বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২২

পাঠকের মতামত ** স্বরবর্ণ * ৯


কবি-লেখকেরাই স্বরবর্ণের মূল চালিকা শক্তি। তাঁদের সৃষ্টিকাজ বুকে ধরে স্বরবর্ণের পথ চলা।কোনও সন্দেহ নেই,সেই সঙ্গে তার চলার গতিকে ত্বরান্বিত করেছে পাঠকের সুচিন্তিত পাঠ-প্রতিক্রিয়া। প্রতি সংখ্যার মতো বর্তমান সংখ্যাটিরও বহু মতামত পেয়েছি আমরা। ক্রমান্বয়ে সেগুলি প্রকাশ করব। আজ, স্বরবর্ণ * ৯ সম্পর্কে, পাঠকের মতামতের প্রথম পর্ব -----


শতদল মিত্র লিখছেন * প্রথমেই অণুগল্পগুলো পড়লাম। শুভাশিস ঘোষের 'বিলম্বিত প্রেম' গল্পে অনেক দিন পর কারখানার পটভূমিতে শ্রমজীবনের নোনাগন্ধ খুঁজে পেলাম। দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়ের 'বাঁচার ঠিকানা' যেন এক আলোর ঠিকানা লিখল। মানসী কবিরাজের 'উপশম' সত্যিই ছায়া দিল। এ গল্পটি একটি নিখাদ অণুগল্প। তবে সোমা মুখোপাধ্যায়ের 'গ্রাম্য মুহূর্তরা' ঠিক গল্প নয়, বরং তা অণুস্মৃতি। সুধাংশুরঞ্জন সাহা-র অনুবাদে সিমাস হিনির কবিতায় অন্য আলো-হাওয়ার সন্ধান পেলাম। 'স্বরবর্ণ'কে অশেষ ধন্যবাদ নিয়মিত এমন সুচারু সাহিত্যস্বাদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।  

চন্দন রায়ের কবিতা পড়ে বন্ধন পাল লিখছেন * বিমুগ্ধ করে রাখা কবিতা।

কবি গৌরীশঙ্কর দে-র কবিতা পড়ে সুদীপ দাস লিখছেন * খুবই ভালো কবিতা। বিশেষত "বিন্দু"।

দীপঙ্কর রায়ের গুচ্ছ কবিতা পড়ে শ্রীদাম কুমার লিখছেন * এবারের 'স্বরবর্ণ' নয়-এ প্রকাশিত কবি দীপঙ্কর রায়ের কবিতাগুচ্ছ "পাথুরে বোধনের কান্না শুনি কাশবনে"এক মগ্ন কবির অতলস্পর্শী ভাবনায় গহন ও অনন্য। মিত শব্দচয়ন নিটোল বাকবিন্যাস সাবলীল ভাষার স্বচ্ছন্দ গদ্যছন্দের সঙ্গে ভাবপ্রবাহের অন্তর্লীন মিতালী কবিতাপ্রেমীদের আবিষ্ট করে সহজেই । ঐতিহ্যকে স্বকীয়তায় জারিত করেই তার কবিতায় ধরা থাকে আধুনিকতার অভিমুখ। 

প্রদীপ ঘোষ এর কবিতা পড়ে নব নীতা লিখছেন * দুটো কবিতাই খুব সুন্দর ৷...একটু বেশী ভালো লাগল "কর্ণের পুনর্জন্মক্রিয়া"৷ 

 অমিত চক্রবর্তীর কবিতা পড়ে মীরা মুখার্জি লিখেছেন * নস্টালজিক সুন্দর লেখা। ' ক্যান্ডি প্রেমের ভগ্নাংশ ' এই হলো আপনার সিগনেচার। কিন্তু হবে কি ' হাত  বাড়ায় '!প্রথমদিকের তৃতীয় লাইনে।  

 শরদিন্দু সাহা-র গল্প পড়ে তন্ময় রায় জানাচ্ছেন * এক কথায় "মহাপ্রস্থানের পথে" একটি চমৎকার সার্থক ছোটগল্প। জীবনের ছুটন্ত ট্রেনের পাদানিতে পা রেখে যেন জীবনেরই দুঃখ- সুখের আস্বাদ চেটেপুটে নিতে চাইছে, অমৃতলাল---- দেহাতি চাষাভূষা মানুষটি। করিম চাচা হারু গায়েন দেবদাস মা মেয়ে ঠাকুমা... বটের ঝুরির মতো তারই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা আত্মীয়- অনাত্মীয়ের শিকড়। যা তাকে অহরহ টানছে, চেতনে-অবচেতনে... তলপেটে কনুইয়ের গুঁতো খাওয়ায় অসহ্য যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যাওয়ার মুহূর্তেও। কিন্তু সার কথা "ওর জীবনের স্পন্দনটা ওকে ঘিরে এখন গোল্লাছুট খেলছে" তাই ডোমের কাছে অমৃতলালের কাতর অনুনয় "এবারের মত বাঁচিয়ে দাও ডোম বাবাজি ।" অতএব "মহা প্রস্থানের পথে" নয়, জীবনেরই পথে মহাআগমন ঘটছে অমৃতলালের (লালদের?)..। 

চন্দ্রাণী গোস্বামীর কবিতা পড়ে নব নীতা জানাচ্ছেন * "অনামিকা" ,"সেদিন আষাঢ়" মুগ্ধ করল দুই'ই ৷ তবে আমার একটু বেশী ভালো লাগল "সেদিন আষাঢ়"৷ বেশ কয়েবার পড়লাম ৷ আন্তরিক অভিনন্দন জানাই তোমায় ৷ 

স্বপ্নদীপ রায়ের কবিতা পড়ে অজিত কুমার পাল লিখেছেন * কবি জীবনশাস্ত্রের ডানায় ভর করে খুঁজে ফেরেন প্রেম-শাস্ত্রের কথাকলি । পাঠককে যেতে বলেন অনেক গভীরে সেই পরিচিত গানটির মতো  " গভীরে যাও ,আরও গভীরে যাও "। "করভাস এবং কুটুম কুটুম " দুটি ঘোড়ায় টানা রথ নিয়ে চলে সেই গভীরের সন্ধানে । 

শুভজিৎ দাস গুপ্ত স্বপন নাগ-এর কবিতা পড়ে লিখছেন * অপূর্ব কবিতাগুলি। পুরোনো স্বপ্ন আর নতুন স্বপন নাগ। আপ্লুত হলাম। 

কৌশিক সেনের কবিতা পড়ে কেতকী বসু লিখছেন * দুটো কবিতাই অসাধারণ

স্বপন নাথ লিখেছেন * সম্পাদকীয় অভিনবত্ব আপনার নতুন নয়,তাই নতুন করে কিছু বলার নেই।তবে অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারটি যে যথেষ্ট সমৃদ্ধ, তা বোঝা যাচ্ছে বিষয় বৈচিত্রের সমাহারে। এগিয়ে চলুন। সঙ্গে আছি। আনন্দে, স্বপন নাথ ।

( আগামী দিন )

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন