রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২

উপন্যাস * দীপংকর রায়

 



'স্বরবর্ণে'র চতুর্থ সংখ্যা থেকে শুরু হয়েছে কবি দীপংকর রায়ের আত্মজৈবনিক উপন্যাস ' কথা দিয়েছিলাম হেমন্তের নিয়রে '। এই উপন্যাস লেখকের ষোল-সতের বছর বয়সের কালপর্ব থেকে শুরু। যদিও লেখকের জন্ম এপার বাংলায়, কিন্তু শিকড় ছড়িয়ে থেকেছে ওপার বাংলায়। কাজেই যাতায়াত থেমে থাকেনি। ইতিমধ্যে ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। সদ্য স্বাধীনতা পাওয়া একটি দেশ ছেড়ে চলে আসা আর তারই নাছোড় এক টানাটানির মধ্যে যে জীবনের ক্রমাগত আসা আর যাওয়া ,এই উপন্যাস মূলত তারই এক নির্মম নিষ্ঠুর ভাঙা-গড়ার আশ্চর্য কথোপকথন। ধারাবাহিকভাবে যা আমরা পড়ছি, কবি দীপংকর রায়ের মায়াময় কলমে।



কথা দিয়েছিলাম হেমন্তের নিয়রে 

পর্ব * ৬   

দীপংকর রায় 


 কালো গরুটা যে এত পরিকল্পনা করে কেনা হয়েছিল, সেও তো স্বাভাবিক না। এখনো সে দুধ দেয় ঠিকই --- কিন্তু পুনরায় তার গাভীন হবার কোনো লক্ষণই দেখা যায় না। যতবারই তাকে সে চেষ্টা করা হয়েছে , সবটাই বিফলে গেছে। সে কোনোভাবেই সেই সম্ভাবনার ডাক ধরে রাখতে পারে নি । 


      যে মানুষটি দু'বেলা তার দুধ দোহাই করতে আসে, সেও মাকে আধা বাংলায় আধা হিন্দিতে বুঝোয় , ইনকো ছোড়ানে হোগা মাইজী ; কিতনা দিন তুমনে ইসকো খিলায়েঙ্গে পিলায়েঙ্গে বলো ঘরসে ?


      মা বলে , হ্যাঁ বাবা, এবারেও যদি একই অবস্থা হয় , তাহলে একটা কিছু ভাবতেই হবে । নাঞ্জিকে তো বলেছি সব কথাই , তাতে ওই তো বলেছে , মাইজী আউর একটো আচ্ছা গাই দে দেঙ্গে আপকো ; 


     সে তা শুনে বলে , হাঁ , ওহি আচ্ছা হোগা, সছবাত ; নেহি তো কিতনা দিন আপনে ইসকো নুকসান মে খিলায়েঙ্গে পিলায়েঙ্গে বলিয়ে না !


       এই সব আলোচনা চলে গোয়ালা সুজিতের সঙ্গে ।

       ওদিকে বাড়তি উপার্জনের স্বপ্নও ঝাপসা।

       অন্যদিকে এই ক' মাসে আমার দিক দিয়েও সেরকম কোনো ভাবনা চিন্তার তোড়জোড় নেই । কিছুদিন হলো বাগান পরিচর্যাতেই দিন কাটছে বেশি । আর কখনো-সখনো ওপাড়ার দিকে ঢুঁ মারা । অর্থাৎ দিদির বাড়ি। বন্ধুবান্ধবদেরা এলে তাদের  সঙ্গে আড্ডা । তারা চলে গেলে সন্ধ্যার পরে শরৎ রচনাবলী না হলে খবরের কাগজ, না হলে বারান্দার কোনাটা তো রয়েছেই ---- মোড়াটা টেনে নিয়ে বসে পড়া । বসে বসে সামনের বাড়ির পেছনের সেই যে ঝাউগাছের সারি ; দাঁড়িয়ে রয়েছে আকাশচুম্বি হয়ে , সেদিকে তাকিয়ে তাকিয়ে আকাশ পাতাল ভাবনায় মন দেওয়া, এই তো সারাদিনের কাজ , এ ছাড়া তো আর কিছু নেই !


       মা বাড়ি থাকলে সবই লক্ষ্য করে। 

       এর বাইরে ওই তো ওইটুকু, গোরুটাকে গুড়ের সরবত খাইয়ে মাঠে বেঁধে দেওয়া । ওইটুকুই , তা ছাড়া আর কি ! 

      তাই দিয়ে কি ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবা হলো কিছু ?

      যদিও আমার মনে হয় আমিও তো ভাবছি অনেক কিছুই ;  ভাবছি না কি? এই তো, যত দিন যাচ্ছে ততই বেশি করে ভাবছি একটা কথাই যেন, নানা চিন্তার মধ্যে ; কীভাবে বাড়িটার  সামগ্রীক চেহারাটা পাল্টানো যেতে পারে খুব সহজ উপায়ে।

 

     যদিও সেরকম কোনো সহজ পথের সন্ধান এখনো পাইনি । আবিষ্কার করেও উঠতে পারিনি।  তাহলে কেনই বা ; কেনই বা এরকম ভাবনাচিন্তা মনের ভেতরে ঘুরপাক খাচ্ছে?  


       কিছুদিন যাবৎ একেবারে যেন আচ্ছন্ন করে রেখেছে। ভাবছি , এইরকম একটা তীব্র আকাঙ্ক্ষার পাল্লায় পড়লামই বা কেন!


      প্রতিদিন একটু একটু করে বেশ খানিকটা জায়গা করে নিতে চাইছে সে। সে সবের কারণ খুঁজতে গিয়েও হদিস পাই না কোনো । এই বিষয়টার তাৎপর্য মা'র চোখেও ধরা দিচ্ছে না যে তা না। সেও আমার এইসব ভাবনা চিন্তার কারণ খুঁজতে চাইছে যেন । মনে মনে ভাবছে হয়তো , কেন এতটা উতলা হয়ে উঠছি আমি !হয়তো বুঝতে পারছে। হয়তো, বুঝলেও ঠিক আমার মতো করে ধরতে পারছে না সবটা । তবে এ কথা তো ঠিক , নিজেকে এতটা উতলা করে তুলছিই বা কেন হঠাৎ-ই ?


     যদিও আমি নিজের কাছে নিজেই প্রশ্ন করা শুরু করেছি। কীভাবে একটা পরিবর্তন ঘটানো যায় এই অবস্থার! উত্তরও সেই একটাই। খুব সহজ ভাবে হবার নয়। সেরকম কোনো উপায় তো এখনো তৈরি হয়ে ওঠেনি ! পেরেছি কি তৈরি করতে?

   ‌   তাই এগিয়ে পিছিয়েও এসেছি । ভেবেছি , সহজ পথ যখন নেই তখন টানাহেঁচড়া করে কী আর হবে ? যা হবার তা আপন গতিতেই হয়ে উঠুক ।

     কখনো আবার মনে হয় , শুধু গতির উপরে ছেড়ে দিলে তো হবে না । তাই একটি রবিবার দিন মা'কে নিয়ে সেই নাঞ্জি নামক ব্যক্তিটির খাটালে গিয়ে উপস্থিত হই। নতুন আরেকটি গাই গোরু আনা যায় কিনা সেই ভেবে ।


     কেন জানি না নাঞ্জি ব্যক্তিটির সঙ্গে কথাবার্তা বলে যা মনে হলো------ না , ঠিক মতো করতে পারলে লাভ তো মন্দ নয়!


      তার দেওয়া নতুন সেই গাই গোরুটিকে দেখে আমারও বেশ পছন্দ হলো। মনে হলো ঠিক আছে খানিকটা সময় না হয় বেশিই দেওয়া যাবে এবারে , তাতে যদি সংসারের বাড়তি উপার্জন কিছু হয় , তাহলে সেই দিয়েই পারবো চারদিকের একটু শ্রী ফেরাতে ----- হয়তো ধীরে ধীরে বাইরেটা না হলেও ঘরের ভেতরটার একটা উন্নতিসাধন সম্ভব হতে পারে ; অন্তত দরমার দিয়ে সিলিংটা দেওয়া যেতে পারে। মেঝেটাকে সান করাও যেতে পারে। ঘরের উত্তর কোণের জানালাটারও তো পাল্লা নেই। সেটাও লাগানো যেতে পারে। তারপর আস্তে আস্তে না হয় বারান্দা রান্নাঘরের জানলা দরজার পাল্লাটাল্লা গুলোর কথাও ভাবা যেতে পারে । পায়খানার দরজাটাও তো সেরকম পাকাপোক্ত নেই , ওই তো টিনের দরজা , সেটাকেও অন্তত আর একটু  মজবুত করে তোলা যেতে পারে ! মা আলগা জায়গায় স্নান করে। সূর্য-প্রণাম সারতে সারতে , এরপর নব-গ্রহস্তোত্র ---- পাশের বাড়ির মানুষজন দেখতে পায়। রাস্তার সামনের মানুষজনও যেতে যেতে লক্ষ্য করে দেখেছি । কী জানি , হয়তো মনে মনে হাসাহাসিও করে। এ অঞ্চলে আসেপাশের কয়েকখানা বাড়ি- ঘর- দুয়োরের মধ্যে আমাদের বাড়ির চেহারা যেমন, আর সামনের বাড়ির মাসিমার , তার তো আরো খারাপ অবস্থা । বেড়ার ঘর। যদিও ইদানিং তাঁর বড় ছেলেটি চাকরিবাকরি পেয়ে বেড়ার ঘরের পেছনের দিকটায় , যেদিকটায় আরো খানিকটা সরে গেলে ঝাউবাগান , ঠিক ততখানি না গেলেও সেই বাগান ছুঁয়েই প্রায়, বেড়ার ঘরের ছাঁচ ঘেঁষে পুস্তন গেঁথে তুলেছে পাকা বাড়ি বানাবার জন্যে।

    এ ছাড়া আর সকলেরই পাকা বাড়ি ঘর-দুয়োর । শুধু এই দুটো বাড়িরই দুরাবস্থা বেশি। বাকি সকলেই বর্ষাকালেও তাদের ঘরের ভেতরে বাড়ির ভেতরে বেশ ঝরঝরে টনটনে । রঙচঙে ও চকচকে ।



       নাঞ্জির দেওয়া নতুন গোরু বাছুর এ বাড়িতে পৌঁছোনোর আগেই অসচ্ছল একটি পরিবারে সামান্য একটুখানি আলো ফুটে উঠতে না উঠতেই কত পরিকল্পনায় বুক বাঁধতে লাগলাম ! 

        গোরু বাছুর চলেছে  বাড়ির পথে এক পায়ে  দুই পায়ে দুলে দুলে , আর স্বপ্নেরাও হেঁটে চলেছে যেন এক পায়ে দুই পায়ে --- গোমাতার সাথে সাথে । 

       তারা বাড়িতে পৌঁছলে মা কোথা থেকে নতুন ধান এনে একমুঠো কুলোর উপর ছড়িয়ে দিয়ে তার মুখের সামনে ধরলো। ঘটিতে করে জল এনে তাদের পা ধুইয়ে দিলো । সিং-এর মাথায় বেশ খানিকটা তেল-সিঁদুর মাখিয়ে দেওয়া হলো । তার পরে দু'হাত তুলে প্রণাম করলো তাদের উদ্দেশ্যে।


       স্বপ্ন- আকাঙ্ক্ষারাও ঘুমে জাগরণে আমাকে যেন টেনে নিয়ে চলেছে জীবনের স্বাভাবিক নিয়মে ; কিন্তু তার ভেতরের সেই আমিটা যে কেবলই অন্য দিকে মাঝে মাঝেই  মুখটা ঘোরায় ; মুখ ভার করে থাকে একা একা ! তাকে কী দিয়ে শান্তনা দিই ? 


       তাই কীভাবে যেন আমিও ঢুকে পড়েছি নতুন এই গোধনের কাছে দু'হাত পেতে দাঁড়াতে। মনে মনে যেন বলেছি --- হে গোধন, তুমি বালতি বালতি দুধ দাও , আমি সেই দুধ বিক্রি করে আমাদের এই স্যাঁতসেতে  বাসস্থানটির  একটুখানি পরিবর্তন ঘটাই ।


       বন্ধু সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে । নতুন বাগানে গাছ সেরকম ভালো হলো না। না বুঝে অসময়ে লাগানোর কারণে। নানা পরিচর্যা সত্তেও ঠিক মতো হলো না যেন। এর মধ্যে একদিন কালো গোরুটি দড়ি খুলে সমস্ত রাত বাগানে চরে বেড়িয়েছে । ভোরবেলায় উঠে দেখি সব গাছগুলি খেয়ে-দেয়ে পায়খানা পেচ্ছাপ করে  মাঝ-বাগানে শুয়ে শুয়ে জাবর কাটছে বাছাধন।

     নতুন গ্যাঁদা ফুল গাছের চারা এনে লাগিয়েছিলাম --- সেগুলি ছোটোখাটো ছিল বলে , সেগুলিকে খেতে পারেনি। মাড়িয়ে দিয়েছে। নরম মাটিতে তাদের গেঁথে যেতে দেখে বড় কষ্ট হলো। যতটা পারলাম তাদের মাথাগুলিকে ধরে ধরে সোজা করে তাদের গোড়ায় একটি করে কাঠি গুঁজে দিলাম । গোরুটিকে তার জায়গায় বেঁধে দেবার পরে মনে মনে তার দিকে চেয়ে বললাম , এটা কি করলি রে তুই ? এত দিনের সব কষ্ট একেবারে বিফলে পাঠালি ! এতে তো তোর পেটও ভরলো না , কেন- ই বা করলি এমনটা ! একেবারে সব শেষ করে দিয়ে ভাবলেশহীন হয়ে আমার মুখের দিকে চেয়ে চেয়ে জাবর কাটছিস ! 

     সে যেন মনে মনে বলছে, কী আর এমন করেছি তাই বলো তো দেখি , ক'দিন হলো দেখছিলাম বেশ লকলক করছিলো ডালিয়া না জিনিয়া কী বলো তোমরা ছাই , ওই তো রজনীগন্ধার গাছগুলো ; তা কী করবো, ছাড়া পেলাম তাই মনের মতো করে খেয়েদেয়ে একটু শুয়ে ছিলাম হাওয়ায়। এই বদ্ধ ঘরটার থেকে একটু মুখপাল্টে নিলাম এই যা ; তাও তোমার জ্বালায় হলো কোই ! আর একটু বেলায় তো উঠতে পারতে ছাই , তাহলে বেশ হতো। যাক গে, যা হয়েছে হয়েছে, বাবা আমার ঘাট হয়েছে। লোভ হয়েছিলো তাই সুযোগ পেয়ে একটু চড়ে নিলাম । মাপ করে দেও বাবা , এই কান মলছি আর ছুটবোও না , খাবোও না যাও, হয়েছে তো ! 


      এদিকে নাঞ্জির কাছ থেকে নানা ভাবে ধার দেনা করে যে লালচে রঙের গাইগোরুটিকে একটি বাছুর সহ এনেছিলাম , সেটিকে একদিন সুজিত গোয়ালা এনে বেঁধে দিয়ে গেল কালো গোরুটির পাশে, তার একটি নতুন নামকরণ করা হলো , লালি । আর তার মেয়ে বাচ্চাটির নাম রাখা হলো , আদুরী । 

      লালি দু'বেলায় প্রচুর দুধ দিতে লাগলো । তা প্রায় আট ন' কিলো । ভগ্নীপতি (অশোকদা) এসে প্রায় দিনই দেখে যেতে লাগলো সেসব । এ বিষয়ে তার আগ্রহের সীমা নেই । নানা পরিকল্পনা করে সে। বলেও সেসব কথা। তার মনে হচ্ছে আরো কয়েকটি গোরু এরকমের কিনে বেশ বড়সড় করে একটা ফার্ম মতো করলে কেমন হয় ! 

     আমাদের যে ভাগ্নেটি সম্প্রতি হাঁটা শিখেছে , তাকেও সঙ্গে নিয়ে এসে দিদিও একদিন দেখে গেছে নতুন এই লালিকে । ভাগ্নের নাম রাখা হয়েছে মুনাই ।প্রায় ছুটি-ছাটার দিনগুলিতে ইদানিং দিদিরা এ বাড়িতে আসছে। দিদিরা এলে , সেইসব দিনগুলিতে একটু ভালোমন্দ রান্নাবান্না হয় । মা যতটা পারে ততটা তো আছেই তারপর দিদিও এসে এটা ওটা, মাছটা মাংসটা চিংড়ি মাছটা আলাদা মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘন্টের ডাল হবে এইসব জোগাড় যাতি শুরু হয়ে যায় । মোটামোটি নানা কিছু পছন্দ মতো আয়োজন শুরু হয় মা মেয়ে মিলে । 

         এদিকে নানা আলোচনার মধ্যে ইদানিং দেখছি অশোকদার নজর পড়েছে কীভাবে সমগ্র বাড়ি ঘর দুয়োর সহ ছোটোখাটো একটা পরিবর্তন করা যায়,  তার একটা চেষ্টা। একদিন আমাকে ডেকে নির্দেশ দিল , এই দেখ তো কাকে পাওয়া যায় , সিলিংটা ঠিক মতো তৈরি করে দেবার জন্যে।

      বলি , ঠিক আছে, দ্যাখপানে দেহি শুনে-মেলে ওগের কাছে ; আমি তো ভালো জানিনে , দেহি , কিডা কনে আছে তেমন ; দাঁড়ান দেহি এট্ টু , ভালো করে খোঁজখবর নিতি পারি কিনা দেহি ----


     সে বলে , তা তো হলো , কী দিয়ে দিতে চাচ্ছিস ?

     বললাম , যা আপনি মনে করেন ,আমি আর কি 

কবো , যা কবেন তাই দিয়েই হতি পারে ! 


       ---- ঠিক আছে , বেড়াই দে । তাতে ঘর ঠাণ্ডা হবে খানিকটা যেমন তেমন খরচাটাও কম হবে ; হ্যাঁ শোন , একটা রাজমিস্ত্রিও দেখিস । তাকে ডেকে একটা এস্টিমেট নে তো , কলতলা আর বাথরুম বানাতে কত লাগতে পারে ।

      বললাম , আচ্ছা। দেখপানে । 


       ঠিক আছে বলার সঙ্গে সঙ্গে গলাটা কেন জানি না একটু কেঁপে উঠলো। আমার এই কেঁপে ওঠা গলার আওয়াজটা টের পেয়ে গেছে অশোকদা । সেটা অনুমান করতে পারলাম পরবর্তীতে তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে। আর সেই জন্যে বিকেলবেলায় তাদের নেবার জন্যে রিক্সা এলে , সে রিক্সায় উঠে বসে , আমার পিঠে হাত দিয়ে বললো খুব আস্তে আস্তে , ভাবিস না , এগুলো একটা একটা এবারে করতে হবে। তুই লোকজনের কাছে খোঁজ নে, কাদের দিয়ে কি করা যাবে ভালো ভাবে। আমি তো আছি , চিন্তা করিস না একদম ।


 ( চলবে )


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন