কবি-লেখকেরাই স্বরবর্ণের মূল চালিকা শক্তি। তাঁদের সৃষ্টিকাজ বুকে ধরে 'স্বরবর্ণে'র পথ চলা। কোনও সন্দেহ নেই,সেই সঙ্গে তার চলার গতিকে ত্বরান্বিত করেছে পাঠকের সুচিন্তিত মতামত। পাঠকের মতামতের আজ প্রথম পর্ব ----
রাজেশ গঙ্গোপাধ্যায় সোহম চক্রবর্তী এর কবিতা পড়ে লিখছেন সোহম, আমার অন্যতম প্রিয় কবি এবং সমকালীন বাংলা কবিতায় এক দৃপ্ত, সংবেদনশীল, সৌম্য কন্ঠস্বর। এই কবিকে পাঠ অনিবার্যভাবে অনাস্বাদিতপূর্ব অভিজ্ঞতা। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল মাত্র পঁচিশ বছর বয়সেই সোহম নিজস্ব অবস্থান সুনিশ্চিত করেছে। যদিও এ এক নির্বোধের মত মন্তব্য হয়ে গেল। প্রতিভার বিচ্ছুরণ তো বয়সের সমানুপাতিক হবে, তেমন কোন প্রতিপাদ্য নেই। এখানে দুটি কবিতায় আবার সোহমের জাঁক পাওয়া গেল। প্রথম কবিতায় যে অভিজাত নিস্পৃহার ভেতরে চরম বিবিক্ততা ঘনিয়ে রয়েছে এবং এভাবেই যে আসক্তির স্পষ্ট আদল প্রতীয়মান হয়ে উঠেছে, তার মৌজই আলাদা। প্রতিটি স্তবকে মুক্ত হয়ে বিস্তারিত হয়ে উঠছে সংশ্লেষ আর এই প্যাটার্নেই সমকাল এসে চুপ করে বসছে লেখার শান্ত ঘাটে, যেখানে ছায়ার আলোয় দীপ্ত হয়ে আছে চারপাশ। এই পূর্ণতা কবিতাটিকে যে ঋদ্ধতা দিল, তার তুলনীয় সে নিজেই। এভাবে লেখার শরীর থেকে লেখাকেই বের করে নিয়ে আসার বিত্তে ভরে ওঠার সামর্থ্য সব ক্ষেত্রে থাকেনা, যখন সে দৃষ্টান্ত নির্মিত গয়...আহা! সে এক কালোত্তীর্ণ অভিজ্ঞান।
আর দ্বিতীয় লেখাটি তো মহাকাব্যিক জমকের সার্থক নিদর্শন! শুধুমাত্র 'রমণসম্ভবা' শব্দটির প্রয়োগে, অবিশ্বাস্য প্রয়োগে যে মৌতাত তৈরী হয়েছে, তার বিকল্প হয়না! সোহমের কাব্যভাষায় এ এক আশ্চর্য রীতি, শব্দের সনাতনী রূপ চূড়ান্ত আধুনিক প্রয়োগে ব্যবহার করার অবিসংবাদী দক্ষতা! অনেকদূর যাবেন এই কবি। বাংলা কবিতাকে স্নেহের আশ্রয় দিতে যোগ্যতম কলমের সন্ধান আজ সুনিশ্চিত।
শীলা দাশ লিখেছেন তৈমুর খানের গুচ্ছ কবিতা পড়লাম । সচেতনতার নানা রঙ। ভালো লাগলো। দেবার্ঘ সেনের কবিতা আরো স্পষ্ট প্রতিবাদী। এমন কবিতা আরো আসুক।
দীপংকর রায় লিখছেন আজ নীল কমল ও তৈমুর খানের এবং ঋতুপর্ণ খাটুয়ার লেখা পড়লাম । নীল কমলের এই পর্বের লেখাগুলি ভীষণ মর্মভেদী। তৈমুর খান বরাবরের মতোই আমাকে ঝাঁকি দিয়ে জাগিয়ে তোলে ।আর ঋতুপর্ণ খাটুয়া এর লেখাগুলি যথেষ্ট সাহসী লেখা । চিত্ররূপময় ও বলতে হবে । আরো পথ পেরোতে পারলে হয়তো সেই অধরাকে ধরবার প্রচেষ্টায় গভীর অভিনিবেশ সহ তাকে আমরা পরিপূর্ণ রূপে দেখতে পাবো ।
পল্লববরন পাল দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়-এর অণুগল্প পড়ে লিখেছেন বাঃ। ভারি সুন্দর জীবনের কথা।
রুমা ঢ্যাং অধিকারীর কবিতা পড়ে লেখনি লিখছেন তোমার কবিতা সবকটাই দারুন। "গল্প * দেবাশিস সাহা" সম্পর্কে তার মন্তব্য অসাধারণ একটি লেখা।
তৈমুর খান দীপংকর রায়ের গুচ্ছ কবিতা পড়ে লিখছেন এক অন্তর্গত আত্মার বিষন্নতা ছেয়ে আছে কবিতাগুলিতে। নিজস্ব উপলব্ধি তীব্রতা বারবার অভিঘাত তুলেছে।
বাসুদেব চন্দ জবা ভট্টাচার্য-এর কবিতা পড়ে লিখেছেন দুটিই অনবদ্য! এমন কয়েকটি লাইন আছে যেগুলির আস্তরণ ছাড়াতে পারলে সুন্দর অর্থ নিঃসৃত হতে পারে। এখানেই তো কবিতার সার্থকতা!
কিঙ্কর দাস নিমাই জানা-র কবিতা পড়ে লিখছেন দুটোই অসাধারণ কবিতা...আপনার সুন্দর সৃষ্টির গুলোর মতোই উজ্জ্বল সুন্দর...মুগ্ধতার আবেশ ছড়ালো
মৌমিতা দে সেনগুপ্ত চন্দ্রাণী গোস্বামীর কবিতা পড়ে লিখেছেন অনবদ্য কবিতা দুটি।
শতদল মিত্রের কবিতা পড়ে সিক্তা মুৎসুদ্দি লিখছেন প্রজাতান্ত্রিক জ্যোৎস্নায় প্রস্ফুটিত কথারা জমাটবাঁধা পাথরে ফুল ফোটাক ফাল্গুনী শুভেচ্ছায়।
মধুমিতা বসু সরকারের কবিতা পড়ে মানস মন্ডল লিখছেন হননে ও অনুভবে একটি সুন্দর কবিতা।
শ্রীতমা লিখছেন পার্থ প্রতিম গোস্বামীর কবিতা পড়ে কবিতাজোড়া ভাঙচুর ও গঠন ।
শতদল মিত্র দেবাশিস সাহার ছোটগল্প পড়ে লিখছেন * 'গোধূলির ধূলি' পড়লাম। জীবনছোঁয়া লেখা। গল্পটা পাঠক আমার হয়ে উঠল যেন! অনেক ধন্যবাদ।
আবদুস সালাম সামগ্রিক ভাবে পত্রিকা সম্পর্কে জানাচ্ছেন অসাধারণ একটা সংখ্যা উপহার দেওয়ার জন্য সম্পাদক মন্ডলীর প্রত্যেককে ধন্যবাদ।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন