নিমাই জানার দুটি কবিতা
(১)
রেতঃ প্রস্রাব ও আরোগ্যশালার কসাইখানা
বিধ্বংস বিভৎস শূলাস্ত্রের মারকিউরিক আঘাত, ছিন্ন ভিন্ন লিঙ্গ বাহুমূলের গোড়ায় সশস্ত্র জনপদের আত্মহত্যার অস্ত্র পড়ে থাকে নীল অনাহত চক্রের মতো দৈবাৎ কালী , কে খুন করে? রক্ত দোষের র-এ কার তৃতীয় ধনুক্তির সুষুম্নার সুষুপ্তি নড়ছে ঘর্মাক্ত পিতার লিঙ্গ উদ্ভেদে জলরাশি ক্রমশ অঙ্কিত হচ্ছে ভূমিকম্পের শিখন্ডীময় তৎকালের নিচে , ক্রমশ তাপীয় উদ্বায়ী হয়ে যাচ্ছে ভূ জলজ ক্রীড়ার প্রতি দৈবরক্তের তৃষ্ণার্ত ঘাম গন্ধের কাশ্যপ ডেরিভেটিভের নীল জঙ্গল, ব্যবচ্ছেদ করছে রক্তাক্ত সঙ্গমের প্রাগৈতিহাসিক আদি মুহূর্তের সংযোগ মুহূর্ত ঘর্ষণ চর্বির মতো থলাথলা ঈষৎ বমি ঈষৎ পান্ডু ঈষৎ জৈবনিক ঈষৎ কাঁচ গন্ধ ঈষৎ অনুর্বর ,হে শক্তিযোগের স্থির জলের অনেক অতলে বসে থাকা লিঙ্গমূল সরীসৃপ ক্ষৌরিক হর্ষের নাইলন হিমঘর শক্ত ক্রিস্টাল বোরাক্স ওয়াক্স দড়ির আগায় ঝুলতে থাকা নরম মাংস খন্ড , এসো জবাই হতে থাকি কৌরবের মহাসর্গকালীন মৃত মাঝিদের হাড় হিম নীলাভ চৈতন্যের চৌখুপীতে, টুকরো সায়ানাইড কিলবিল খাচ্ছে একাদশ অ্যাবাকাসের নীল স্বর্গীয় সেবিকারা পৃথিবীতে শুধু খন্ড-ত (ৎ) অসুখের মাত্রা বেড়ে যায় তলপেট বিচ্ছিন্ন মহাগর্তে অসংখ্য ক্ষর অক্ষর জরা পরা শ্রীতারা অপেরা দোতারা নক্ষত্রের বৈদ্যুতিক চুম্বন বারবার সংক্রমিত হচ্ছে সঙ্গমের গুহ্যদ্বারে নীল গর্ভপাত রক্তজবার অশ্লীল ভয়ানক প্রো কুরুক্ষেত্র যোগ আমাদের মৃত্যু হবে মৃত্যুর মতো মৃত্যু হবে মৃত্যুর প্যারাসাইট্রিক অসুখের জেনেটিক ড্রাম নেমে আসবে জঞ্জালে পড়ে থাকবে অবলিক ভ্রুণের বাচ্চার প্যান্টের অ্যাসেটিক , লাল কৌশিক সোনালী মহাপৃথিবী চুরমার হয়ে যাবে অনাবিষ্কৃত ধুমকেতুর রক্ত চক্ষুর প্রক্ষালণ চতুর্থ ভূমি হৃদয় নেমে আসবে জন্মের ক্রিয়াদোষ উপেক্ষা করে , হি হি করে হাসতে থাকে জলজ রাজপথ অজগরের চৌচির ভূখণ্ডময় সরীসৃপ বাচ্চা শ্মশানের মুখাগ্নি করবে একদল রজতশালার নারী দাউ দাউ করতে করতে নেমে আসবে বেলিয়াল অবতার ট্যাটানাসের ভিতরে সাদা জিউস বাড়জীবনপুরের কাঞ্চনজঙ্ঘা অমৃত দানপত্র , জাগরিত পোর্টফোলিও পৌনঃপুনিক শীতল ওম জলের অ্যাবস্ট্রাক্ট কো অর্ডিনেট জেলির হাওয়া কল সমুদ্রের পাড়ে প্রদাহ মুছে যাক সমুদ্রের দেহজ জীবিত কালসর্পযোগ মুছে যাক ভূমিকম্পের প্রলয়শিখা উন্মাদ হয়ে যাক গলে যাক অগ্নুৎপাত ও আগ্নেয় শিলার গোপন সঙ্গম প্রহারভূমি হে নৃত্য চর্বি মাখানো পৃথিবীর মাংস ভাত বীভৎস জৌনপুরীতে তৈজসশূন্য তেজস্ক্রিয় হয়ে যায়, লালাভ (π কম্পাঙ্কের টেসলা) মজ্জাগত প্রমিত শিষ্যেরা এসে কুড়িয়ে নেবে বুদ্ধের হাড় ও অস্তিত্ব বিলীন মজ্জার অষ্টাঙ্গিক মার্গ এ উৎসর্গকৃত উষর মাটির নিচে পৃথিবীর ক্ষয়ে যাওয়া কপিধ্বজ জন্ম নিচ্ছে গোলাপী ত্রিভুবনের ৫ম কচ্ছপের মাথায় এসো গন্ডার সদৃশ নপুংসক নিয়ে আমার নৃশংসতার বস্ত্র ছিঁড়ে ইছামতি ঈশ্বরীর সমর্পণ সংকল্পে ঢুকে যাই। দুটো মুখ দিয়ে অজস্র রক্তস্রাবের গ্যাঁজলা বেরিয়ে আসছে , আন্ডারওয়ার্ল্ডে তিনজন মেনকা আচার্য ভেসে আছে আজকাল
(২)
যুগান্তর ফিঙ্গারিং মায়াবাদ ও অদ্ভুত মাধবের যৌন প্রবৃত্তি
বিসর্পিলাকার ষোড়শ দশমচক্রের ভেতর অকন্ঠের বীজ নামছে। তিনবার ভ্রম বোধ করলেন মুনি পদস্খলন করলেন ঔরসের শক্ত জন্মেঞ্জয় পদার্থগুলো রাজহাঁসের মতো উড়ছে। মাংসল ফেনল বীর্য মেশানো পুঁজের তুলো ভর্তি অ্যামালগাম খনিতে নেমে যাবে অতি ব্যাসদেবের কুক্কুটাসনচক্র , অতি স্থবির পিচ্ছিল হড়পা গিরিখাতের থেকেও আরো সুগন্ধি রেতস্রাবের উন্মুক্ত শিলাচর নয়নাভিরাম জলপ্রপাত হারেম হরিণদের মাংসল জরায়ু সর্বাধিক জনস্রোত হিমের পারদের কাঁচ ভাঙ্গা নীল রক্তের অতীত যুগীয় কক্ষপথের শক্ত চর্বির চাঁচাছোলা মাংসের প্রলাপ দুর্গন্ধের জলস্রোত নীল মাধবের মাংস ও অদ্ভুত ফিঙ্গারিঙের গোপন ইঙ্গিত বিষয়ক সিংহাসনের রতি সারথীবিহীন অপ্সরাদের বাধক প্রদাহ দোষ এক ক্ষেত্রফলে দিব্য বিমান নেমে আসে নিকুঞ্জ অন্ধকারে অতি সুপ্রীত সৌরশিখাবিহীন অনুতাপ করছে বলে , দাও পিণ্ড গুলোকে মুখগহ্বরের কাছে জরাজীর্ণ হোক গুম্ফা লিপির চরিত্র কথা কাঞ্চন স্তব নিয়ে আসুক প্রতিটি শিশুদের মতোই অতি যৌন অক্ষম শ্বেতাঙ্গ দাগ ক্ষত্রিয় ক্রমশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে মাটির উপরে বেড়ে উঠছে লাল নিশাচর সামবেদের গাছ উটের প্রেত বমি সঙ্গমের প্রদাহ কাল বীজ , আঁচড়ে কামড়ে খাচ্ছে প্রদাহের অরণ্য ঘন জঙ্গল দাগ, নখের ভেতরে অপর্যাপ্ত হিম গন্ধ উৎপাটন করছে কে? ক্রমশ বীজ অতি সুপ্ত সংরক্ষণাগারের ধ্যানযোগ চলছে। মার্গীয় বীভৎস বৎসল জন্মবিহীন কে ওই অতি মারাত্মক আসনের জরুল ছেড়ে হাসিমুখে পেরিয়ে যাচ্ছে সংকেত নারীর অনুপ্রবেশ্য অমরাবতীর তীব্র দোহন ঘাট , ঈশ্বর আছে বীভৎস দাগ নিয়ে তার জবাই কারখানায় মার্কসীয় রাজসিক মুদ্রাযোগের পরিসমাপ্তির অভ্যাস (+ চলছে ) , জন্ম ও জন্মের ঢেউ তৈলাক্ত ফল সংগ্রহের অণ্ডবিদের ভেতরে রাখি আমার ধূম্রজ্যোতি মহাকাশ জন্ম, জন্মের কারখানা গর্ভপাত দৃশ্য তৃতীয় সিংভূম নদে এসো হে রক্তক্ষয়ী রহুর নথ ,লিঙ্গ বিথিকায় জন্ম হোক আমাদের সূচাগ্ৰ সুতোর তাপবিহীনে হে সৌরকণিকার মায়াদ্রী সৌরগন্ধ কর্ণিকা ষষ্ঠ যজ্ঞের জল খাও তৃতীয় সন্তান ধারণ করো পুরুষ উদর দেশে , তড়িৎ প্রবাহে ফেটে বেরিয়ে আসুক হে মায়া ক্ষেমক নক্ষত্রের অতি সনাতন বীজ যুবরাজ্য রাত্রি পাহারা দিচ্ছে ধ্বংসাত্মক তরোয়াল , (<<সংকেতের) ধূম্রজটা সূর্যের জন্মের দাইমা নক্ষত্রের ডেল্টা ঈশ্বর চুম্বকের দশ হাত অতৃপ্ত যুধিষ্ঠিরের শক্ত নৌবল দারোগার শক্ত ময়ূরাক্ষী সিংহাসন (∆∆নষ্ট ষোড়শ) বাহুমুলে কে ওই গন্ধর্ব দেশীয় রাতের অক্ষহীনে বিভক্ত করে মোমের তৈরি অপ্সরাদের , সাষ্টাঙ্গ যৌনতায় ক্রমশ বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে অতি সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কৃষ্ণগহ্বরের ধুতরা বীজের মহাপারঙ্গম , শৌচালয় এসো সঙ্গম করি শুকতারা পাখিদের পরাজিত করে উন্মাদ মন্থনদন্ডে ঢালতে থাকি নির্লিপ্ত শ্বেত প্রবাহের ধ্বনি , বিষ দাও প্রহ্লাদ
*********************************************************************************************
নিমাই জানা
এ সময়ের অন্যতম শক্তিশালী তরুণ কবি । রুইনান সবং পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে লিখছেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : ছায়ার মূলরোম ও নির্জন পুরুষ অসুখ * জিরো কম্পাঙ্কের পেন্ডুলাম * ঈশ্বর ও ফারেনহাইট জ্বরের ঘোড়া * ইছামতি ঈশ্বরী ও লাল আগুনের ডিম্বকোষ * রজঃস্বলা বৃষ্টির গুণিতক সংখ্যাগুলো * ব্যাবিলনের চাঁদ * জাহান্নামের বাদাম গাছ





কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন