গৌতম কুমার গুপ্ত / দু'টি কবিতা
দু র ত্ব ছা য়া
প্রবহমানের পিছু পিছু হেঁটে যাওয়া
এ ভাবেই তো অধুনার পিছু ধাওয়া
শুধু চোখে দেখা মরচে দিন আর
ফুল ফুটে ঝরে যাওয়ার অবকাশ
দ্যাখো আমি সুগন্ধ তুলে রাখি
রৌদ্র আর ছায়ার গন্ধ
দেরাজের অন্ধকারে কবিতার ভাঁজ খুলে
রোপন করি কয়েকখন্ড মেঘের বর্ণনা
এভাবেই প্রবাহ ছুটে আসে পিছু ধায়
বিস্তৃত হয় অনুভব
চোখে চোখ রেখে হেঁটে আসে
প্রিয়তম মানুষ মানুষীর দুরত্ব ছায়া
স্রোত
খুশি হারাচ্ছে কাগজের নৌকা
স্রোতবিহীন নৌকার ঠিকানা
মরুনদীর বালুকায় ঊষর জলযানগুলি
কিভাবে প্রবাহ পাবে স্রোতস্বিনী
অনড় জলৌকা
স্রোত এঁকে চলেছে কলম
ব্যস্ত লিখিয়েদের মগজে শব্দস্রোত
মেধার উন্মেষে যত্নের কৃষিকাজ
বীজপ্রজন্ম থেকে এক উৎসাহী আনন্দ
স্রোতের অববাহিকায় একদা
গন্তব্যে যাবে আমাদের সব শুভ যাত্রা
ভেসে যাবে অনন্ত নৌকাবিলাস
**********************************************************************************************
কবির জন্ম ১৩৬৭ বঙ্গাব্দে বাঁকুড়া জেলার শালতোড়া থানার গোপালনগর গ্রামে।বর্তমানে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের বাসিন্দা।প্রথম জীবনে সাংবাদিকতা পরে ই সি এলে কেন্দা এরিয়া বিভাগের কর্মী ছিলেন।২০১৯ সালে চাকুরিজীবন থেকে অবসর গ্রহন করেন।শিক্ষাগত যোগ্যতা বিজ্ঞান এবং কলা বিভাগে স্নাতক।পরে পার্সোনাল ম্য্যানেজমেন্ট ইনডাসট্রিয়াল রিলেশনে স্নাতকোত্তর পাশ করেন।আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে লেখালেখি শুরু।'কালকেতু' নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তো বটেই ওয়েব ম্যাগাজিনেও গল্প কবিতা প্রবন্ধ লিখে থাকেন।এ পর্যন্ত তাঁর চারটি কাব্যগ্রন্থ " সময়ের এই জলসাঘরে,'স্বভাবের সিলেবাস','অক্ষর ভাইরাস' এবং 'বিষুবরেখার পাখি' প্রকাশিত হয়েছে।কয়েকটি নাটকও লিখেছেন। ইতিমধ্যে "কয়লাক্ষেত্র "এবং কৃষ্ণগহ্বর নামে দুটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।।শীঘ্র একটি কাব্যগ্রন্থ 'যদি হৃদয়ের কথা বলো'প্রকাশিত হতে চলেছে।
.


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন