বিকাশ চন্দ / দু'টি কবিতা
আয়ুষ্কাল
নেই শুধু নেই আর্তি দরজা জানালার জাদু পর্দায়
অদেখা রোমাঞ্চ সকলের শরীরে আশ্চর্য শিহরণ,
নির্ভার বেদনা ছোঁবেনা সকল নির্মম হৃদয়
কে যেনো বলে গেলো হৃদয় নয় অমৃত মায়া,
মাটি খোঁড়ো নিজের শরীর মেপে দেহ বাস
কেউ বলে না পরিত্যাগী জীবনের দৈর্ঘ্য প্রস্থ,
তবুও আনন্দ ঘরে শুয়ে নেই কেউ জাগতিক সুখে
সকল সাধন ঘরে প্রার্থনায় কেমন আর্তনাদ সংজ্ঞা হীন,
নির্লোভ অক্ষরে দেবতারা বাঁচে মানুষের পরিভাষায়।
যত থাকে ভালোবাসা নির্জন ফুলের অবিনশ্বর শ্বাসে
সে চলনের পায়ে ধুলা রেনু অনন্ত বিশ্ব ভ্রমণ,
অমরত্ব মেলেনা জানে নদী জল সূর্য পরিবার
হলুদ মাখা অক্ষত চাল কে ছড়াবে বিশ্বময় চৈতন্য মায়ায়,
সকল হৃদয়ে শ্বাসে প্রশ্বাসে ধ্রুপদী জন্ম রাগ।
সকল রূপের শক্তি জানে শূন্য শক্তি কাল
প্রতিদিন জীবন রেখা একটু বাড়ে আত্মার পরবশ,
শঙ্খ নাভি জীবন্মৃত সুখ ব্রহ্মাণ্ড জানে
কত শুদ্ধ জীবন কাটাও বলো জানো আয়ুষ্কাল।
প্রেম হবো বলো
অতীত সময়ের শব্দেরা ভেসেছে বরাভয়ের কথায়
উজ্জ্বল অক্ষর ভাবনা জড়িয়েছে চেনা শরীরের রক্ত মালায়
অরণ্যের অভিসারে বাঘেরা ছিঁড়ে ফেলে চাঁদ মালা।
নির্বিকার জ্যোৎস্নায় হরিণ হরিণীর বেদনা বোঝেনা আলিঙ্গন
বন ঘরের বাঘিনী আড়ালে ব্যাস্ত নিষিদ্ধ ইচ্ছের বিলাসে,
অপ্রতিহত শব্দেরা মিশে গেছে মাটিতে জলে অঙ্কুরে শেকড়ে
পথ শিশুর মতো ছড়িয়েছে অনাদৃতা ক্ষতমুখ,
রাজা রানী ব্যস্ত পরস্পর আড়ালে উদগত অসুখ।
কোথাও না কোথাও ছড়িয়ে ছিটিয়ে শরীর নাকি জীবন
সেই সব অশ্রুত বোবা শব্দেরা ছড়িয়ে মাটিতে বীজের মতো,
কিছু শব্দ ছড়িয়েছে সূর্যের সখ্যতায় নিষিদ্ধ সময়ে
সপ্তাশ্ব জানেনা সপ্ত সুরের বেদনা বিষাদে মৌন বেহাগে
কালো রাস্তায় ঘুমিয়ে আছে স্বরহীন ছিন্ন শিরা রক্ত অর্ঘে।
অভয়ারণ্যের যুবক হরিণ জানে নির্ভয়া হরিণী অনুরাগ
জ্যোৎস্নাময়ী রাত জানে বিঘিনি শবের বিলাস,
লজ্জায় জড়িয়ে চাঁদ অরণ্যের সুউচ্চ গাছের ছায়ায়
গাছ জানে চাঁদ জানে ওরাও তো মানুষ জানে
আশ্চর্য নির্বাণে অস্ফুট স্বরলিপি হৃদয়ে প্রেম হবো বলো।
*********************************************************************************************************


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন