চন্দন রায় / দু'টি কবিতা
মনোনীত হয় নি--৩২
বহুদিন বেঁচে থাকা পা দুটো নিয়ে একাই একদিন
নদীর কাছে গেলাম। গন্ধ রুমাল বুকের ভিতর
চুবিয়ে রেখে বললাম---
কোনো ঢেউ আর আড়ালে রেখো না----
গোধূলি কিংবা মধ্যরাত
যে রকম বেঁচে আছে , যে রকম বেঁচে থাকে
জলের কল্লোল , অরণ্যমুখী কালো চুল,
দীর্ঘতর ফুসফুস , যা হবার হয়ে যাক
তুমি কোনো ঢেউ আড়াল রেখো না----
ধুলোর সংসার থেকে মন্দিরের ঘন্টা
মনুষ্য থেকে রক্তমাংসে মনুষ্যজীবন
চুন মাছ থেকে রাঘব বোয়াল , সবরকম সিঁড়ির
ধাপ সরিয়ে দীর্ঘকায় হও
রোদমাখা কবির পা ছুঁয়ে ভরাট দীর্ঘশ্বাসে তোলপাড় হও ,
কোনো ঢেউ আড়ালে রেখো না-----
মনোনীত হয় নি--৩৩
ঠোঁটের ঘা কি এমনি হয়েছে ?
উঠোনে পা ছড়িয়ে বসে কাসুন্দির মত চাটতে
চাটতে আল্হাদে আটখানা
তখন কোথায় ছিল বাড়ি ! কোথায় ছিল জারুলের
ডালপালা, নদীর মত শরীর ভাসিয়ে, হাই তুলে দিব্যি
ছিলি জিভের লালায়
ল্যাজ আছড়িয়ে চোখ তখন চাঁদ হয়েছিল
মনের এপিঠ ওপিঠ চড়বরে রোদ্দুর----
ইচ্ছে সুখের ভিতর গভীর গর্জন , কাসুন্দি বিলাস
চুপচাপ রাতে রত্নের থালায় আমুদে শরীর
অনেক খেয়েছে, ছদ্মবেশে চুল খুলে দাপটে খেয়েছে
প্রকৃতি দেখেনি-----
এখন তোর শরীরে একটু একটু করে
ঢুকে পড়ছে মৃত্যুর দীঘল শরীর----
********************************************************************************************
আশির দশকের অন্যতম বিশিষ্ট কবি । আটটিরও বেশি কাব্যগ্রন্থের প্রণেতা । নতুন মান্দাস নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন, যা ইতিমধ্যেই পাঠকপ্রিয় হয়ে উঠেছে । কবি চন্দন রায়ের সম্প্রতি প্রকাশিত দুটি কাব্যগ্রন্থ : জেলখানার খোলা চিঠি এবং শিরোনাম সন্ধান চলছে ।




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন