিব্যক্তি" (সহ-সম্পাদক) এবং "উজ্জ্বল এক ঝাঁক পায়রা" অনলাইন কবিতা পত্রিকা।






কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন