সুদীপ দাস / দু'টি কবিতা
জিরোপয়েন্ট
১
একা
অন্ধকারে হাঁটি
আমার পাশেই
হাঁটে একটা গর্ত
জিগ্যেস করে - তুমি রাজমিস্ত্রি না সান্তারাস ?
আমি বলি – নিমেষ,
শুনে অদ্ভুত দাঁতের ডাক্তার হেসে ওঠে
যে নাকি মানুষের হাসিতে আকাঙ্খার ফেনা ভাসায় !
আমি অকেজো যন্ত্র, বাতিল পোশাক, বিষণ্ণ করোটি
বাদামি পরচুলা, টুকরো হাড়
– একে একে ফেলতে থাকি গর্তটায়
আর উধাও হতে থাকে সামনের দিকনির্দেশ,
ময়ূরপালক, ইশারা, জিরোপয়েন্ট, রাস্তা - সব
আর গর্তটা থেকে উঁকি দেয়
দুর্বোধ্য কচি পাতা, অশান্ত লাল পিঁপড়ে,
ছোট্ট না-ফোটা ডিম -
আফশোষ, আমি নিজে কেন পড়ে যাইনি গর্তে !
২
গলা থেকে বকলশ নামতেই ভেসে এল কুয়াশা, হাওয়া
মাথার শূন্যতা চিরে ছুটে গেল দৈত্যাকার লরি
চন্দ্রবোড়ার লাশ থেবড়ে পড়ে আছে হাইওয়ের পিচে
অর্ধভুক্ত ইঁদুর মোরাম রাস্তার ধারে
দেখা শেষ হলে আবার বকলশে ফেরা
আধখাওয়া চাঁদ ভাসে নয়ানজুলিতে
******************************************************************************************
শুরুতে চিত্রশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ। পরে সরে আসেন কবিতার জগতে। প্রথম কবিতা প্রকাশ পেয়েছিল নয়ের দশকে। প্রকাশিত কবিতার বই ‘তোমাকেই প্রস্তাব দেব”, নৈঃশব্দ্যের পাসওয়ার্ড”, ‘অগাধ জলে খড়কুটো’। ‘নীললোহিত’ পত্রিকার সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত।


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন