বিমান কুমার মৈত্র-এর তিনটি কবিতা
যাত্রাপালা
দাব দগ্ধ তপোবনে
বৃষ্টির প্রত্যাশা
ক্ষমতার অশ্বক্ষুরধ্বনি
চিনে নেয়
চেটে নেয়
আশ্রমের মধু
দাব দগ্ধ তপোবনে
ঝলসানো হৃৎপিন্ড
নাটকের যবনিকা
ভাঙা সেট প্রতিধ্বনি
বিস্মরণ বিস্মরণ ..........
অবিচ্ছেদ্য অঙ্গীকার
অবিচ্ছেদ্য অঙ্গীকারের অনায়াস কবিতা
মধ্য রাতে ছিঁড়ে গেলে আমি নীল মথের চোখেও
করুণার প্রপাত দেখতে পাই
বৌদ্ধিক অভিধানে করুণার কিছু উৎস
পাওয়া যায় কিনা এই ভণিতা মাপ করলে
গাঙুরের ঘোলা জলে
রঙিন মাছপট্টির খোঁজ করা যেত
যেখানে দুপুর চড়ায় বড় বড় রাঘব বোয়ালও
খাবি খায় কিন্ত রাজারাণীর
নির্বিঘ্ন নৌকাবিহারের কনভয় আটকানো থাকেনা
অবিচ্ছেদ্য অঙ্গীকার বিধিতে জলের প্রমোদ বিহার
নাইট্রোজেন চক্রকে অনুমোদন না দিলে
ইলিশ-বাটখারার আবদার মেটাতেই তোমার..
ব্রহ্মকণা
অস্তিত্ব আর অস্তিত্বহীনতার মাঝে
তির ছুঁড়ে দিলে সেটা
দশ টাকার কয়েন হতেও পারে
ঢেউ হয়ে ভেসেও যেতে পারে
ব্রহ্মকণার এই নিজস্ব জুয়ায়
একটা জেব্রার ঘাড় তোমার দিকে
স্থির পাথরের সাদা-কালো পাঁচিল
তুলে দেবে
সে তোমরা যাই বলো লিঙ্গ নিরপেক্ষ
সমস্ত হ্যাঁ এবং না এর ভেতরেই
একটি কালজয়ী ভ্রূণের সম্ভাবনা থাকে ।
**************************************************************************************************




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন